আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
600 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
আসসালামু-আলাইকুম উস্তায,,
কেউ টয়লেটে প্রবেশের দু'আ পড়ে টয়লেটে গেলো,,এরপর সে প্রস্রাব বা পায়খানারত অবস্থায় কোন জিকির যেমন,,আসতাগফিরুল্লহ্ বা অন্য কোন জিকির,, মুখে না বলে শুধু মনে মনে বললে থাকলো।।এতেকি তার পাপ হবে?? এ সম্পর্কে কি বিধান রয়েছে জানলে খুবই উপকৃত হবো ইন শা আল্লাহ্।।।

1 Answer

+1 vote
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে-
ﻋﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮ ﺭﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨْﻬُﻤﺎ "ﺃﻥَّ ﺭﺟُﻼً ﻣﺮَّ ﻭﺭﺳﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠَّﻢ - ﻳﺒﻮﻝُ ﻓﺴﻠَّﻢ ﻓَﻠَﻢْ ﻳﺮُﺩَّ ﻋﻠﻴﻪ"
রাসূলুল্লাহ প্রস্রাব করতেছিলেন,এমতাবস্থায় একব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলো।উক্ত ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে সালাম করলো কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাঃ সালামের কোনো জবাব দেননি।(সহীহ মমুসলিম-৩৭০)

মুহাজির ইবনে কুনফুয রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭﻋﻦِ ﺍﻟﻤُﻬﺎﺟﺮ ﺑﻦ ﻗﻨﻔﺬ ﺃﻧَّﻪ ﺃﺗَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒﻲَّ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠَّﻢ ﻭﻫﻮ ﻳﺒﻮﻝ ﻓﺴﻠَّﻢ ﻋﻠﻴﻪِ ﻓﻠَﻢْ ﻳَﺮُﺩَّ ﻋﻠﻴْﻪِ ﺣﺘَّﻰ ﺗﻮﺿَّﺄ، ﺛُﻢَّ ﺍﻋﺘَﺬَﺭَ ﺇﻟﻴْﻪِ ﻓﻘﺎﻝ : " ﺇﻧِّﻲ ﻛﺮِﻫْﺖُ ﺃﻥ ﺃﺫْﻛُﺮَ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰَّ ﻭﺟﻞَّ ﺇﻻ ﻋﻠﻰ ﻃُﻬْﺮ ﺃﻭ ﻗﺎﻝَ : ﻋﻠﻰ ﻃﻬﺎﺭﺓ "
একবার তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট আসলেন,এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রস্রাব করতেছিলেন।তিনি সালাম করলে তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ ওজু করার পূর্ব পর্যন্ত তার সালামের কোনো জবাব দেননি।অতঃপর তাকে কারণ বর্ণনা করে বললেন যে,অপবিত্র অবস্থায় আল্লাহর যিকির করাকে আমি অপছন্দ করি।(সুনানে আবু-দাউদ-১৭)

ইমাম নববী রাহ বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨَّﻮﻭﻱُّ ﺭﺣِﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺏ " ﺍﻷﺫﻛﺎﺭ :" " ﻳُﻜْﺮَﻩُ ﺍﻟﺬِّﻛﺮُ ﻭﺍﻟﻜﻼﻡُ ﺣﺎﻝَ ﻗﻀﺎﺀِ ﺍﻟﺤﺎﺟﺔ ﺳﻮﺍﺀٌ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﺼَّﺤﺮﺍﺀِ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺍﻟﺒُﻨْﻴَﺎﻥ، ﻭﺳﻮﺍﺀٌ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﺟَﻤﻴﻊ ﺍﻷﺫﻛﺎﺭِ ﻭﺍﻟﻜﻼﻡ ﺇﻻ ﻛﻼﻡ ﺍﻟﻀَّﺮﻭﺭﺓ، ﺣﺘَّﻰ ﻗﺎﻝ ﺑﻌﺾُ ﺃﺻﺤﺎﺑِﻨﺎ : ﺇﺫﺍ ﻋﻄِﺲَ ﻻ ﻳَﺤﻤَﺪ ﺍﻟﻠَّﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ، ﻭﻻ ﻳﺸﻤِّﺖُ ﻋﺎﻃِﺴًﺎ ﻭﻻ ﻳﺮﺩُّ ﺍﻟﺴَّﻼﻡ، ﻭﻻ ﻳُﺠﻴﺐ ﺍﻟﻤﺆﺫِّﻥ، ﻭﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤُﺴَﻠِّﻢ ﻣُﻘَﺼِّﺮًﺍ ﻻ ﻳَﺴﺘﺤﻖُّ ﺟﻮﺍﺑًﺎ، ﻭﺍﻟﻜﻼﻡ ﺑِﻬﺬﺍ ﻛﻠِّﻪ ﻣﻜﺮﻭﻩٌ ﻛﺮﺍﻫﻴَﺔَ ﺗَﻨﺰﻳﻪٍ ﻭﻻ ﻳَﺤﺮﻡ، ﻓﺈﻥْ ﻋَﻄِﺲَ ﻓَﺤَﻤِﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺑﻘَﻠْﺒِﻪ ﻭﻟﻢ ﻳُﺤﺮِّﻙ ﻟِﺴﺎﻧَﻪ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ، ﻭﻛﺬﻟﻚ ﻳَﻔﻌَﻞُ ﺣﺎﻝَ ﺍﻟﺠِﻤﺎﻉ ."
বাথরুম করার সময়ে আল্লাহর যিকির বা কথা বলা মাকরুহে তানযিহি। চায় বাথরুম ঘরে হোক বা বাহিরে খোলা মাঠে হোক। এবং সব রকম কথাবার্তাই মাকরুহে তানযিহি। তবে প্রয়োজনের কথাবার্তা অবশ্যই জায়েয।এমনকি আমাদের উলামায়ে কেরাম বলেন, বাথরুমে থাকাবস্থায় কেউ হাঁচি দিলে,তখন সে 'আলহামদু-লিল্লাহ' বলতে পারবে না, এবং বাথরমে থাকাবস্থায় কেউ হাঁচির জবাবে 'ইয়ারহামুকাল্লাহ' ও বলতে পারবে না।সালামের জবাব দিতে পারবে না।আ'যানের জবাব দিতে পারবে না।এ সময় কথাবলা মাকরুহে তানযিহি,হারাম নয়।তাই মনের ভিতর যিকিরকে ঠোট নাড়ারো ব্যতীত উপস্থিত করবে।সহবাসের বিষয়টাও ঠিক এরকম।তথা সে সময়ও যিকির করা মাকরুহে তানযিহি। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 732

সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
প্রস্রাব বা পায়খানারত অবস্থায় মনে মনে জিকির করতে পারবেন।এতে কোনো প্রকার পাপ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...