আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
274 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
সাধারণ ফতোয়া এসেছে, কেউ বিস্তারিত ভাবে করোনা বিষয়ক কথা বলছেন না তেমন খোলাখুলি ভাবে, শুধুমাত্র তাত্বিক আলোচনা থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন।

সকল বিষয়ে বলা হচ্ছে স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ফতোয়া দিবেন, আফসোসের বিষয় ফতোয়া দেবার মতো যোগ্য কেউ আমাদের এলাকায় থাকেন না।
মাদ্রাসাগুলোতে যারা ছিলেন, ছুটি হওয়াতে, তাদের সকলে নেই।

সচেতনতার দিক দিয়েও এলাকাবাসী বিষয়টাকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না, অথচ কোয়ারেন্টাইনে আমাদের যশোর জেলার মানুষের সংখ্যা হাজারের উপরে।

ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবার মতো মাস্ক( N95) এখন আর পাওয়া যাচ্ছেনা।

এমন অবস্থায় আমাদের কি জুমুয়া'র সালাতে উপস্তিত হওয়া উচিত? জরুরী? ফরজে আইন? কিংবা কিভাবে দেখতে হবে?

সুনির্দিষ্ট করে বলবেন দয়া করে, সিদ্ধান্ত চাচ্ছি, আমাকে সিদ্ধান্তের যায়গায় না বসানোর অনুরোধ।

বিঃদ্রঃ মসজিদ পরিচ্ছন্ন রাখা কিংবা দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়ার পর্যাপ্ত যায়গা মসজিদগুলোতে জুমুয়া'র দিন থাকেনা।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিহি তা'আলা


জবাবঃ-
বান্দাদ পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার পর আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করে থাকেন।তারপর অনিবার্য ধংশ চলে আসে।যেমন ফেরআউনের সময়ে ধারাবাহিক সতর্কবার্তা এসেছিলো।যাই হোক ধারাবাহিক সতর্ক বার্তার একটি হল,মহামারি।মহামারি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-1093

মসজিদ ভাইরাসের স্থান নয়।বরং ভাইরাস বহন করে মানুষ।তাই যারা অনুধাবন করতে পারবে যে,তাদের শরীরের ভাইরাসের প্রভাব রয়েছে, তাদের জন্য মসজিদে যাওয়া বা জনসমাগম মূলক স্থানে যাওয়া ককখনো জায়েয হবে না।বরং তাদের ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশ যে, তারা ঘরেই নামায আদায় করবে।
জুমুআহ এর নামাযে প্রথমে যে বাংলা ভাষায় ওয়াজ করা হয়।যা আমাদের দেশে প্রচলিত।এটা জুমুআহ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরী কোনো বিষয় নয়।
তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বাংলা ওয়াজ করা বা শুনা কোনোটাই কাম্য নয় বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলেছে।এবং যথার্থই বলেছে।এবং উক্ত সংস্থা আরোও বলেছে যে,ফরয নামাযের আগে ও পরের সুন্নাতকে মসজিদে না পড়ে বাসায় পড়তে।এটা অবশ্যই যথার্থ পরামর্শ।
আমি বলব,শুধু এ করোনা পরিস্থিতে নয় বরং সর্বদা-ই রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং সাহাবাদের আ'মল এটাই ছিলো।তখনকার সময়ে প্রত্যেকের বাড়িতে-ই সুন্নাত এবং নফল নামাজের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা ছিলো।তাই সর্বদা বাড়িতেই সুন্নাত নফল পড়া উচিৎ।বিশেষ করে বক্ষমান পরিস্থিতে এমনটা করা উচিৎ এমনকি জরুরীও বটে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জুমুআহ এর নামাযে শুধুমাত্র সংক্ষিপ্ত আকারে আরবী খুতবাহ এবং দু'রাকাত নামায মসজিদে আদায় করার পরামর্শ ও ফাতাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার অনেক উলামায়ে কেরাম দিয়েছেন। আগে-পরের সুন্নাত-নফল,এবং দু'আ-দুরুদ ইত্যাদিকে বাসা-বাড়ীতে আদায় করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...