আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
ছেলেমেয়ের অনলাইনে পরিচয়ের দেড় মাসের মধ্যেই বিয়ে করে ফেলে। প্রথম বার বিয়ের দেড় বছর পরে তালাক হয়ে যায়। এরপর ছেলে মেয়েকে জানান যে শারীয়াহ হালালাহ র মাধ্যমে পরবর্তীতে আবার বিয়ে করা যাবে। হালালাহ তে শুরুতে ১ম স্বামী  রাজি ছিল, মেয়েকে এইভাবে যে বিয়া করা যায় এটাও উনিই জানান প্রথমে কিন্তু পরবর্তীতে  চিন্তাভাবনা করে আর রাজি হন নি। কিন্তু মেয়ে

 ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজি করান। এই হালালার বছরখানেক পরে আবার ১ম স্বামী বিয়ে করেন। এইবআর বিয়ের ক্ষেত্রে প্রধানত উনার অনুশোচনা কাজ করছে যে উনার জন্য এই মেয়ে এত চেষ্টা করতেছে। কিন্তু মেয়ের কিছু ব্যবহার & মেয়েকেও দেখতে ভাল্লাগত না । কয়েক মাস পরে আবার তালাক দিয়ে দেন। এই তালাকের ক্ষেত্রে মেয়ের ফ্যামিলির সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে মোহরানা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় প্রথমে মেয়ের ফ্যামিলি থেকে না করে দেয়, এরপর ছেলে তার ফ্যামিলিতে জানায় যে ওরা না করে দিছে। এর ৩-৪ দিন পরে আবার মেয়ে জানায় মোহরানায় মেয়ের ফ্যামিলি রাজি হইছে।  তখন আর ছেলের ফ্যামিলির মেনে নিচ্ছিল না। এর সাথে বেশ কিছু কারণ ছিল। যার জন্য ছেলে তালাক দেয়।ছেলের দায়ই এই ক্ষেত্রে বেশি। এই বিয়ে তালাক সবকিছুই হইছিল ছেলেমেয়ে উভয়ের ফ্যামিলি থেকে গোপনে। এখন এরজন্য ছেলে যদি আন্তরিক ভাবে তওবা করে তাহলে ও কি মৃত্যুর পরে শাস্তি ভোগ করতে হবে? আল্লাহর কাছে কি কোনো ভাবেই মাফ পাবে না মেয়ে মাফ না করলে?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250209_140701_234.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (591,570 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/101056/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক চাওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِيْ غَيْرِ مَا بَأْسٍ ؛ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ.

‘‘যে কোন মহিলা কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া নিজ স্বামীর নিকট তালাক চাইলো তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে’’। (আবূ দাউদ ২২২৬; তিরমিযী ১১৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২০৫৫)

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন, যেসব কারণে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে তা হলোঃ-

★যদি কোনো বাস্তবসম্মত কারণে উভয়ের পক্ষে একসঙ্গে বসবাস করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে তাহলে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে।

★যদি স্বামীর মাঝে দৈহিক এমন ত্রুটি থাকে, যার কারণে দাম্পত্যজীবনের স্বাভাবিকতা খুবই দুরূহ হয়ে যায়। যেমন—পাগল হওয়া, যৌন অক্ষম হওয়া, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হওয়া। 
বলা বাহুল্য, স্বামীর মাঝে উক্ত ত্রুটিগুলো থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে ভালোভাবে রাখা সম্ভব নয়।

★স্বামী স্ত্রীর আবশ্যকীয় জরুরত তথা ভরণ-পোষণ দিতে অক্ষম হলে। কেননা, এটা স্ত্রীর মৌলিক অধিকার। 

★শরিয়ত নির্দেশিত কারণ ছাড়া স্বামী স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া বা জুলুম করা।

এটা শারীরিকভাবেও হতে এবং মানসিকভাবে হতে পারে। যেমন—স্ত্রীকে মারধর করা, গালাগাল করা, স্ত্রীকে তার পিতা-মাতার সঙ্গে দেখা সাক্ষাতে বাধা প্রদান করা, বেপর্দা কিংবা হারাম কাজে স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাধ্য করা। 

★স্বামীর মধ্যে দ্বিনদারির প্রতি অবহেলা চরম পর্যায়ের হলে। যেমন—নামাজ না পড়া, মদ পান করা, পরকীয়া কিংবা চারিত্রিক অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত হওয়া। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে স্ত্রীকে তালাক দেয়া শরীয়ত কোনভাবেই সমর্থন করে না। এক্ষেত্রে মেয়েটির ভবিষ্যত জীবনটাকে কষ্টের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তাই খালেছ দিলে মহান রব্বুল আলামীনের কাছে তওবার পাশাপাশি উক্ত মেয়েটির থেকেও ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
এই ক্ষেত্রে যেহেতু ২ বার বিয়ে করে ২ বারই তালাক দেয়া হয়েছে এইজন্য  মেয়ে বলে দিছে কখনোই ক্ষমা করবে না।  ছেলে মেয়ের নিকট ক্ষমা চেয়েছিল। এরজন্য কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন না? ছেলের করণীয় কি
by (4 points)
এই ক্ষেত্রে যেহেতু ২ বার বিয়ে করে ২ বারই তালাক দেয়া হয়েছে এইজন্য  মেয়ে বলে দিছে কখনোই ক্ষমা করবে না।  ছেলে মেয়ের নিকট ক্ষমা চেয়েছিল। এরজন্য কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন না? ছেলের করণীয় কি
by (591,570 points)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য উচিত যদি মেয়েটির বাসায় গিয়ে আপনি নিজেই তার নিকট পর্দার আড়াল হতে বিনয়ের সাথে নিজের অতীত ভুলের কারণে ক্ষমা চাইবেন। 
,
এমতাস্থায় তার উচিত আপনাকে ক্ষমা করা। এরপরও যদি সে ক্ষমা না করে তাহলে আপনি আল্লাহ তায়ালার নিকট বেশী বেশী ইস্তেগফার ও ক্ষমা চাইবেন, আশা করা যায় তিনি আপনাকে ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ। কিন্তু প্রথমত বান্দার নিকট মাফ নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...