ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
لَيْسَ عَلَى الْأَعْمَى حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْأَعْرَجِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْمَرِيضِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى أَنفُسِكُمْ أَن تَأْكُلُوا مِن بُيُوتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ آبَائِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أُمَّهَاتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ إِخْوَانِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أَخَوَاتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أَعْمَامِكُمْ أَوْ بُيُوتِ عَمَّاتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أَخْوَالِكُمْ أَوْ بُيُوتِ خَالَاتِكُمْ أَوْ مَا مَلَكْتُم مَّفَاتِحَهُ أَوْ صَدِيقِكُمْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَأْكُلُوا جَمِيعًا أَوْ أَشْتَاتًا فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُون
অন্ধের জন্যে দোষ নেই, খঞ্জের জন্যে দোষ নেই, রোগীর জন্যে দোষ নেই, এবং তোমাদের নিজেদের জন্যেও দোষ নেই যে, তোমরা আহার করবে তোমাদের গৃহে অথবা তোমাদের পিতাদের গৃহে অথবা তোমাদের মাতাদের গৃহে অথবা তোমাদের ভ্রাতাদের গৃহে অথবা তোমাদের ভগিণীদের গৃহে অথবা তোমাদের পিতৃব্যদের গৃহে অথবা তোমাদের ফুফুদের গৃহে অথবা তোমাদের মামাদের গৃহে অথবা তোমাদের খালাদের গৃহে অথবা সেই গৃহে, যার চাবি আছে তোমাদের হাতে অথবা তোমাদের বন্ধুদের গৃহে। তোমরা একত্রে আহার কর অথবা পৃথকভবে আহার কর, তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। অতঃপর যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দোয়া। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্যে আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ননা করেন, যাতে তোমরা বুঝে নাও।(সূরা নুর-৬১)
একই প্লেটে খাবার খাওয়াকে একমাত্র সুন্নাহ এটা বলা যাবে না। এমনকি পৃথক পৃথক খাওয়াকে সুন্নতের খেলাফও বলা যাবে না।বরং একত্রে এবং পূথক যেকোনোভাবে খাবার গ্রহণ করা যাবে।
(২)
চেয়ার টেবিলে খানা খাওয়া উত্তম নয়। তবে অহংকারী মনোভাব না হলে হারাম বা নাজায়েজও নয়। তাই যেখানে চেয়ার টেবিল ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকে, বা নিচে বসতে কোন ওজর থাকে, তাহলে চেয়ার টেবিলে বসে খানা খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই।তবে স্বাভাবিক অবস্থায় দস্তরখান বিছিয়ে খানা খাওয়াই উচিত। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
11010
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চেয়ারে বা খাটে বসে পানি খেলে, বসে পানি খাওয়ার আদব পালন হবে না।কেননা বসে খাবার গ্রহণ সর্বদাই উত্তম।
(৩) "ওয়া আলাইকুমুস সালাম" ই উচ্ছারিত হবে। তবে যেহেতু লিখতে গিয়ে উচ্ছারণের দিকে না গিয়ে সালামের মূল শব্দগুলো লিখা হয়, তাই কেউ "ওয়া আলাইকুম আসসালাম" এভাবে লিখেন।
(৪) টয়লেটে ঢুকার দুআ টয়লেটে ঢুকার আগেই পড়তে হবে।