ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/47928/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ
ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ
ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ
، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সা. বলেন- তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ
দেখে, তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে, না পারলে মুখ দিয়ে
এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।
(সহীহ মুসলিম-৭৩)
,
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে, হালালকে
হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে
দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1982
,
সুতরাং যে সব অনুষ্ঠানে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হবে বা
হচ্ছে, সে সকল অনুষ্ঠান বা মজলিস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে
হবে। এটাই মূলত হুকুম। বিস্তারিত- https://www.ifatwa.info/2867
,
■ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَتَعَاوَنُوا
عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও
সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ
তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা মায়েদা, আয়াত
২)
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
উক্ত খাবারে যদি হারাম
কিছু না থাকে তাহলে তা খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উক্ত অনুষ্ঠানে যদি শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হয় তাহলে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া বা
টাকা দেওয়া জায়েজ হবে না।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি ঐ
টাকাগুলো তারা শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড অনুষ্ঠানে বা কাজে ব্যয় করে থাকে
তাহলে এ টাকা দেওয়া জায়েজ হবে না। কারণ, হারাম
কাজে সহযোগিতা করা জায়েজ নয়। আর যদি বৈধ কাজে ব্যয় করে থাকেন তাহলে দিতে পারেন।