আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।  আমি একটা নার্সিং কলেজে পড়ি। সেখানে প্রতিবছর নবীনবরণ করা হয় উল্লেখ্য যে এই অনুষ্ঠানের দুইটি অংশ। প্রথম অংশ নবীনরা তাদের নির্বাচিত পোশাক( শাড়ি/পান্জাবি ) পড়ে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের হাত থেকে মানপত্র গ্রহন করে এবং  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে তথাকথিত সাংস্কৃতি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য যে আমাদের হল থেকেই আমাদের তিন বেলা খাবার প্রদান করে। তবে নবীনবরণকে কেন্দ্র করে ওইদিন দুপুরের খাবারটা স্পেশাল দেওয়া হয়।যেমন: বিরিয়ানী
এক্ষেত্রে উক্ত খাবার খাওয়া কি জায়েজ হবে? যদি জায়েজ না হয় কেন হয়নি বিস্তারিত বলার অনুরোধ রইলো।

অনুগ্রহ আমার উত্তরটা দ্রুত দিলে খুব মুনাসিব হতো।
সসসসসসসসসসসসসসসহহবববববডঢহববডঢঢঢববঝঝডফঢ

1 Answer

0 votes
by (75,360 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/47928/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "

নবীজী সা. বলেন- তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে, তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে, না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর। (সহীহ মুসলিম-৭৩)

,

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে, হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1982

,

সুতরাং যে সব অনুষ্ঠানে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হবে বা হচ্ছে, সে সকল অনুষ্ঠান বা মজলিস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এটাই মূলত হুকুম। বিস্তারিত- https://www.ifatwa.info/2867

,

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা মায়েদা, আয়াত ২)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

উক্ত খাবারে যদি হারাম কিছু না থাকে তাহলে তা খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উক্ত অনুষ্ঠানে যদি শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হয় তাহলে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া বা টাকা দেওয়া জায়েজ হবে না।

 

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি ঐ টাকাগুলো তারা শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড অনুষ্ঠানে বা কাজে ব্যয় করে থাকে তাহলে এ টাকা দেওয়া জায়েজ হবে না। কারণ, হারাম কাজে সহযোগিতা করা জায়েজ নয়। আর যদি বৈধ কাজে ব্যয় করে থাকেন তাহলে দিতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...