সন্দেহ যুক্ত কেনায়া তালাকের ফয়সালা

Question

আমার স্ত্রী কোন এক হুজুরের ওয়াজ শুনে এরকম যে "যদি স্বামী তার স্ত্রীকে বলে তোমাকে ছেড়ে দিলাম, তবে এই কথার দাড়াও তালাক হয়ে যায়। " তখন আমার স্ত্রীর মনে পরে  অনেক দিন আগের কথা। আজ থেকে প্রায়। ১.৫/২ বছর আগে, আমার স্ত্রী আমার পারিবারিক কোন এক বিষয় নিয়ে অনেক পেরেশানিতে ছিল আর বার বার বলছিলো যে আমার আর এই অশান্তি ভালো লাগে না।  আমি এগুলো আর নিতে পারছি না। আমাকে এই অশান্তি থেকে মুক্তি দে। (এর কথাগুলোর আগে তুই আমাকে ছেড়ে দে এরকম কথা বলেছিলো কিনা তার স্পষ্ট মনে নেই।) আমি তখন চুপ ছিলাম। পরে তাকে আমি বলি যে: আচ্ছা। সে বলে: আচ্ছা কি? আমি বলি: মুক্তি দিলাম।  পরে সে বলে: (আবার বল/দিলি ত?) এখানে সে কোনটা বলেছে সে নিশ্চিত নয়।  পরে আমি বলি: হ্যা, দিলাম।

প্রথমে সে আমাকে বলে এরকম ঘটেছে আমার মনে আছে কিনা।  প্রথমে আমি মনে করতে পারি নি।  আমি বলেছি এরকম কিছু ঘটে থাকলে ত আমাদের মনে পরতো। কারণ কেনায়া শব্দ সম্পর্কে আমরা আগেও জেনেছিলাম। কিন্তু তখন ত এরকম কিছু মনে পরে নি।  ঐদিন শুক্রবার ছিল। পরে আমি নামাজে গেলে আমার মনে পরে যে "এরকম সে আমার কাছে মুক্তি চাচ্ছিলো বলে চিল্লাচিল্লি করছিলো পরে তাকে থামানোর জন্যে আমি বলি যে: আচ্ছা মুক্তি দিবো।  পরে সে আমাকে বলে : না তোকে আমি বিশ্বাস করি না, তুই প্রমিজ কর।  আমি পরে প্রমিজ করছি। পরে সে বলে তোর দেয়া লাগবে না, আমিই বাড়ি যেয়ে তোকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবো। " এরকম কথা তাকে বলার পর সে বলে যে প্রমিজ করিয়েছে এবং পরে বাড়ি যেয়ে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর কথা সেটা তারও মনে পড়েছে।  আমি বলেছি মুক্তি দিবো বলেছি। দিলাম ত  বলি নি। কিন্তু তার বিশ্বাস যে মূলত দিলাম ই বলেছি।

আমাদের দুইজনের এই দুইরকম কথা মনে পড়ায় এখানে ফয়সালা কি হবে? ঐ সময় আমরা কেউই কেনায়া শব্দের বেপারে কিছুই জানতাম না। কিন্তু এরও ৬/৭ মাস পরে কেনায় শব্দ সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু এই ঘটনার বেপারে কিছুই মনে পরে নি।  হুজুরের বয়ান শুনেই হুট্ করে আমার স্ত্রীর এই ঘটনা মনে পরে। আমার স্ত্রীকে আমি এই কোথাও বলেছি যে দিলাম বললে পরে আমাদের মনে পড়তো কিন্তু নিশ্চই দিবো বলেছি দেখে এই কথা আমরা ভুলে গেছি।  আর দিবো বললে ত তালাক হয় না। যাইহোক, অনুগ্রহ করে ফয়সালা জানালে উপকৃত হবো। আল্লাহ না করুক এখানে তালাকের ফয়সালা হলে কয় তালাক হবে সেটাও জানাবেন ইন-শা-আল্লাহ।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনারা সরাসরি আপনাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করবেন।তারপর উনার পরামর্শ অনুযায়ী কোনো দারুল ইফতায় সরাসরি যোগাযোগ করবেন।জাযাকুমুল্লাহ।