আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
প্রথম খুলা তালাকের ইদ্দত পালিত অবস্থায় স্বামীর সামনে ও স্ত্রীর পর্দা করতে হবে কি? এবং স্বামী যদি ইদ্দত পালিত অবস্থায় ভিডিও কলে স্ত্রীর সাথে কথা বলে ও  ইমোশনাল হয়ে একজন অপরের গোপনাঙ্গ দেখে তাতে  যদি স্বামীর বীর্য পাত ও ঘটে এতে কি  দুজনেই গুনাহগার হবে? এবং পুনরায় ইদ্দত পালন করতে হবে কি? নাকি যতটুকু আর  ইদ্দত পালন বাকি আছে ততটুকু পালন করলে হয়ে যাবে ? (প্রথমবার খুলা তালাকের)

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

স্বামীর পক্ষ থেকে যে তালাক দেয়া হয় সেটাকে তালাক বলা হয়।

আর স্ত্রীর পক্ষ থেকে কাযী সাহেব বা উনার স্থলাভিষিক্ত কারো নিকট তালাক চাওয়ার ভিত্তিতে মালের বিনিময়ে যে বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়, তাকে খোলা বলে।
,
যদি এক তালাকের উপর খোলা হয়ে থাকে,তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
যদি কোনো সংখ্যা লেখা না থাকে, তাহলেও এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
এক্ষেত্রে ঐ স্ত্রীকে নিতে চাইলে,নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 
,
   
যদি তিন তালাকের উপর খোলা করে থাকে, তাহলে প্রথম স্বামীর জন্য ইদ্দত শেষ হয়ে গেলেও বিবাহ করা জায়েজ হবে না।
এক্ষেত্রে তিন তালাকই পতিত হবে।
,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «جَعَلَ الْخُلْعَ تَطْلِيقَةً بَائِنَةً»

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ খোলাকে এক তালাকে বাইন সাব্যস্ত করেছেন। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪০২৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৮৪৪৮, মুজামে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-২৩০, আসসুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৪৮৬৫}

https://ifatwa.info/274/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
 إزَالَةُ مِلْكِ النِّكَاحِ بِبَدَلٍ بِلَفْظِ الْخُلْعِ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ وَقَدْ يَصِحُّ بِلَفْظِ الْبَيْعِ وَالشِّرَاءِ وَقَدْ يَكُونُ بِالْفَارِسِيَّةِ كَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ.............. .......(وَحُكْمُهُ) وُقُوعُ الطَّلَاقِ الْبَائِنِ كَذَا فِي التَّبْيِينِ. وَتَصِحُّ نِيَّةُ الثَّلَاثِ فِيهِ. وَلَوْ تَزَوَّجَهَا مِرَارًا وَخَلَعَهَا فِي كُلِّ عَقْدٍ عِنْدَنَا لَا يَحِلُّ لَهُ نِكَاحُهَا بَعْدَ الثَّلَاثِ قَبْلَ الزَّوْجِ الثَّانِي كَذَا فِي شَرْحِ الْجَامِعِ الصَّغِيرِ لِقَاضِي خَانْ 
 খুলার সজ্ঞাঃ খুলা(বা তার সমার্থক) শব্দাবলী দ্বারা মালের বিনিময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করাকে খুলা বলে। খুলা 'ক্রয়-বিক্রয় ' শব্দ দ্বারাও সংগঠিত হতে পারবে।কখনো ফারসি শব্দাবলী দ্বারাও সংগঠিত হবে।(যাহিরিয়্যাহ) খুলার হুকুম হলঃ খুলা করার দ্বারা বায়িন তালাক পতিত হয়।সাধারণত এক তালাকে বাইনই পতিত হবে,তবে তাতে তিন তালাকের নিয়্যাত ও বিশুদ্ধ হবে। যদি কেউ কোনো মহিলাকে বারবার বিয়ে করে।এবং প্রত্যেকবারই বিয়ের করার পর খুলা করে নেয়।তাহলে ঐ স্বামীর জন্য উক্ত খুলাকৃত স্ত্রীকে তিনবার খুলার পর আর বিয়ে করতে পারবে না। হ্যা তিনবার খুলা করার পর যদি উক্ত স্ত্রী অন্য স্বামীকে গ্রহণ করে অতঃপর ঐ দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়,তাহলে ঐ মহিলা জন্য দ্বিতীয়বার প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৮৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রথম খোলা তালাক হোক বা ২য় খোলা তালাক হোক,সর্বক্ষেত্রে বায়েন তালাক পতিত হয়। তাই এক্ষেত্রে ইদ্দত পালিত অবস্থায় স্বামীর সামনে ও স্ত্রীর পর্দা করতে হবে। 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক্ষেত্রে ভিডিও কলে কথা বলায় উভয়ের গুনাহ হয়েছে,মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করে ফিরে আসতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে পুনরায় নতুন করে ইদ্দত পালন করতে হবেনা।

বরং যতটুকু আর  ইদ্দত পালন বাকি আছে, ততটুকু পালন করলেই হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে (৩ তালাক না হয়ে থাকলে) স্বামী সেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে এখনই (ইদ্দত পালনরত অবস্থাতেও) তাকে বিবাহ করতে পারবেন।

এতে তাদের সম্পর্ক হালাল হয়ে যাবে।
আর ইদ্দত পালন করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...