আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।  উমরাহ বিষয়ক আমার কিছু প্রশ্ন আছে। অনুগ্রহপূর্বক উত্তর দিলে মুনাসিব হয় ইন শা আল্লাহ।
প্রশ্ন ১=শুনেছি মাসজিদুল হারাম ও নববীতে প্রতি ওয়াক্ত স্বলাতের পর ই জানাজার স্বলাত হয়।আমি মেয়ে হয়ে কি জানাজার স্বলাতে অংশ নিতে পারব?আমি হানাফি মাজহাব অনুসরণ করি।

প্রশ্ন ২: আমার ফ্লাইট বিকেল সাড়ে ৪ টায়,সেক্ষেত্রে মাগরিব ও ঈশার স্বলাতের কসর বিমানেই আদায় করতে হবে।সেক্ষেত্রে আমি কি মাগরিব ও ঈশার স্বলাত একত্রে জমা কসর পড়ব?নাকি আলাদা আলাদা মাগরিব ও ঈশার সালাতের কসর আদায় করব?

প্রশ্ন ৩=মাকামে ইব্রাহীমের পেছনে স্বলাত আদায়ের পর যামযাম পানি দাঁড়িয়ে নাকি বসে খাওয়া উত্তম?

ভিড়ের কারণে বর্তমানে হাজরে আসওয়াদে সরাসরি চুম্বন করা কষ্ট সাধ্য।তাই,তাওয়াফ করার সময় কেবল হাত হাত দিয়ে আসওয়াদ বরাবর ইশারা করলেই হবে নাকি হাতে চুম্বনও করতে হয়?

প্রশ্ন ৫:জান্নাতুল বাকী তে কি মহিলারা প্রবেশ করতে পারে?যদি আবেগ সংবরণ করতে পারে ইন শা আল্লহ।

নফল তাওয়াফের পর কি সাঈ করা জরুরি?

নফল তাওয়াফে মহিলাদের কি ইহরাম ক্যাপ পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
عورتوں کے لیے عام نمازوں کی جماعت اور نماز  جنازہ  کی جماعت میں شرکت کے لیے گھر سے باہر نکل کر مسجد یا جنازہ گاہ آنا فتنہ کے خوف کی وجہ سے مکروہ ہے، البتہ اگر کوئی عورت طواف یا عمرہ کی ادائیگی کے واسطے حرم میں پہلے سے موجود ہو اور جنازہ کی نماز کھڑی ہوجائے تو وہ عورتوں والے مخصوص حصے میں رہ کر پردہ کے ساتھ نمازِ جنازہ کی جماعت میں شرکت کرسکتی ہے، کیوں کہ نفسِ نمازِ جنازہ پڑھنا عورت کے لیے ممنوع نہیں ہے۔
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জামাতে এবং জানাযার নামাযে শরীক হওয়ার জন্য ঘর থেকে বাহির হওয়া মহিলাদের জন্য মাকরুহে তাহরিমী। তবে যদি কোনো মহিলা  উমরাহ বা তাওয়াফ আদায়ের জন্য প্রথম থেকেই হারাম শরীফে উপস্থিত থাকেন, তাহলে মহিলাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে তিনি জানাযার নামাযে শরীক হতে পারবে।

حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح (ص: 304):
"ولايحضرن الجماعات؛ لما فيه من الفتنة والمخالفة.
قوله: "ولايحضرون الجماعات" ؛ لقوله صلى الله عليه وسلم: "صلاة المرأة في بيتها أفضل من صلاتها في حجرتها، وصلاتها في مخدعها أفضل من صلاتها في بيتها" اهـ فالأفضل لها ما كان أستر لها، لا فرق بين الفرائض وغيرها كالتراويح إلا صلاة الجنازة، فلاتكره جماعتهن فيها؛ لأنها لم تشرع مكررةً فلو انفردت تفوتهن ولو أمت المرأة في صلاة الجنازة رجالاً لاتعاد لسقوط الفرض بصلاتها، قوله: "والمخالفة" أي مخالفة الأمر؛ لأن الله تعالى أمرهن بالقرار في البيوت فقال تعالى: {وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ} [الأحزاب: 33] وقال صلى الله عليه وسلم: "بيوتهن خير لهن لو كن يعلمن".

الفتاوى الهندية (1/ 162):
(الفصل الخامس في الصلاة على الميت): الصلاة على الجنازة فرض كفاية إذا قام به البعض واحداً كان أو جماعةً، ذكراً كان أو أنثى، سقط عن الباقين وإذا ترك الكل أثموا، هكذا في التتارخانية"
(২)
হানাফি মাযহাবের পরবর্তী উলামাদের অনেকেই অপর তিন মাযহাবের মতই দুই নামাযকে সফরের সময় একত্রিকরণের বৈধতা প্রদান করে থাকেন।কেননা অনেক হাদীসে বিশেষ উযর ব্যতিতও দুই নামাযকে একত্রিত করার প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে মতবিরোধ থেকে বাঁচার জন্য প্রত্যেক নামাযকে তার সময়ে আদায় করে নেয়াই উত্তম হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/827

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাগরিব ও ঈশার স্বলাতকে নির্দিষ্ট সময়ে বা শেষোক্ত নামাযের ওয়াক্তে আদায় করাই উত্তম।তথাপি একত্রিত করে মাগরিবের সময়ে পড়ে নিলেও আদায় হয়ে যাবে।

(৩)
যমযমের পানি দাড়িয়ে বা বসে উভয়ভাবেই পান করা যাবে। তবে দাড়িয়ে পান করাই মুস্তাহাব।

لما في الفتاویٰ الشامية:
"وأن يشرب بعده من فضل وضوئه) كماء زمزم (مستقبل القبلة قائما) أو قاعدا، وفيما عداهما يكره قائما تنزيها."(كتاب الطهارة ،باب سنن الوضوء ،ج:1 ،ص:129 ،ط:سعيد)

(৪)
ভিড়ের কারণে যেহেতু হাজরে আসওয়াদে সরাসরি চুম্বন করা কষ্টসাধ্য। তাই,তাওয়াফ করার সময় কেবল হাত দিয়ে হাজরে আসওয়াদ বরাবর ইশারা করে হাতে চুম্বন করলেই সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। অর্থাৎ হাত দ্বারা ইশারা করার পর হাতে চুম্বন করা মুস্তাহাব।

ثم استلمہ ان استطاع من غیر ان یؤذی نفسہ ، بان یضع کفیہ علی الحجر ویضع فمہ بین کفیہ، ویقبلہ من غیر صوت یظہر فی القبلۃ۔ (غنیۃ الناسک ۱۰۰، شامی زکریا ۳؍۵۰۴، مناسک ملا علی قاری ۱۳۱، ہندیۃ ۲۲۵، تاتارخانیۃ ۳؍۴۹۴)

ورفع الیدین حذاء اذنیہ عند التکبیر ثم ارسالہا، ثم رفع یدیہ حذاء اذنیہ وجعل ظاہر کفیہ الی وجہہ وباطنہما نحو الحجر مشیراً بہما الیہ کانہ وضعہما الیہ وقبلہما بعد الاشارۃ وہٰذا الرفع للاشارۃ لا للتکبیر، ذکرہ فی الکبیر۔ ولا یشیر بالفم ولا برأسہ الی القبلۃ ان تعذر التقبیل۔ (غنیۃ الناسک ۱۰۳، ومثلہ فی الشامی زکریا ۳؍۵۰۵، مناسک ملا علی قاری ۱۳۱، ہندیۃ ۱؍۲۲۵)

(৫)
যদি আবেগ সংবরণ করতে পারে এবং ফিতনার কোনো আশংকা না থাকে, তাহলে যিয়ারতের জন্য মহিলারা জান্নাতুল বাকীতে প্রবেশ করতে পারবে।
و في منحة الخالق:
’’(قوله: و قيل تحرم على النساء إلخ) قال الرملي: أما النساء إذا أردن زيارة القبور إن كان ذلك لتجديد الحزن و البكاء و الندب على ما جرت به عادتهن فلا تجوز لهن الزيارة، و عليه حمل الحديث «لعن الله زائرات القبور» ، و إن كان للاعتبار و الترحم و التبرك بزيارة قبور الصالحين فلا بأس إذا كن عجائز و يكره إذا كن شواب كحضور الجماعة في المساجد.‘‘
(৬)
নফল তাওয়াফের পর সাঈ করা জরুরি নয়।

(৭)
নফল তাওয়াফে মহিলাদের জন্য ইহরাম ক্যাপ পরিধান করা জরুরী নয়। তবে সম্ভবত ইহরাম ক্যাপ ব্যতিত নফল তাওয়াফের সুযোগ দেয়া হয় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 329 views
...