আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্ সম্মানিত উস্তাজ।
একজন মেয়ে তার বিয়ে হয় কয়েকমাস আগে তো মেয়েটিকে বিয়ের সময় প্রতারনা করতে বাধ্য করা হয়।সে এক চোখে প্রায় না দেখার মতো দেখা সেটা এবং তার বাবার চাকরির বিষয় মিথ্যা বলা হয়, মেয়েটি ২ টা অন্যায়েই বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল করেছিল কিন্তু পারেনি,কিন্তু এটা নিয়ে সে অনেক কানাকাটি করত ডিপ্রেশনে চলে গিয়ছিল তার নিজেকে অপরাী লাগ আর মনে হয় যে তার মনও হয়তো ঔ প্রতারনার গুনাহটার দিকে ধাবিত হয়েছিল,প্রশ্ন হলো এই মেয়েটিকি গুনাহগার হবে উল্লেখ্য কারনে?
বিয়ের পর থেকে মেয়েটির অনেক কিছু সহ্য করতে হয় পর্দা নিয়ে,আবার মেয়েটির স্বামী এমনিতে অনেক ভালোবাসে বাট মানসিকভাবে কষ্ট দেয়,এমন আদেশ করে যেগুলো পালন করা মেয়েটির পক্ষে খুবই কষ্টকর হয়ে যায়,

মেয়েটির নানা অসুস্থ ছিল দেখতে যেতে দেয়নি

অনলাইন মাদ্রাসয় নাজেরা পড়ত সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, বান্ধবির সাথে কথা বলতে দেয়না তার নাম্বার বল্ক করে দিয়েছে, ফোনে এমবি মিনিট কিছু দেয়না কাউকে ফোনও দিতে পারেনা,আবার মেয়েটার আম্মু ফোন দিলেও অনেক সময় রাগারাগি করে কল ধরতে বারন করে (আম্মু দিনে কয়েকবার কল দিলে) কিন্তু মেয়েটি শোনেনি,অনেক সময় রাগারাগি করে ফোন আছাড় দিবে,সিম পাল্লটে দিবে হুমকি ধামকি দেয়,মেয়েটি আম্মু আব্বুকে বারবার নালিশ দেয়া হয় যে তাদের মেয়ের জামাইর সাথে কথা বলি না এগুলো আরো অনেক কিছু বলা হয় তো আম্মু একদিন ঐমেয়ের জামাই কে রাগ করছে।পর্দা করা নিয়ে অনেক কথা শোনানো হয় এমনকি পাড়ার মানুষও এসে নানান কথা বলে।অনেক সময়ই মেয়েটার ইচ্ছার কোনো মূল্যই দেয়া হয় না,স্বামী চায় মেয়েটা তার কথামতো চলুক কিন্তু মেয়েটা চায় যে তার মতামতের গুরুত্ব দেয় হোক,কোমল ব্যাবহার করা হোক ইত্যাদি। মেয়েটি আবার মানসিক রোগ ওসিডিতে আক্রান্ত।।
মেয়েটি দ্বীনি ইলম শিখতে চায় অফলাইন(উস্তাজা বা মাদ্রাসা) নেই তাই অনলাইনে  করে সেখানেও বাধা দেয়া হয়।
মেয়েটির মায়ের সাথে কথা বলেনা জামাই,আবার আব্বুর সাথেও কতা বলেনাই মেয়েটি অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু বোঝাতে গেলে নিজেরই খারাপ লাগে কষ্ট দিয়ে ফেললে,গীবত এর ভয়ে বলতে পারেনা আবার বেয়াদবির ভয়ে প্রতিবাদও করতে পারে না আরো অনেক সমস্যা রয়েছে এমন।মেয়েটি ইদানিং মাঝে মাঝে ঐ ছেলেটাকে সহ্য করতে পারেনা,রাগ হয় আর অনেক কষ্ট হয়,মেয়েটার মনে চিন্তা আসে আমাকে কষ্ট না দিয়ে আম্মুর কাছে দিয়ে আসুক অন্যন্য চিন্তা।আবার স্বামী পরিবার দ্বীনদার ও না এই নিয়েও অনেক সমস্যা হয়, এখন মেয়েটি করনীয় কি?

দুয়া ওচেষ্টা চলমান আর মেয়েটি ওসিডিতে আক্রান্ত।জাঝাকাল্লহু খইর

1 Answer

0 votes
by (588,900 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

 মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

وَ عَاشِرُوۡہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ فَاِنۡ کَرِہۡتُمُوۡہُنَّ فَعَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّ یَجۡعَلَ اللّٰہُ فِیۡہِ خَیۡرًا کَثِیۡرًا ﴿۱۹﴾ 

 ‘আর তোমরা তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করো। আর যদি তাকে তোমার অপছন্দও হয়, তবু তুমি যা অপছন্দ করছ, আল্লাহ তাতে সীমাহীন কল্যাণ দিয়ে দেবেন।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আর তোমাদের উপর তাদের ন্যায়সঙ্গত ভরণ-পোষণের ও পোশাক-পরিচ্ছদের অধিকার রয়েছে’ (মুসলিম হা/১২১৮; মিশকাত হা/২৫৫৫)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো মুমিন পুরুষ মুমিন নারীর ওপর রুষ্ট হবে না, কেননা যদি তার কোনো কাজ খারাপ মনে হয়, তাহলে তার এমন গুণও থাকবে, যার ওপর সে সন্তুষ্ট হতে পারবে।’ (সহিহ মুসলিম হাদিস : ১৪৬৯) 

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নারীদের প্রতি ভালো আচরণের উপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৮৪)

অন্য হাদিসে রয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক ভালো মানুষ তারাই, যারা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১১৬২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনটির উপর তার স্বামী অবিচার করেছে।
এক্ষেত্রে তাকে পূর্ণ পর্দা করতেও দেয়নি,পূর্ণ ভাবে দ্বীনের পথে চলতে সহযোগিতা করেনি,সুতরাং এমতাবস্থায় বোনটির প্রতি পরামর্শ থাকবে, তিনি উভয় পরিবারের মুরুব্বিদের নিয়ে একটি বৈঠক করে তার স্বামীকে উক্ত বিষয়ে বুঝাবেন, ইনশাআল্লাহ আশা করি এতে সমাধান মিলবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
উস্তাজ ঐ যে বাধ্য করা হয়েছে প্রতারনা করতে উপরে এর জন্য কি সে গুনাহগার হবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...