উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ফরজ রোজা কাযা হলে তা পরবর্তীতে আদায় করে নেয়াও ফরজ। কারণ পবিত্র কুরআনে কাযা রোযা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইরশাদ হচ্ছে-
فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٢:١٨٥]
কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। {সূরা বাকারা-১৮৫}
,
শরীয়তের বিধান হলো ছুটে যাওয়া রোযার পূর্ণ হিসাব থাকলে সেই হিসাব অনুযায়ী রোযার কা'যা আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ হিসেবে আদায় করা যাবে।
এই ভাবে নিয়ত করবে যে আমি আমার জীবনের ফরজ যেসব রোযা রাখতে পারিনি,তার সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ রোযা রাখার নিয়ত করছি।
হ্যা পূর্ণ হিসাব জানা না থাকলে,এক্ষেত্রে অনুমানের উপর ভিত্তি করে কাযা হয়ে যাওয়া রোযা সমূহকে আদায় করে নিতে হবে।
আরো বিস্তারিত জানুন :
https://www.ifatwa.info/1056
প্রশ্নকারী সম্মানিত দ্বীনি ভাই /বোন!
১. উমরী কাযা রোজা আদায় করতে হলে প্রথমে কোন দিনের রোজা কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবেন। যদি সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবেন। অনুমান করে কোন দিনের রোজা কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবেন। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে আদায় করে নিবে। নফল রোজা শুরু করার পর যেগুলি ভেঙে ফেলেছেন সেই রোজাগুলিও কাযা করতে হবে।
২. লবস্টার (চিংড়ি) Lobster এটি Malacostraca-এর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, যা মাছের প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত কিনা? এনিয়ে মতোবিরোধ আছে।
কিছু আলেম বলেন, লবস্টার (চিংড়ি) খাওয়া জায়েজ নয়। উল্লেখ্য যে লবস্টার (চিংড়ি) এটি কাঁকড়ার প্রকারের মধ্যে পড়ে, যদিও বাংলায় এটাকে বড় চিংড়ি বলা হয়। (তাকসিমুল হায়াওয়ান, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭; মিন আজায়িবিল খালকি ফি আলামিল আমসাক, পৃষ্ঠা-১৩)
মোট কথা চিংড়ি মাছ খাওয়ার বিধানের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। কেহ মাকরুহে তাহরিমি বলেছেন,কেহ আবার মাকরুহে তানযিহি বলেছেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/472/
মতবিরোধ হুকুমের মধ্যে শীতিলতা নিয়ে আসে, বিধায় বর্তমানে চিংড়ি খাওয়াকে মাকরুহে তাহরীমি বলা যাবে না।বরং মাকরুহে তানযিহি বলতে হবে।