ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিশিষ্ট ফাতাওয়া গ্রন্থ 'মারাক্বিল ফালাহ'তে বর্ণিত রয়েছে,
"و" يكره "تكرار السورة في ركعة واحدة من الفرض"
وقيد بالفرض لأنه لا يكره التكرار في النفل لأن شأنه أوسع لأنه صلى الله عليه وسلم قام إلى الصباح بآية واحدة يكررها في تهجده وجماعة من السلف كانوا يحيون ليلتهم بآية العذاب أو الرحمة أو الرجاء أو الخوف
ফরয নামাযে একি রা'কাতে এক সূরাকে বারংবার তেলাওয়াত করা মাকরুহ।নফল নামাযে মাকরুহ নয়।কেননা নফলের মধ্যে প্রশস্ততা রয়েছে।রাসূলুল্লাহ সাঃ এক আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করে তাহাজ্জুদের নামায পড়েছেন।এবং সালাফগণ রহমত-আযাব ইত্যাদির একি আয়াত দ্বারা সারারাত্র নফল নামায পড়তেন।(মারাক্বিল ফালাহ-১/১২৯)আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিস্তারিত জানুন-
495
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ওয়াক্ত সংকির্ণতার কারণে আপনি একই সূরাকে বারংবার পড়েছেন,তাই আপনার নামায মাকরুহ হবে না।বরং মাকরুহ ছাড়াই আদায় হয়েছে।
(২)
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সন্তানকে দুধ পান করানোর মেয়াদ চান্দ্র বছর হিসেবে দুই বছর। কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (তরজমা) আর মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে। (এ বিধান) তার জন্য যে দুধ পানের (মেয়াদ) পূর্ণ করতে চায়। [সূরা বাকারা : ২৩৩] আরেক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, আর তার (সন্তান) দুধ ছাড়ানো হয় দু বছরে। [সূরা লুকমান : ১৪] সুতরাং দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর সন্তানকে আর দুধ পান করানো যাবে না।[সূরা বাকারা : ২৩৩; তাফসীরে তবারী ৪৯৬২; মুখতাসারুত তহাবী ২২০; ফাতহুল কাদীর ৩/৩০৯; গুনইয়াতু যাবীল আহকাম শুরুম্বুলালীয়া ১/৩৫৫, ৩৫৬; আলবাহরুর রায়েক ৩/২২৩]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শুধুমাত্র মাহরাম বানানোর জন্য অন্যের সন্তানকে দুধ পান করানো জায়েজ নয়।
(৩) মাহরাম বানাতে হলে অন্যের সন্তানকে দুই বৎসর মতান্তরে আড়াই্ বছরের বয়সের ভিতর দুধ পান করাতে হবে।
(৪)
যেহেতু কবর পুজারীরা এই কবর পূজার তাবারুক হিসেবে, এই খাবারের আয়োজন করে থাকে,তাই এই খাবারে অংশগ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।