আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
419 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/ ফজরের ফরজ নামাজের ওয়াক্ত সময় কম থাকায় প্রথম রাকাতে।সূরা কাউসার পড়া ফেলার পরে দ্বিতীয় রাকাতেও সূরা কাউসার পড়লে নামাজ আদায় হয়েছে কি? যেহেতু সূরা কাউসারের কোন ছোট ক্বিরাত আর নাই, তাই প্রথম রাকাতের চেয়ে ২য় রাকাআত যেন দীর্ঘ না হয় সেজন্য দুই রাকাআতেই সূরা কাউসার পড়েছি!

২/  শুধুমাত্র মাহরাম বানানোর জন্য অন্যের সন্তানকে দুধ পান করানো জায়েজ আছে কি? অন্য কোন জরুরত প্রয়োজন ব্যতীতই?
৩/ মাহরাম বানাতে হলে অন্যের সন্তানকে কতোমাস বয়সে দুধ পান করাতে হয়? কতোটুকু দুধ পান করাতে হবে?

৪/ কবর পূজারীরা এলাকাবাসী মানুষের থেকে টাকা তুলে খাবারের আয়োজন করে। সেখানে ধনী গরিব মিসকিন সবাইকে খাবার দেয়া হয়। যে জায়গায় তারা কবর পূজা করে সে বিল্ডিংয়ের উঠোনে। খাবারের আয়োজন  কী নিয়তে করে তা জানা নেই আমার।  প্রশ্ন   হলো - এই খাবার খাওয়া জায়েয আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিশিষ্ট ফাতাওয়া গ্রন্থ 'মারাক্বিল ফালাহ'তে বর্ণিত রয়েছে,
"و" يكره "تكرار السورة في ركعة واحدة من الفرض"
وقيد بالفرض لأنه لا يكره التكرار في النفل لأن شأنه أوسع لأنه صلى الله عليه وسلم قام إلى الصباح بآية واحدة يكررها في تهجده وجماعة من السلف كانوا يحيون ليلتهم بآية العذاب أو الرحمة أو الرجاء أو الخوف
ফরয নামাযে একি রা'কাতে এক সূরাকে বারংবার তেলাওয়াত করা মাকরুহ।নফল নামাযে মাকরুহ নয়।কেননা নফলের মধ্যে প্রশস্ততা রয়েছে।রাসূলুল্লাহ সাঃ এক আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করে তাহাজ্জুদের নামায পড়েছেন।এবং সালাফগণ রহমত-আযাব ইত্যাদির একি আয়াত দ্বারা সারারাত্র নফল নামায পড়তেন।(মারাক্বিল ফালাহ-১/১২৯)আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিস্তারিত জানুন- 495

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ওয়াক্ত সংকির্ণতার কারণে আপনি একই সূরাকে বারংবার পড়েছেন,তাই আপনার নামায মাকরুহ হবে না।বরং মাকরুহ ছাড়াই আদায় হয়েছে।

(২)
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সন্তানকে দুধ পান করানোর মেয়াদ চান্দ্র বছর হিসেবে দুই বছর। কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (তরজমা) আর মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে। (এ বিধান) তার জন্য যে দুধ পানের (মেয়াদ) পূর্ণ করতে চায়। [সূরা বাকারা : ২৩৩] আরেক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, আর তার (সন্তান) দুধ ছাড়ানো হয় দু বছরে। [সূরা লুকমান : ১৪] সুতরাং দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর সন্তানকে আর দুধ পান করানো যাবে না।[সূরা বাকারা : ২৩৩; তাফসীরে তবারী ৪৯৬২; মুখতাসারুত তহাবী ২২০; ফাতহুল কাদীর ৩/৩০৯; গুনইয়াতু যাবীল আহকাম শুরুম্বুলালীয়া ১/৩৫৫, ৩৫৬; আলবাহরুর রায়েক ৩/২২৩] 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শুধুমাত্র মাহরাম বানানোর জন্য অন্যের সন্তানকে দুধ পান করানো জায়েজ নয়। 

(৩) মাহরাম বানাতে হলে অন্যের সন্তানকে দুই বৎসর মতান্তরে আড়াই্ বছরের বয়সের ভিতর দুধ পান করাতে হবে।

(৪)
যেহেতু কবর পুজারীরা এই কবর পূজার তাবারুক হিসেবে, এই খাবারের আয়োজন করে থাকে,তাই এই খাবারে অংশগ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 152 views
...