আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
edited by
(১)
শয়তানের ধোকায় পড়ে,এখন এই young generation যে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় এটার কারণ আমার মনে হয় এরা বিয়ে মানে আলাদা একটা ঝামেলা হিসাবে নেই । ঝামেলা হিসাবে নেয় কেনো? কারণ মনে করে বিয়ে করতে হলে ইনকাম করতে হবে তারপর সংসার করতে হবে ।এই হচ্ছে তাদের ধ্যান-ধারণা বিয়ে সম্পর্কে। কিন্তু খেয়াল করে দেখলে দেখা যায় এরা আবার বলে যে girlfriend এর প্যারা,তারপর এদের ছ্যাকা খাওয়া অর্থাৎ break up হয়ে যাওয়া তো আছেই । কিন্তু দেখেন যে, এই কাজে কিন্তু শয়তানই মজা দেয় , যে আরে এইটাই তো মজা খালিখালি বিয়ে করে আরেক ঝামেলা ।
এখন আমার কথা হলো, বিয়ে করে gf bf এর মতো চলাফেরা করা যায়না? এমন না যে যখন সে ইনকাম করবে তখন ছারা বিয়ে করা যাবেনা। একটা simple logic দিয়ে বুঝেন যে কাজ বৈধভাবে করা সহজ same সেইটা ওরা  অবৈধভাবে সেটা করছে,লুকিয়ে লুকিয়ে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছ । ওই যে শয়তান বোকা বানাচ্ছে যে এর ভিতরেই তো মজা। যারা বিয়ে করেছেন তারা বলেন তো  আসলে কোনটা সহজ আর মজা । একটা উদাহরণ দিই,
ধরেন একজন একটা smartphone কিনবে।এখন সে দেখল যে ওই smartphone টার price officially and unofficially same but মাঝখান থেকে শয়তান বোঝালো যে unofficial টাই ভালো ।আসলে কিন্তু official টাই ভালো।এভাবে শয়তান বৈধ অবৈধ সম্পর্কের মধ্যে বোকা বানিয়ে অবৈধ সম্পর্কের দিকে নিয়ে যায়।আমার কথা হলো যদি তারা সত্যিই একে-অপরকে ভালোবাসে তাহলে বিয়ে করে ফেলুক । আর ইনকাম শুরু করবে তখন সংসার করুক এতে তো কোনো সমস্যা নাই।তাছাড়া ইসলামে তো ৪ টা বিয়ে জায়েয আছে তাহলে কেনো অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হবেন।বৈধভাবে gf bf এর মতো থাকুন কোনো সমস্যা তো নাই। আমার মতামতে কী কোনো ইসলাম বিরোধি ভাবনা বা কথা আছে? উপরে কথা অনুযায়ী ভেবে দেখেন যে কাজ বৈধ উপায়ে করা যায় সেটা বোকার মতো অবৈধভাবে করছে,ওই যে শয়তান বোকা বানাচ্ছে।

(২)

প্রশ্ন: আমরা সালাম দিয়ে বলি আসসালামু আলাইকুম। এই সালাম দেয়ার আরবি বাক্য দুইটা কি হাদিস থেকে এসেছে নাকি কোরআন থেকে? একটু বুঝিয়ে বললে উপকৃত হবো।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
সমাধানঃ-
(১)
আপনার চিন্তা-ভাবনাই সঠিক। অবৈধ প্রেম ভালাবাসা শয়তানের ফাঁদ। এ ফাঁদ থেকে আমাদেরকে বাঁচতে হবে।

(২)
আস-সালামু শব্দ سلِم-يسلَم ধাতু থেকে নির্গত,যার অর্থঃনিরাপদ,বেকসুর,ধন্যবাদ ইত্যাদি,এখানে উদ্দেশ্য হল,সালাম প্রদত্ত ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন বিপদাপদ থেকে থেকে মুক্তির দু'আ করা।
শাব্দিক বিবেচনায় তার অনেক অর্থ হতে পারে যথাঃ-
(১)এটা আল্লাহর তা'আলার নাম সমূহের একটি নাম যেমনঃ-
 :- ﴿ ﺍﻟْﻤَﻠِﻚُ ﺍﻟْﻘُﺪُّﻭﺱُ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﴾ [ ﺍﻟﺤﺸﺮ 23 : ،(
(২)জান্নাতের একটি নাম যেমনঃ-
) ﺍﻟﺠﻨﺔ ﺗﺴﻤﻰ ﺩﺍﺭ ﺍﻟﺴﻼﻡ( 
(৩)রোগমুক্ত,বিপদাপদ মুক্ত থাকাকে সালাম বলা হয়।

পরিভাষায় "সালাম"বলা হয়, শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শব্দ দ্বারা কোনো মুসলমানকে সম্ভাষণ করা।
সালাম কোরআন এবং হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, তবে কোরআনে কারীমে আংশিকভাবে সালামের হুকুম-আহকাম ও আ'দাব বর্ণনা করা হয়েছে,এবং হাদীসে তার বিশদ বিবরণ ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে,যেমনঃসালাত,সাওম,হজ্ব ইত্যাদির বেলায় হয়েছে।মুসলিম সমাজে আদিকাল থেকে যে "সালাম"চলে আসছে তা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত ও বাস্তবায়িত হয়েছে,অর্থ্যাৎ নবীজী সাঃএর শিক্ষার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে।কেননা হাদীসে আল সহ "আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু বর্ণিত আছে যেটা নবীজী সাঃএর যুগ থেকে চলে আসছে, হ্যা কোরআনে কারীমে যদিও কোথাও উপরোক্ত শব্দে সালাম বর্ণিত নেই ,তবে সালাম বা সমার্থবোধক শব্দ কোরআনের প্রায় অনেক জায়গায় এসেছে,যেমনঃ-

ﻭﻻ ﺗﻘﻮﻟﻮﺍ ﻟﻤﻦ ﺃﻟﻘﻰ ﺇﻟﻴﻜﻢ "ﺍﻟﺴﻼﻡ" ﻟﺴﺖ ﻣﺆﻣﻨﺎ { ( ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 94

: } ﻻ ﺗﺪﺧﻠﻮﺍ ﺑﻴﻮﺗﺎ ﻏﻴﺮ ﺑﻴﻮﺗﻜﻢ ﺣﺘﻰ ﺗﺴﺘﺄﻧﺴﻮﺍ ﻭﺗﺴﻠﻤﻮﺍ ﻋﻠﻰ ﺃﻫﻠﻬﺎ { ( ﺍﻟﻨﻮﺭ 27: ) .

ﻟﻬﻢ ﺩﺍﺭ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻨﺪ ﺭبهم، ﺍﻷﻧﻌﺎﻡ 127:

ﻳﻬﺪﻱ ﺑﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﺗﺒﻊ ﺭﺿﻮﺍﻧﻪ ﺳﺒﻞ ﺍﻟﺴﻼﻡ { ( ﺍﻟﻤﺎﺋﺪﺓ 16

ﻳﺎ ﺃﻳﻬﺎ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺁﻣﻨﻮﺍ ﺍﺩﺧﻠﻮﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﻠﻢ ﻛﺎﻓﺔ { ( ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ 208:

ﻭﺇﺫﺍ ﺟﺎﺀﻙ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺆﻣﻨﻮﻥ ﺑﺂﻳﺎﺗﻨﺎ ﻓﻘﻞ ﺳﻼﻡ ﻋﻠﻴﻜﻢ { ( ﺍﻷﻧﻌﺎﻡ 54: )

: } ﻓﺈﺫﺍ ﺩﺧﻠﺘﻢ ﺑﻴﻮﺗﺎ ﻓﺴﻠﻤﻮﺍ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻔﺴﻜﻢ { ( ﺍﻟﻨﻮﺭ 61: )

ﻗﻴﻞ ﻳﺎ ﻧﻮﺡ ﺍﻫﺒﻂ ﺑﺴﻼﻡ ﻣﻨﺎ { ( ﻫﻮﺩ 48: )

} ﺍﺩﺧﻠﻮﻫﺎ ﺑﺴﻼﻡ ﺁﻣﻨﻴﻦ { ( ﺍﻟﺤﺠﺮ 46

} ﺳﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﻧﻮﺡ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ { ( ﺍﻟﺼﺎﻓﺎﺕ 79

} ﺳﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ { ( ﺍﻟﺼﺎﻓﺎﺕ 109

: } ﻭﺇﺫﺍ ﺧﺎﻃﺒﻬﻢ ﺍﻟﺠﺎﻫﻠﻮﻥ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺳﻼﻣﺎ { ( ﺍﻟﻔﺮﻗﺎﻥ 63

} ﻓﺎﺻﻔﺢ ﻋﻨﻬﻢ ﻭﻗﻞ ﺳﻼﻡ { ( ﺍﻟﺰﺧﺮﻑ 89

﴿ ﻭَﺗَﺤِﻴَّﺘُﻬُﻢْ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺳَﻼَﻡٌ ﴾ [ ﻳﻮﻧﺲ : 10 ] ،

﴿ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺣُﻴِّﻴﺘُﻢ ﺑِﺘَﺤِﻴَّﺔٍ ﻓَﺤَﻴُّﻮﺍ ﺑِﺄَﺣْﺴَﻦَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺃَﻭْ ﺭُﺩُّﻭﻫَﺎ ﴾ [ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 86 : ] ،

এবং বিভিন্ন হাদীসে সালামের তাগিদ এসেছে,
এবার মূল প্রশ্নে আসা যাক বর্তমান সালাম পদ্ধতি বা সালামের শব্দাবলী কি কোরআনে এসেছে নাকি হাদীসে এসেছে?
একথা নির্ধিদায় বলা যায় যে,বর্তমান সালাম পদ্ধতি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ও বাস্তবায়িত,কোরআনে সালামের ফযিলত ও গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে কিন্ত সালামের শব্দাবলী উল্লেখ করা হয়নি,কিন্ত হাদীসে উল্লেখ আছে।(যেহেতু তা নক্বল দ্বারা প্রমাণিত  বিধায় তাতে বাড়ানো-কমানোর  আর কোনো সুযোগ নেই)
যেমন হাদীস শরীফে এসেছে......
 وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - «أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، فَرَدَّ عَلَيْهِ، ثُمَّ جَلَسَ. فَقَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَشْرٌ "، ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ، فَجَلَسَ، فَقَالَ: " عِشْرُونَ ". ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، فَرَدَّ عَلَيْهِ، فَجَلَسَ فَقَالَ: " ثَلَاثُونَ» " رَوَاهُ التِّزْمِذِيُّ، وَأَبُو دَاوُدَ.
হযরত ঈমরান ইবনে হুসাইন রাঃথেকে বর্ণিত,একব্যক্তি নবীজী সাঃ এর কাছে এসে বললঃ السَّلَامُ عَلَيْكُم(আসসালামু আলাইকুম)নবীজী সাঃতার সালামের জবাব প্রদান করলেন।অতঃপর নবীজী সাঃবসে বললেনঃদশ(নেকি অর্জিত হয়েছে)অতঃপর আরেক ব্যক্তি এসে বললঃ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ(ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ)নবীজী উত্তর প্রদান করে বললেন বিশ, অতঃপর আরেক ব্যক্তি এসে বললঃ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَات(আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু)তখন নবীজী সাঃউত্তর দিয়ে বললেন ত্রিশ(নেকি অর্জিত হয়েছে)(মিরকাতুল মাফাতিহ-৪৬৪৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...