ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
https://ifatwa.info/68722/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে
যে, নামাযে কতটুকু সতর ঢেকে রাখা জরুরী সে সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায়
বর্ণিত রয়েছে,
ستر العورة
شرط لصحة الصلاة إذا قدر عليه. كذا في محيط السرخسي.
العورة للرجل
من تحت السرة حتى تجاوز ركبتيه فسرته ليست بعورة عند علمائنا الثلاثة وركبته عورة
عند علمائنا جميعا هكذا في المحيط.
بدن الحرة
عورة إلا وجهها وكفيها وقدميها. كذا في المتون وشعر المرأة ما على رأسها عورة وأما
المسترسل ففيه روايتان الأصح أنه عورة. كذا في الخلاصة وهو الصحيح وبه أخذ الفقيه
أبو الليث وعليه الفتوى. كذا في معراج الدراية
সতরকে ঢেকে রাখার সামর্থ্য থাকাবস্থায় নামাযে সরতকে ঢেকে রাখা
নামায বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত।
(পুরুষের সতরঃ) নাভীর নিচ থেকে হাটুর নিচ
পর্যন্ত।আমাদের বিশিষ্ট তিন উলামা(ইমাম আবু-হানিফা রাহ,ইমাম আবু ইউসুফ রাহ, ইমাম মুহাম্মাদ রাহ,) ত্রয়ের মতে নাভী সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।তবে সর্বসম্মতিক্রমে হাটু
সতরের অন্তর্ভুক্ত।(মুহিত)
(মহিলার সতরঃ) মুখ, কব্জি পর্যন্ত হাত, টাখনু পর্যন্ত পা ব্যতীত আযাদ
মহিলার সমস্ত অঙ্গই সতরের অন্তর্ভুক্ত এবং মাথার চুলও সতরের অন্তর্ভুক্ত।
ছেড়ে দেওয়া চুলগুলো কি সতরের অন্তর্ভুক্ত? এ সম্পর্কে দু,টি মত পাওয়া যায়।বিশুদ্ধ মতানুসারে
ইহাও সতরের অন্তর্ভুক্ত। এবং এটাই ফকিহ আবুল লেইস রাহ এর সিদ্ধান্ত। এটার উপরই ফাতাওয়া।
(মে'রাজুদ-দেরায়া) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৮)--এভাবে বর্ণিত রয়েছে,আল-মুগনি-৩/৭,আল-ইস্তেযকার-২/১৯৭,ফাতাওয়ায়ে ইসলামিয়্যাহ-১/৪২৭
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/975
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই/বোন!
১. প্রশ্নকারী বোনকে বলবো যে, আপনার অত্যন্ত খেয়াল করে মনোযোগের
সাথে নামায পড়া উচিত ছিল। এখন আপনার জন্য করণীয় হলো,
উক্ত তাসবীহ সহীহ শুদ্ধ করে
নেওয়া , যাতে ভবিষ্যতে আর এমনটা না হয়। নতুবা নামায মাকরুহ হয়ে যাবে।
আপনার বর্ণনাকৃত অবস্থায় পূর্বের সমস্ত নামায হয়ে গেছে। সেগুলো পুনরায় ক্বাযা করার
কোন প্রয়োজন নেই।
২. মেয়েরা নামাযে চেহারাকে খুলে রাখতে পারবে। চেহারা বলা হয়, এক জন অন্যজনের সামনে দাড়ালে যতটুকু মুখের যতটুকু অংশ দেখা যায়, ততটুকুই চেহারার অন্তর্ভূক্ত। থুতনির যতটুকু অংশ সামনে উপবিষ্ট
ব্যক্তি দেখতে পান, ততটুকু অংশকে ঢেকে রাখা যাবে
না।
তবে যেই ফরজ নামাজগুলো সূরা ফাতিহা পড়া ছাড়ায় আদায় করা
হয়েছে সেগুলো কাযা করতে হবে। কারণ, তিন রাকাত বা চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজে প্রথম
দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া ও সাথে অন্য সূরা মিলানো ওয়াজিব। তবে শেষ ২/১ রাকাতে
সূরা ফাতিহা না পড়লে নামাজ কাযা করতে হবে না। কারণ, শেষ এক বা দুই রাকাতে শুধু সূরা
ফাতিহা পড়া সুন্নাত। সুতরাং এমতাবস্থায় নামাজ হয়েছে তবে মাকরুহ।