আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম আমি অসুস্থতার কারণে ঔষধি হিসাবে গরম পানির সাথে বরই পাতা এবং দুটি পাউডার মিক্স করে গোসল করি উক্ত পানি দিয়ে ফরজ গোসল এবং ওযু করলে কি গোসল এবং ওযু আদায় হবে?
উক্ত পানির সাথে পাউডার মিশানোর কারণে পানির রং পরিবর্তন হইছে এবং পানিটা পিচ্ছিল প্রকারের হয়ে গেছে? যদি গোসল না হয় তাহলে নামাজ যেগুলো পড়ছি ওইগুলা কি কাজ আদায় করতে হবে?
২। তাবলীগের ভাইয়েরা গাশতে যাওয়ার পূর্বে যে সম্মিলিত মুনাজাত করেন এটা কি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তবে ঐ পানি যার সাথে এমন কোনো পবিত্র জিনিষ মিলিত হয়,যার থেকে সহসাই বেঁচে থাকা সম্ভব।যেমন জাফরান, সাবান ইত্যাদি।এর দ্বারা যদি পানির কোনো গুনাগুনে পরিবর্তিত হয়ে যায়,তাহলে তখন পবিত্রতা অর্জন নিয়ে দু'টি মাতামত পাওয়া যায়।হানাফি মাযহাব ও এক বর্ণনায় ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে উক্ত পানি নিজেও পবিত্র এবং অন্যকে পবিত্র করতে পারবে।আর মালিকী মাযহাব ও শাফেয়ী মাযহাব এবং এক বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে উক্ত পানি নিজে পবিত্র হলেও অন্যকে পবিত্র করতে পারবে না (আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৯/৩৬৫)

হাশিয়াতুত তাহতাবী নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
 و " أما إذا بقي على رقته وسيلانه: فإنه " لا يضر " أي لا يمنع جواز الوضوء به " تغير أوصافه كلها بجامد:" خالطه بدون طبخ " كزعفران وفاكهة وورق شجر
পানি যদি পাতলা এবং বহমানযোগ্য থাকে,তাহলে এই পানি দ্বারা অজু গোসল বৈধ হওয়া নাজায়েয নয়, যদিও সেই পানির সমস্ত গুনাগুন কোনো জামিদ জিনিষ(রান্না করা নয় এমন) দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে থাকে।যেমন জাফরান, ফলমূল এবং গাছের পাতা ইত্যাদি দ্বারা পানির সমস্ত গুণাগুণ পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার পর তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন বৈধ ।(হাশিয়াতুত তাহতাবী-১/২৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2198

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
পানিতে বরই পাতা এবং পাউডার মিক্স করার কারণে যদি রং পরিবর্তন হয়ে যায়, কিন্তু তরলতা ও স্বাদ এখনো বাকী থাকে, তাহলে এদ্বারা ফরয গোসল বা অজু বৈধ হবে।

(২)
গাশতের সময় সম্মিলিত দু'আর বিধান বলতে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? এরকম পদ্ধতিতে কি দু'আ তখনকার সময়ে ছিলো? উত্তর হল না। তবে সম্মলিত মুনাজাত মুবাহ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/372
তাছাড়া গাশত বা লোকদিগকে হেদায়েতের দাওয়াত দেওয়া ভালো ও উত্তম কাজ। আর প্রত্যেক উত্তম বা ভালো কাজের প্রথমে দু'আ করা -চায় একাকি হোক বা সম্মিলিত- সেটা মুবাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
যেহেতু উক্ত পানি দিয়েই আমায় গোসল করতে হবে, তাহল কি গোসল হবে?  কারণ আমি ত জানি না, পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়েছে কি না!
by (616,950 points)
পানি মুখে নিয়ে দেখতে পারেন। অথবা অনুমান করে দেখতে পারেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...