আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।
১/ আমি ফজরের ফরজ সালাত পড়তে গিয়ে দুই সিজদাহর মাঝখানে ভুলে সুবহানা রব্বিয়াল আযিম পড়ে ফেলি তারপর শেষ বৈঠকে গিয়ে সিজদায়ে সাহু দিয়ে দিই। এতে আমার নামাজ হবে কিনা?
২/ আমি এমন সময় ঘুম থেকে উঠি তাহাজ্জুদের সালাতের টাইৃটা খুবই কম। দ্রুত ওজু করি। সাদা স্রাব লেগে থাকা সালোয়ার দিয়েই তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে নিই। সালোয়ার পাল্টাতে গেলে আমি তাহাজ্জুদের সময় পাবোনা। আমার সালাত হবে কি না?
৩/ আমি স্বপ্নে দেখি,,আমার একজন স্বামী আছে। মানে আমি বিবাহিত । আমি অনেক খুশি ছিলাম। তারপর আমি বদনজরের ভয়ে কিছু পোস্ট করিনা পরে একটা পোস্ট দিই "ক্লান্ত হৃদয়টা প্রশান্ত হলো "এইরকম টাইপের একটা ভিডিও। আমার মা যদি বদনজর লাগায় এইজন্য মায়ের কাছেও কিছু বলিনা। অথচ তিনি জানেন আমি বিবাহিত । তারপর দেখি এক আপুর ১১টা প্রস্তাব আসছে একটা বিয়ের জন্য সামনে আাগায়নি। সে খাতায় এগুলো লিখে রাখছে।  তারপর দেখি একটা ছেলে দৌড়ে তার কাছে আসে। আমিও খুশি ছিলাম আপুরও বিয়ে হবে এটার জন্য।
এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?
উস্তাদ আমার জন্য একটু দুয়া করে দিয়েন। আল্লাহ যেন দ্রুত উত্তম জীবনসঙ্গী দান করেন । আমি অনেকটা হতাশায় ভুগছি...

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছে  
حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)
.
রুকুতে কমপক্ষে তিনবার রুকুর তাসবীহ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، - يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ - عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، - أَوْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ - عَنْ رَجُلٍ، مِنْ قَوْمِهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، بِمَعْنَاهُ زَادَ قَالَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَكَعَ قَالَ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ " . ثَلاَثًا وَإِذَا سَجَدَ قَالَ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى وَبِحَمْدِهِ " . ثَلاَثًا .

আহমদ ইবনে ইউনুস (রহঃ) .... উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত ... পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ। এতে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু করতেন, তখন “সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম ওয়া বিহামদিহি” তিনবার বলতেন। তিনি যখন সিজদা করতেন তখন “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা ওয়া বিহামদিহি” তিনবার পাঠ করতেন। (
[হাদীসটি সুনানগ্রন্থকারগণ ও ইমাম আহমাদ সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৭০; তিরমিযী, হাদীস নং ২৬২; নাসাঈ, হাদীস নং ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৯৭; আহমাদ, হাদীস নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩।] 

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে এসেছে  
"(سننها) رفع اليدين للتحريمة ... و تكبير الركوع و تسبيحه ثلاثًا... و تكبير السجود والرفع، وكذا الرفع نفسه، وتسبيحه ثلاثًا."
(کتاب الصلاۃ باب صفۃ الصلاۃ ج نمبر ۱ ص نمبر ۷۲،دار الفکر)
সারমর্মঃ রুকু সেজদার তাসবিহ সুন্নাত। 

সুতরাং রুকু সেজদার তাসবিহ যেহেতু সুন্নাত,তাই এগুলো একটার জায়গায় আরেকটা পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে,সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
তবে এটি সুন্নাত তরীকা নয়।
আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে আপনার নামাজ হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু দেওয়াটা অতিরিক্ত হয়েছে, এটা জরুরি ছিল না।

(০২)
এক্ষেত্রে আপনার কাপড়ে এক দিরহাম থেকে কম সাদা স্রাব লাগলে নামাজ হবে।

অন্যথায় নামাজ হবেনা।

(০৩)
আপনার দ্রুত বিবাহ হবে,ইনশাআল্লাহ। 
আল্লাহর কাছে দ্বীনদার জীবনসঙ্গী চাওয়ার পরামর্শ রইলো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+2 votes
1 answer 859 views
...