নন মাহরাম কে তুই ডাকা

Question

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার হাসব্যান্ড আমার সামনে ঠিক ই নন মাহরাম দের দিকে তাকায় না।কথা বলে না। প্রয়োজনে বললেও হিফাজত করে নিজেকে।

কিন্তু আজকে আমি উনার ওয়াটস এপ এ একটা মেসেজ দেখেছি। উনার ক্লাসের একটা মেয়ের।একাডেমিক কথা ই বলেছেন। কিন্তু বিয়ের আগে উনারা ফ্রেন্ড ছিলো তাই এখনো উনি তুই করে সম্মোধন করে কথা বলেছে।অল্প কথা ই। কিন্তু তুই করে।আমি এটা দেখে উনাকে বলি প্রয়োজন এ কথা বলেছেন তো আপনি করে সম্মোধন করতেন‌

উনি নাকি বুঝে উঠতে পারে নাই যে আগের ফ্রেন্ড ছিলো।এখন কিভাবে আপনি করে বলবে।

উনার সাথে এ নিয়ে আমার অনেক ঝগড়া হয়।আল্লাহ জানেন কি পরিমাণ কষ্ট পাচ্ছি আমি।আমি এসব নিয়ে অনেক স্ট্রিক্ট।নিজেও কোনো নন মাহরাম এর সাথে ভুলেও কথা বলিনা।

নিজের বাবার বাসায় চলে আসছি রাগ করে। উনি বলতেছে আমি জিনিস টাকে বড় করেছি। জিনিস টা নাকি ওতো ও বড় না।

আমাকে একটু জানাবেন এটা কি বড় কোনো কিছু না??

আমি সত্যি ই প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছি।আমাকে নাসিহা দিন। উনি এটাকে বড় ভুল বুঝতেছে ই না। কিন্তু আমার তো অন্তর পুড়ে যাচ্ছে।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

নারী পুরুষের মমধ্যে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমভালবাসা নাজায়েয ও হারাম।

বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......

ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 

কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না। (সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

ﻣﺎ ﺧﻼ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ " 

তরজমাঃ-কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলার সাথে নির্জনে একাকী বসবাস করে,তাহলে তাদের সাথে তৃতীয়জন আরেকজন হল শয়তান।অর্থাৎ শয়তান সর্বদাই তাদেরকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।(সুনানে তিরমিযি-২১৬৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

গায়রে মাহরাম কারো সাথে নির্জনে কথা বলা কখনো নিরাপদ নয়। উনাকে বলবেন ভবিষ্যতে যেন, এভাবে মেসেজে গায়রে মাহরাম কারো সাথে কথা না বলেন। স্কুল জীবনের কাউকে হঠাৎ আপনি সম্বোধন করা যদিও মুশকিল, তবে উনার জন্য তাকে এড়িয়ে যাওয়াই উচিত ছিলো। যাইহোক, বিষয়টাকে এখানেই শেষ করুন।বিষয়টাকে জটিল করা মোটেই সমুচিত হবে না। ভবিষ্যতে যেন সতর্ক থাকেন, সেই বিষয়ে উনাকে সতর্ক করবেন।আপনি সবকিছু মন থেকে মুছে দিয়ে উনার সাথে সুন্দর ভাবে সংসার করার দিকে মনোযোগী হন। আল্লাহ আপনাদের হাসিখুশিকে স্থায়ী করুক।আমীন।