আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in ওয়াসওয়াসা by (4 points)
পথম প্রশ্ন (১)আসসালামুয়ালাইকুম পিও হুজুর কোনো এক হুজুরের কাছে আমি মাসআলা জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন যে পতি মাসআলা ৫০০ টাকা করে দিতে হবে রাজী থাকলে বলুন আমরা নম্বর দেবো। তার পর আমি এটা নিয়ে মনে মনে ভাবলাম যে আমি হুজুর কে আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে বলবো আগে তার পর যদি আমি ইচ্ছাকিত ভাবে যদি টাকা না দি তাহলে আমার বউ তালাক এটা আমি মনে ভাবলাম যে হুজুরকে এমন ভাবে বলবো এখন আমার মনে ভাবনা এলো যে আমি কি এটা মনে মনে বললাম নাকি উচ্চারণ করে বললাম আর যদি এই মতো আমি হুজুর কে ফোন করে আমার প্রশ্নের উত্তর না চাই আর তার পর হুজুর কে টাকা না পাঠাই আমার বউ কি তালাক হয়ে যাবে কিন্তু আমি তো এটা ভাবছি এমন ভাবে হুজুরকে বলবো। এখন আমার মেন প্রশ্ন দাঁড়ালো যে আমি আবার সেই হুজুরের কাছে এই বিষয়ে মাসআলা নিতে তানাকে প্রশ্ন করি তো তিনি আমাকে বলেন যে না প্রশ্ন ক্ষেতে কোন তালাক হয়নি এবং শর্তযুক্ত তালাক ও হয় নি  কিন্তু আমি সেই হুজুরকে বাংলাদেশি টাকায় 500 টাকা পাঠায় কিন্তু ভারতের টাকায় সেটা ছিল 437 টাকা  তো আমি যখন মনে মনে ভাবী বা  উচ্চারণ করে বলি সেটা তো আমার মনে নেই কিন্তু সেই সময় আমি হুজুর কে কত টাকা দেবো সেটা মনে মনে  বলেছি বা মুখে উচ্চারণ করে বলেছি সেটা এখন আমার আর মনে পড়ছেনা কিন্তু  আমার যতটা মনে পড়ে যে সেই সময় আমি কত টাকা হুজুরকে দেবো সেটা ভাবিনি বা বলিনি কিন্তু পরে হয়তো আমি হুজুরকে ম্যাসেজ করে বলেছি যে ভারতের টাকায় 300 টাকা দেবো কিন্তু আমি ভারতের টাকায় 437 টাকা দিয়েছে তো এতে কী তালাক হবে বা শর্তযুক্ত তালাক রুপে গণ্য হয়েছে দোয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন।                                                                                      দ্বিতীয় প্রশ্ন(২) হুজুর একদিন আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলাম সেটা আমার এখন সঠিক মনে পড়ছে না যে কি নিয়ে কথা বলছিলাম তবে এত টুকু মনে আছে কে আমরা হেঁসে হেঁসে কথা বলছিলাম কেও রেগে ছিলাম না বা ঝগড়া করছিলাম না আমি সেই সময় বলেছি যে আমি তোমার কেও না তার পর আমি এটা নিয়ে ভাবনাই পড়ে গেলাম যে এটা কি কেনায় শব্ধ কিন্তু আমার অন্তরে তো জাররা পরিমাণে ও আমার স্ত্রীকে তালাক দেবার নিয়ত নিয়ে ওই কথা বলিনি আমার স্ত্রী আমাকে কতটা ভালোবাসে সেটা জানার জন্য আমি এই রকম কথা বলেছি এতে কি তালাক হবে আমার মধ্যে কোনো তালাকের নিয়ত ছিলনা আমার এত টুকু মনে আছে দোয়া করে জানাবেন প্লিজ।                আমার তিন নম্বর প্রশ্নের (৩) আমি একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠি টয়লেট যাবার জন্য সেই সময় আমি কিছুটা অলস ছিলাম ঘুম থেকে উঠলে যেমন অলস থাকে সই রকম আমার মধ্যে তখন তালাক শব্ধ জাগ্রত হয় আমি মুখে উচ্চারণ করিনি আমার জবান তখন বন্ধ ছিল আমার মনে আছে শুধু তালাক শব্দটা উদিত হলো এবং সেই সময় আমার স্ত্রী ঘুমাচ্ছিল আমি আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য ও করিনি এতে কি তালাক হবে দয়াকরে জানাবেন প্লিজ    আমার চার নাম্বার প্রশ্ন (৪) কেও যদি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে কিন্তু তার অতীতের কথা মনে পড়ছে না পুরো পুরি কারন সে তার স্ত্রীর সামনে তার স্ত্রীকে কোনোদিন তালাক দেয়নি কিন্তু ওসওসার জুলুমের শিকার হয়ে যদি তালাক দিয়ে দেয় কিন্তু তার ভালোভাবে মনে পড়ছেনা যে সে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে কি কিন্তু সন্দেহ হয় যে তালাক হলো কি হলো না এতে কী তালাক পতিত হয় বা হয়তো সত্যি সে ওসওসার শিকার হয়ে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে কিন্তু পর সে মনে করতে পারেনা যে সে কি তালাক দিয়েছে কি তালাক দেয়নি এতে কি তালাক পতিত হয় আমরা কিছু কাজ কথা বলে যদি পরিষ্কার মনে না করতে পারি আল্লাহ্ সুভানাতলা কি তার জন্যে মাপ করে দেন যদিও সেটা এমন হয় যে সে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে মনে করতে পারছনা বা পরিষ্কার ভাবে মনে করতে পারছে না আমার এই চারটি পশ্নের উওর আলাদ আলাদ পয়েন্ট করে দেবেন প্লিজ আপনাদের কাছে এটা আমার অনুরোধ রইলো আপনাদেরকে সবাইকে আল্লাহ্ সুবহানাতলা অনেক উঁচু মাকায়ম দান করুক আমিন

1 Answer

0 votes
by (67,560 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/103624/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায় এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না

আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন - https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

,

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

,

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

,

রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)

,

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

,

আপনি সব রকম ওয়াসওয়াসা পরিহার করে চলবেন। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (4 points)
হুজুর আমি কোর্সটি কমপ্লিট করেছি আমি কি এখন আমার পশ্নের উওর পেতে পারি

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 48 views
...