আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in ওয়াসওয়াসা by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম পিয় হুজুর আমি কোর্সটি কমপ্লিট করেছি এখন কি আমি আমার প্রশ্ন উত্তর পেতে পারি আমার একটি জটিল প্রশ্ন যার পয়েন্ট হলো তিনটি দোয়া করে ভালো করে পড়ে উত্তর দেবেন আপনার কাছে অনুরোধ রইলো (১) আমি একদিন আমার বিছানায় শুয়ে আছি তখন আমার স্ত্রী আমার কাছে ছিলনা, তখন হঠাৎ আমার মনে হলো যে আমার স্ত্রী যদি কোনোদিন ভিডিও করে তাহলে আমার স্ত্রীকে তালাক দেবো, বোললাম নাকী আমার স্ত্রী যদি ভিডিও বানাই তাহলে আমার স্ত্রী তালাক এমন বললাম তা আমার মনে নেই। কিন্তু কি ধরনের ভিডিও সেটা ও আমি তখন মনে মনে হোগ বা উচ্চারণ করে হগ সেটা আমি বলছি কি সেটাও তো মনে পড়ছে না যতো দুর আমার মনে হয় সে সময় হতো শুধু ভিডিও কোথা বলছি মনে মনে বা মুখে উচ্চারণ করে

(২) তারপর বেশ কিছু মাস কেটে যায় তখন হঠাৎ আমার মনে এল যে, আমি তো আমার স্ত্রীকে শর্তযুক্ত তালাক দিয়েছি। কিন্তু আমি কি মুখ উচ্চারন করে শর্তযুক্ত তালাক দিলাম নাকি মনে মনে শর্তযুক্ত তালাক দিলাম এবং কেমন শর্তযুক্ত তালাক দিলাম যে আমার স্ত্রী যদি ভিডিও করে তাহলে তালাক দেবো নাকি যদি ভিডিও করে তাহলে তালাক কোনটা বলেছি মনে নেই। তখন আমি আবার এমন যেনো বললাম যে শর্ত এমন যেনো আমার স্ত্রী যদি ভিডিও করে ওহাটসঅ্যাপস সে স্ট্যাটাস দেয় আর আমার স্ত্রীর বোনেরা আমাকে যদি বলে তোমার বউ ভিডিও করে তাহলে এক তালাক হবে এমন বললাম।


(৩) তার পর আপনার কাছে প্রশ্ন করার দু‘দিন আগে আমি ওই শর্তকে আবার পুনরায় এই কথাটা আস্তে আস্তে উচ্চারন করে বললাম যে আমার শর্ত এমন যে, যদি আমার স্ত্রী ভিডিও করে ওহাটসঅ্যাপস সে স্ট্যাটাস দেয় আর আমার স্ত্রীর বোনেরা আমাকে যদি বলে তোমার বউ ভিডিও করে তাহলে এক তালাক হবে এখন আমি জানতে চাই যে হুজুর ২ আর ৩ নম্বর কথাটা হলো ১ নম্বর শর্তের শিকারোক্তি আলাদা করে আমি অন্য কোন শর্তযুক্ত তালাক দেয়ার কোনো নিয়ত নেই। মানে এমন যে ২ আর ৩ নম্বর প্রশ্নটা ১ নম্বর শর্তের সাথে দিচ্ছি অর্থাৎ শর্ত কে নিজের মনে আর একবার মনে কইরে নেওয়া। এখন আমি জানতে চাই যে এসব কিছু আমার স্ত্রী জানেনা বা অন্য কেউ জানে না এতে কি আমার স্ত্রীর উপর কোনো শর্তযুক্ত তালাক পতিত হয়েছে আর হলে কোন শর্তযুক্ত তালাক পতিত হয়েছে নাকি আমার স্ত্রী যদি শুধু ভিডিও তৈরি করে তাহলে তালাক হয়ে যাবে কি? কিন্তু আমি কী করে বুজবো সে যদি চুপি চুপি ভিডিও করে কারণ আমি এমন শর্ত রেখেছি আমার স্ত্রী তো তা জানেনা। আর ১ নম্বর শর্তটা যদি পতিত হয় তাহলে ২ আর ৩ নম্বর শর্তটা কী তাহলে পতিত হবে নাকি হবেনা আর যদি শুধু প্রথম শর্তযুক্ত তালাক পতিত হয় তাহলে কোটা তালাক হবে যদি শুধু তালাক বলে থাকি কোনো ১ ২ ৩ তালাক হবে এমন যদি না বলে থাকি তাহলে কোটা তালাক পতিত হবে এবং কেমন ভিডিও করলে তালাক হবে যদি মোবাইলে তার কোনো ভিডিও রেকর্ড করে বা ভিডিও কল করে কারোর সাতে কোথা বলে বা ইউটিউব এ কোনো ভলগ করে তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে কিন্ত আমি যেমন রাখতে চেছিলাম যে গানের সঙ্গে ঠোঁট নাইরে ভিডিও করে কাওকে দেখায় আর সেটা দেখে যদি আমার স্ত্রীর বোনেরা আমাকে বলে যে তোমার বউ ভিডিও করে তুমি কিছু বলবেনা তখন আমি তালাক দেবো বা তালাক হবে এমন কিছু মনে মনে ভেবেছি বা বলেছি আমার কিছু ভালো ভাবে মনে পড়ছে না এই মুহুর্তে এখন সমাধান কি কারন আমার তো মনে নেয় আমি কি বলেছি আমার উত্তর টা জানাবেন। আপনার কাছে এটা আমার অনুরোধ আসলে এমন চিন্তা আমার কেনো এলো সেটা জানতে হলে আমার ১ নম্বর প্রশ্নতে যেতে হবে যখন আমি আমার বিছানায় শুয়েছিলাম তখন আমি আমার প্রথম স্ত্রীর কথা মনে পড়ে আমার প্রথম স্ত্রী গানের সাথে ঠোঁট নাইরে ভিডিও করত আর ওহাটসঅ্যাপস সে স্ট্যাটাস দিত আর অন্যদের দেখাতো আর সেটা দেখে আমার প্রথম স্ত্রীর বোনেরা আমাকে ফোন করে বলতো যে তোমার বউ ভিডিও করে তুমি কিছু বলবেনা তো সেই কথাটা আমার মনে পড়ে তাই এমন শর্ত মনে মনে রাখি ভাবী বা উচ্চারণ করে বলছি সঠিক কিছু মনে পড়ছে না বর্তমানে আমার প্রথম স্ত্রীর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই আমি এমনি শর্তযুক্ত তালাক রাখতে চেয়েছি। কিন্তু তখন পুরো শর্ত রেখেছি কি আমার মনে নেই কিন্তু অন্তরে এমনি শর্তযুক্ত তালাক ছিল যে, আমার স্ত্রী ভিডিও করে ওহাটসঅ্যাপস সে স্ট্যাটাস দেয় বা অন্যদেরকে দেখায় আর সেটা দেখে আমার স্ত্রীর বোনেরা আমাকে যদি বলে তোমার বউ ভিডিও করে তখন এক তালাক হবে বা এক তালাক দেবো এখন কোন তালাকটা হবে এবং কোটা তালাক হবে নাকী কোনো তালাক হবে না এবং ভবিষ্যতে কোন তালাক হতে পারে কি দোয়া করে জানালে খুব উপকার হতো।

1 Answer

0 votes
by (65,970 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আপনি কোর্সটি করলেও আপনার মাঝে ওয়াসওয়াসা এখনও রয়ে গেছে। উপরে উল্লেখিত ৩টি প্রশ্নই এসেছে ওয়াসওয়াসার কারণে। শয়তান আপনার অন্তরের মধ্যে অস্থিরতা বা সন্দেহ তৈরী করছে। ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa    

বি:দ্র: ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে। নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...