ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তবে ঐ পানি যার সাথে এমন কোনো পবিত্র জিনিষ মিলিত হয়,যার থেকে সহসাই বেঁচে থাকা সম্ভব।যেমন জাফরান, সাবান ইত্যাদি।এর দ্বারা যদি পানির কোনো গুনাগুনে পরিবর্তিত হয়ে যায়,তাহলে তখন পবিত্রতা অর্জন নিয়ে দু'টি মাতামত পাওয়া যায়।হানাফি মাযহাব ও এক বর্ণনায় ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে উক্ত পানি নিজেও পবিত্র এবং অন্যকে পবিত্র করতে পারবে।আর মালিকী মাযহাব ও শাফেয়ী মাযহাব এবং এক বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে উক্ত পানি নিজে পবিত্র হলেও অন্যকে পবিত্র করতে পারবে না (আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৯/৩৬৫)
হাশিয়াতুত তাহতাবী নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
و " أما إذا بقي على رقته وسيلانه: فإنه " لا يضر " أي لا يمنع جواز الوضوء به " تغير أوصافه كلها بجامد:" خالطه بدون طبخ " كزعفران وفاكهة وورق شجر
পানি যদি পাতলা এবং বহমানযোগ্য থাকে,তাহলে এই পানি দ্বারা অজু গোসল বৈধ হওয়া নাজায়েয নয়, যদিও সেই পানির সমস্ত গুনাগুন কোনো জামিদ জিনিষ(রান্না করা নয় এমন) দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে থাকে।যেমন জাফরান, ফলমূল এবং গাছের পাতা ইত্যাদি দ্বারা পানির সমস্ত গুণাগুণ পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার পর তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন বৈধ ।(হাশিয়াতুত তাহতাবী-১/২৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2198
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
পানিতে বরই পাতা এবং পাউডার মিক্স করার কারণে যদি রং পরিবর্তন হয়ে যায়, কিন্তু তরলতা ও স্বাদ এখনো বাকী থাকে, তাহলে এদ্বারা ফরয গোসল বা অজু বৈধ হবে।
(২)
গাশতের সময় সম্মিলিত দু'আর বিধান বলতে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? এরকম পদ্ধতিতে কি দু'আ তখনকার সময়ে ছিলো? উত্তর হল না। তবে সম্মলিত মুনাজাত মুবাহ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/372
তাছাড়া গাশত বা লোকদিগকে হেদায়েতের দাওয়াত দেওয়া ভালো ও উত্তম কাজ। আর প্রত্যেক উত্তম বা ভালো কাজের প্রথমে দু'আ করা -চায় একাকি হোক বা সম্মিলিত- সেটা মুবাহ।