আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by

//হুজুর আমি গতকালকে এই প্রশ্নটা নিচের মুস্লিম বাংলায় করি তা ও উল্লেখ করেছি নিচে তো আমি এখন সাইট এ প্রশ্ন করতাসি আরো বিস্তারিত বিষয় টা জানতে আর চিন্তা কম করতে, আমি গতকাল্কে সাইট এ প্রশ্ন করি ২/৩ টা মত হবে প্রশ্ন করি তো এক প্রশ্নে আমি বিধায় লেখতে গিয়ে বিধাহ লেখি বা লেখি ফেলি তো আমি যখন খেয়াল করি বা দেখি আমি বানান টা ঠিক করে বিধায় লেখি এবং সাইট এ প্রশ্ন সাবমিট করি এর পরে google translator app আছে ফোন এ ওইটা ডুকে আমি এই বিধাহ বানান টা লেখি আর ইংলিশ translation দেখি আসছে God মানে বিধাহ এর মানে god বুজাই ইংলিশ এর পরে আমি ও কিছুটা চিন্তায় পড়ি বা চিন্তিত হচ্ছি (তাই মুসলিম বাংলায় প্রশ্ন করি) আরো এই নিয়ে যে এতে আবার কোন সমস্যা হবে কিনা এমন ভাবনা চিন্তা হচ্চে আমি যে বিধায় লেখতে গিয়ে বিধাহ লেখে ফেলি এবং ইংলিশ বানান বা অর্থে ও দেখি এইটার God বুজাই তো আমি কি আল্লাহ কে বিধাহ বা god বলে সম্বোধন করতে পারবো নিচে তো মুসলিম বাংলার ও জবাব আর প্রশ্ন আছে কিন্ত আপ্নারা বিস্তারিত বললে আমার জন্য বিষয় টা জানা আর এই নিয়ে চিন্তা ও হবে না আর তো আমাকে বলবেন আল্লাহ বলে ডাকাই তো সবোউত্তম god বা বিধাহ বলে ডাকার থেকে আমি ঠিক বললাম তো❓ 

উত্তর টা দিবেন আশা করি।

৮৭৪৯৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর বিধাহ মানে আমি translate এ দেখলাম ইংলিশ এ God বুজাই আমার প্রশ্ন হচ্চে আমরা মুসলিমরা ইংলিশ এ কি আল্লাহ কে God বলে বা বিধাহ বলে ডাকতে পারব নাকি শুধু আল্লাহ বলে ডাকা টাই উত্তম যদি এই বিষয় এ বলতেন। 

আমি iom সাইট এ একটা প্রশ্ন করি অইখানে বিধায় লেখতে গিয়ে বিধাহ লেখি তো যখন বাক্য টা দেখি তখন আমি সাইট এ প্রশ্ন করার পরে ট্রান্সলাতে অ্যাপ এ গিয় এই বানান টা বাংলায় টাইপ করে জানি ইংলিশ এ কি বুজাই বা কি হয় তাই জিজ্ঞাসা করলাম যে এইভাবে কি ডাকা যাবে?

উত্তরঃ

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ বলে ডাকলে সাওয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু গড বললে সাওয়াব পাওয়ার কোনো আশা করা যায় না।

والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে… মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

//আরেকটা প্রশ্ন হুজুর যদি স্ত্রী কে মনে যিহার এর চিন্তা ভাবনা বা নিয়ত করে কেউ শুধু আমার মা/amar ma বলে মেসেজ এ বলে বা ডাকে বা মেসেজ করে সহজ কথাই বলে এতে কি কোন যিহার হবে যদি মনে যিহার এর নিয়ত যেমন আমার মা যেমন বা যেই দিক থেকে আমার জন্য হারা'''' বা যিহার এর চিন্তা ভাবনা ও থাকে কিন্ত শুধু আমার মা/amar ma বলে এমন না যে মা এর মত বলছে বা আমার মা এর মত বলসে এমন ও না আশা করি বুজেছেন । তো এমতাবস্থায় কি কোন কাফফারা দিতে হবে বা কাফফারা দেওয়ার কোন বিধান আসবে❓

//হুজুর মোবাইল এ কিছুখন আগে একটা ভিডিও দেখি কোন একটা কলেজ এর বা প্রতিষ্ঠান এর ছাএ আমাদের মহানবি কে নিয়ে কটুক্তি করেছে বিধায় তাকে মানুষ ধরসে বা ধরে জুতার মালা পড়াইয়া পুলিশ এর কাছে দিচ্চে তো সেইটাই যাইহোক যেহেতু ভিডিও টা মুল বিষয় ছিলো ছেলে টা কুটুক্তি করাই ওকে মানুষ বা জনগন যেইটাই বলেন ধরসে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তো আমার ও মনে তখন কিছু খারাপ বা অশ্লীল কথা বাতা যেমন চো।।।।। বাকি টুকু বুজে নিয়েন (আমি এইখানে তা পুরা বাক্য লেখতে পারবো না) এমন চিন্তা হচ্চিল মানে এই সম্পকিত যে ওকে চো।।।। দেও ইত্যাদি এই ধরনের চিন্তা ভাবনা ছিল বা হচ্চিল তো এমন চিন্তা ভাবনা যে ছিলো এবং আমি তখনি বা তখন যে ফেসবুকে ভিডিও টা দেখি বা দেখতাসি এবং তা কি নিয়ে তা ও কিছুটা বলেছি তো এতে আমার কোন গুনাহ বা ইমানে তো সমস্যা হবে না ❓আমি প্রশ্ন টা ভাবসি করবো না এইটা কিন্ত না করলে ও মনে হচ্চে কেমন অশান্তি লাগছে চিন্তা টা গুরপাক খাচ্ছে পরিহার করতে পারতাসিনা যদি কোন সমস্যা হয় এমন চিন্তা হচ্ছিল বিধায় প্রশ্ন করি।

by (4 points)

⚠️হুজুর ওয়াস ওয়াসা কথা বইলেন না এখনও জবাব পাইনাই তাই আরেকটা প্রশ্ন বা কথা ও উল্লেখ করি যেন সব উত্তর সাথে সাথে পাই আবার প্রশ্ন করবো কেনো তাই উপরের প্রশ্ন গুলার সাথেই শেষ প্রশ্নটাও করি, আশা করি জবাব টা তাড়াতাড়ি দিবেন।


1 Answer

0 votes
by (65,970 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ( ﺟَﺎﺀَ ﻧَﺎﺱٌ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺴَﺄَﻟُﻮﻩُ ﺇِﻧَّﺎ ﻧَﺠِﺪُ ﻓِﻲ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻳَﺘَﻌَﺎﻇَﻢُ ﺃَﺣَﺪُﻧَﺎ ﺃَﻥْ ﻳَﺘَﻜَﻠَّﻢَ ﺑِﻪِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻗَﺪْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻤُﻮﻩُ ؟ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﻧَﻌَﻢْ ، ﻗَﺎﻝَ : ﺫَﺍﻙَ ﺻَﺮِﻳﺢُ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ )

কিছু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন,আমাদের অন্তরে অনেক সময় মন্দ চিন্তাভাবনা চলে আসে।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, এটা কি সম্ভব? তারা বলল, জ্বী হ্যা। রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, মাঝেমধ্যে এমন সন্দেহ মনে উঁকি দেয়াই হল, কামিল ঈমানের পরিচায়ক। (সহীহ মুসলিম-১৩২)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,

ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...

অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়, যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়। সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।

আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা। (আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

রাসূলুল্লাহ  বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. “আল্লাহ বলে ডাকলে সাওয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু গড বললে সাওয়াব পাওয়ার কোনো আশা করা যায় না।” সুতরাং আপনার আল্লাহ,রাসুলুল্লাহ সাঃ ও শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়। আপনার translation বিধাহ অর্থ হওয়ার কারণে ইমানে সমস্যা হবে না। তবে আপনি আল্লাহ বলেই আল্লাহ কে ডাকবেন।

২. প্রশ্নেল্লিখিত সমস্যাগুলি হওয়ার মূল কারণ হলো ওয়াসওয়াসা । ওয়াসওয়াসা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। সে চায় মানুষকে পেরেশান ও অস্থির করে রাখতে যাতে সে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মাশগুল থাকতে না পারে। বিধায় এমন পরিস্থিতিতে আপনি হতাশ হবেন না। 

বরং ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে উপরে উল্লেখিত আমলগুলি করুন এবং আপনি স্থানীয় কোন একজন নেককার বুজুর্গ শ্রদ্ধেয় আলেমের শরণাপন্ন হয়ে উনার সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করবেন। সাহাবীদের জীবন ইতিহাস বেশী বেশী পড়ুনকৃত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবাহ করুন। তাহাজ্জুদের নামায নিয়মিত পড়বেন। অবিবাহিত হলে তাড়াতাড়ি দ্বীনদার পাত্র দেখে বিয়ের পিড়িতে বসবেন। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক। আমীন।

৩. আপনার মায়ের সাথে যিহার হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...