আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
542 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (39 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
শায়খ, ১#কারো যদি ঈমান ভেংগে যায় তাহলে কি সে তার স্ত্রী /স্বামীর সাথে মিশতে পারবে না?
২#মেলামেশা করার আগে কি আবার বিবাহ পড়াতে হবে শায়খ?
৩# ইমান ভেংগে গেলে কি তালাক হয়ে যায়?

আসলে শায়খ, আমার একটু বেশি ভয় হয় বিবাহ টা নিয়ে আর ইমান নিয়ে যে এর কোনো একটা নষ্ট হয়ে গেলো কিনা। এই 2টা বিষয় নিয়ে শয়তান এর অসওয়াসা অনেক বেশি পাই শায়খ।তাই প্রতিটা প্রশ্নের সাথে মনে সন্দেহ থাকলে ইমান আর বিবাহ নিয়ে জেনে নেই শায়খ। দয়া করে কিছু মনে করবেন না শায়খ।
একটু বিষয়টি জানাবেন শায়খ

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুরা মায়েদার ৫৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَنۡ یَّرۡتَدَّ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِهٖ فَسَوۡفَ یَاۡتِی اللّٰهُ بِقَوۡمٍ یُّحِبُّهُمۡ وَ یُحِبُّوۡنَهٗۤ ۙ اَذِلَّۃٍ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَعِزَّۃٍ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ۫ یُجَاهِدُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَۃَ لَآئِمٍ ؕ ذٰلِکَ فَضۡلُ اللّٰهِ یُؤۡتِیۡهِ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۵۴﴾

হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন থেকে ফিরে যাবে তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন কওমকে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুমিনদের উপর বিনম্র এবং কাফিরদের উপর কঠোর হবে। আল্লাহর রাস্তায় তারা জিহাদ করবে এবং কোন কটাক্ষকারীর কটাক্ষকে ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
.
যে ব্যাক্তি জেনে শুনে বুঝে কুফরি এমন কথা বলে/এমন কাজ করে,যাহা বললে/করলে সকলের ঐক্যমতে কুফরীর হুকুম দেওয়া হয়,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।

ইসলামী স্কলার গন বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছেনঃ  
যে বিষয়গুলোতে লিপ্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোন ব্যক্তির ‘রিদ্দা’ সাব্যস্ত হয়-তা চার প্রকার। 

১. বিশ্বাসগতভাবে ইসলাম ত্যাগ করা। যেমন- আল্লাহর সাথে শিরক তথা অংশীদার স্থাপন করা, অথবা আল্লাহকে অস্বীকার করা অথবা আল্লাহ তাআলার সাব্যস্ত কোন গুণকে অস্বীকার করা।

২. কোন কথা উচ্চারণ করার মাধ্যমে ইসলাম ত্যাগ। যেমন- আল্লাহ তাআলাকে গালি দেয়া অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি দেয়া।

৩. কর্মের মাধ্যমে ধর্মত্যাগ। যেমন-কোন নোংরা স্থানে কুরআন শরিফ নিক্ষেপ করা। এ কাজ আল্লাহর বাণীকে অবমূল্যায়নের নামান্তর। তাই এটি অন্তরে বিশ্বাস না থাকার আলামত। অনুরূপভাবে কোন প্রতিমাকে অথবা সূর্যকে অথবা চন্দ্রকে সিজদা করা।

৪. কোন কর্ম বর্জন করার মাধ্যমে ইসলাম ত্যাগ। যেমন- ইসলামের সকল অনুশাসনকে বর্জন করা এবং এর উপর আমল করা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুখ ফিরিয়ে নেয়া।
(এই মাসয়ালার ক্ষেত্রে ইমামদের মতবিরোধ রয়েছে।) 

স্বামী স্ত্রীর কেউ মুরতাদ হয়ে গেলে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের মাঝে বিবাহ  বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাই পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করার পর তারা যদি সংসার করতে চায় তাহলে মোহর ধার্যসহ বিবাহ নবায়ন করতে হবে।
(সূরা মায়েদা-৫৪,ফতওয়ায়ে শামী-৬/৩৬৬,তাতারখানিয়া-৭/২৮২,তাবয়িনুল হাকায়েক-৪/১৮০,ফতওয়ায়ে দারুল উলুম-১৮/২৯৬)।
۔
مجمع الأنهر في شرح ملتقى الأبحر "(1/ 687):
"فما يكون كفرا بالاتفاق يوجب إحباط العمل كما في المرتد وتلزم إعادة الحج إن كان قد حج ويكون وطؤه حينئذ مع امرأته زنا والولد الحاصل منه في هذه الحالة ولد الزنا ثم إن أتى بكلمة الشهادة على وجه العادة لم ينفعه ما لم يرجع عما قاله لأنه بالإتيان بكلمة الشهادة لا يرتفع الكفر وما كان في كونه كفرا اختلاف يؤمر قائله بتجديد النكاح وبالتوبة والرجوع عن ذلك احتياطا وما كان خطأ من الألفاظ لا يوجب الكفر فقائله مؤمن على حاله ولا يؤمر بتجديد النكاح ولكن يؤمر بالاستغفار والرجوع عن ذلك، هذا إذا تكلم الزوج فإن تكلمت الزوجة ففيه اختلاف في إفساد النكاح وعامة علماء بخارى على إفساده لكن يجبر على النكاح ولو بدينار وهذا بغير الطلاق".
সারমর্মঃ যার দ্বারা ব্যাক্তি সর্বসম্মতিক্রমে কাফের হয়ে যায়,ইহার দ্বারা তার সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে,যদি হজ্জ করে থাকে,তাহলে পুনরায় হজ্জ করতে হবে।
স্ত্রীর সাথে তার সহবাস যেনা হবে।
ইহার পর কালেমায়ে শাহাদত পড়লেও তাহা ফিরে আসবেনা।
নতুন করে একাজ গুলি করতে হবে,(বিবাহ পুনরায় পড়াতে হবে।)
,
     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...