আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।  আমরা পাঁচ ভাই বোন - তন্মধ্যে  বড় তিন ভাই বোন (দুই বোন এক ভাই) আমার আব্বুর আগের পক্ষের। আমার সহোদর এক ছোট ভাই আছে। আমরা আব্বু আম্মু সহ পাচ ভাই বোন এক বাসাতেই থাকতাম।  আমার ছোট ভাই বাদে বাকি সবার বিয়ে হয়ে গেছে এবং বাচ্চাও আছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন বড় ভাই বউ বাচ্চা সহ আব্বু আম্মুর সাথেই থাকে আর ছোট ভাই বছরের বেশিরভাগ সময় ইউনিভার্সিটির হলে থাকে।

সমস্যা হচ্ছে, পূর্বে আমার বড় ভাই আমাদের সব ভাই বোনকে আঘাত করে জখম করেছে অনেক বার, সে তার আপন বড় বোনকেও আঘাত করতে ছাড়েনি। আর এখন তার বদ স্বভাব এর স্বীকার হচ্ছে আমাদের বোনেদের বাচ্চারা। সে তার নিজের বাচ্চাকে কখনো আঘাত করে না কিন্তু বোনেরা বেড়াতে গেলে কারণে অকারণে বোনেদের বাচ্চাদেরকে আঘাত করে জখম করে। সে তার ক্রোধ ও আক্রোশের কারনে এমনটা করে। তার এই স্বভাবের কারণে সবাই তার উপর বিরক্ত হয় ।

রিসেন্টলি আমি আমার বাচ্চা নিয়ে বাবার বাসায় গেছিলাম বেড়াতে। তো আমার বাচ্চা (৫ বছর) , তার বাচ্চা (৬ বছর) এবং আরেক বোনের বাচ্চা (৮ বছর) একসাথে হলেই খেলাধুলা করে সারাদিন। তাদের সাথে আমিও খেলি। দেখা যায় দিনের বেশিরভাগ সময় তারা আমার সাথেই থাকে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারো সে আমার বাচ্চাকে আঘাত দিয়ে জখম করলো খুবই সিলি একটা কারণে!  বাসার সবাই তাকেই  দোষারোপ করলেও তার কাছে জবাবদিহিতা চাওয়ার কেউ নেই।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সে যে এভাবে কারণে অকারণে বাচ্চাদের আঘাত করে শরীয়তের দৃষ্টিতে তার শাস্তির বিধান কি?

1 Answer

0 votes
by (594,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শিশুদের ১০ বছরের আগে প্রহার করা যাবেনা।
আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, 

নাবী ﷺ বলেছেন, “তোমাদের সন্তানদের বয়স সাতবছর হলে তাদেরকে নামাজ পড়ার নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স দশবছর হয়ে যাবে, তখন (নামাজ আদায় না করলে) তাদেরকে মারবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে।” [আবু দাউদ, হা/৪৯৫; আলবানী হাদীসটিকে ‘ইরওয়াউল গালীল’ গ্রন্থে (১/২৬৬; হা: ২৪৭) সহীহ বলেছেন।]

তাদেরকে গালি গালাজও করা যাবেনা।

عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِ وَلاَ البَذِيءِ.

আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  মু’মিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৯৭৭]

قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ»

‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কোন মুসলিমকে গাল দেয়া ফাসিকী কাজ (জঘন্য পাপ) আর কোন মুসলিমকে হত্যা করা কুফরী। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭০৭৬]

আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এভাবে বাচ্চাদের প্রহার করা কোনোক্রমেই জায়েজ নেই।

এক্ষেত্রে পারিবারিক মুরব্বিদের মাধ্যমে একটি মিটিং করে আপনার সেই বড় ভাইকে মুরুব্বীরা শাসন করতে পারেন এটি সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
মুরুব্বিরা দুনিয়াবি কারণে তাকে শাসন করতে অপারগ। হাশরের ময়দানে তাকে কি জবাবদিহি কিংবা শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে না নাকি সে এভাবেই পার পেয়ে যাবে? প্লিজ জানাবেন। আল্লাহর কাছে ন্যায়বিচার এর আশা করা ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই। 
by (594,870 points)
হাশরের ময়দানে তাকে অবশ্যই জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে,এক্ষেত্রে যাকে প্রহার করা হয়েছে,সে মাফ না করলে তাকে অবশ্যই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

সে কোনোভাবেই এভাবে পার পেয়ে যাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...