আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।  অসুস্থতার জন্য আমি নিয়মিত পিল খাই। পিল খাওয়ার মধ্যেই একদিন সহবাসের পর একটু ব্লাড গিয়েছে, পিল যেহেতু খাচ্ছিলাম, পিরিয়ড ভাবিনি, আমরা এটাকে হাল্কা স্পটিং ভেবেছিলাম, এরপর আর ব্লিডিং তখন হয় নি, তাই আবার সহবাস করেছি। এরপর আবার একটু অল্প পরিমান লাল ব্লাডের মত গিয়েছে।
এর মাঝে নামাজ ও আদায় করেছি।
আগের বারের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার ১৫ দিন পার হয়েছে।
এখন আমি কি আর নামাজ আদায় করব? অই দ্বিতীয় বারের সহবাসের জন্য কাফফারা আদায় করতে হবে? আমরা বুঝতে পারিনি তখন। এক মাসের পিল খাওয়া শেষ হলে সামনে ১০ দিনের মধ্যে আবার ব্লিডিং হওয়ার সম্ভবনা আছে

1 Answer

0 votes
by (592,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২য় বার যে ব্লাড এসেছিলো,সেটি ১ম বার ব্লাড আসার কতদিন পর এসেছিলো?

যদি ৩ দিন পর এসে থাকে,অথবা ১০ দিনের মধ্যে আবারো ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণ হায়েজ বলে গন্য হবে।

এমতাবস্থায় নামাজ আদায় করা ও সহবাস করা কোনোটিই জায়েজ নেই। 

এক্ষেত্রে সহবাসের দরুন কাফফারা আদায় করতে হবেনা। তবে খালেস দিলে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।

আর যদি ২য় বারের ব্লাড ৩ দিনের আগেই এসে থাকে,আর ১০ দিনের মধ্যে কোনো ব্লাড না আসে,সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ নয়।

চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই,এমতাবস্থায় সহবাসের দরুন কোনো গুনাহ হয়নি। নামাজ চালিয়ে যেতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
২য় বারের টা সেদিন ই ছিল, একই দিনে
by (592,050 points)
এক্ষেত্রে ১০ দিনের মধ্যে আবারো ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণ হায়েজ বলে গন্য হবে।

এমতাবস্থায় নামাজ আদায় করা ও সহবাস করা কোনোটিই জায়েজ নেই। 

এক্ষেত্রে সহবাসের দরুন কাফফারা আদায় করতে হবেনা। তবে খালেস দিলে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।

আর যদি ১০ দিনের মধ্যে কোনো ব্লাড না আসে,সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ নয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...