আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in ওয়াসওয়াসা by (3 points)

السلام عليكم ورحمه الله وبركاته 

আমি যে ব্যাপারে প্রশ্নটা করছি হয়ত সেটা অনেকের নিকট হাস্যকর ধরনের কিন্তু আমার জন্য অনেক মুসকিল সরূপ ব্যাপার। বিগত ২ বছর ধরে অন্তত ১ বছর ধরে আমি বিষয়টা ভালোভাবে খেয়াল করছি-

১। আমি যখনি অযু করে আসি সেটা সালাত বা কোরআন তিলাওয়াতের জন্য হোক দেখা যায় আমি বাথরুম থেকে রুমে এসে ৪ রাকাত ফরজ সালাত পড়ব এতটুকু সময় আমার অযু থাকেনা,ভেঙে যায়। এমনো হয় আমার বাথরুমে থেকেই ২-৩ বার অযু করতে হয়। হয়ত গ্যাস্টিকের কারণে এমন হয় বললে আসলে আমার এই সমস্যা শুধু অযুর সময়ই বেশি হয়,অন্যসময় এমন খুব কমই হয় আমি খেয়াল করেছি। যা আঞ্চলিক ভাষায় 'পাদ'/পায়ুপথে বাতাস/বায়ু বের হওয়া,যেটা আমরা বলে থাকি।

মাঝেমধ্যে দেখা যায় আমি বুঝতে পারি আমার অযু ভেঙে গিয়েছে আবার প্রায়ই সন্দেহ হয় যে বাতাস বের হয়ে গেল কিনা,মনে হয় হালকা বের হচ্ছে। খুব কমই আওয়াজ হয়, যে বুঝতে পারব। এসবের জন্য আমি খুবই হতাশ।

আমি এই সমস্যার জন্য ১ বছর ধরে কোনরকম ফরজ সালাতটা তাড়াহুড়া করে পড়ি, ক্লাসেও ওযুর সাথে বসতে পারিনা কারণ মনে হয় ভেঙেই তো যাবে। আরবিও পড়তে পারিনা। এমতাবস্থায় আমি কি করব?

 

২। আমার আরেকটা প্রশ্ন ছিল -

একদিন আমার আম্মু সাথের বাসার এক লোকের কথা বলছিল তো আব্বু বললো এত ভালো তো যাও ওখানে। জানিনা তালাকের নিয়ত ছিল কিনা,হয়ত না। এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?

আমি নিজে তালাকের এত মাসয়ালা জানিনা,এখানে মাঝেমধ্যে প্রশ্নে দেখি। আমি মাঝেমধ্যে ভাবি, আসলে ভয় লাগে যে, আমার বাবা-মা তালাকের মাসয়ালা এত ভালো জানেন না তারা যদি কখনো এমন কথা বলে থাকেন যার ধরুন তালাক হয়ে গিয়েছে। তাহলে সেটা তারা বুঝবেই বা কিভাবে, এক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (609,960 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক বায়ূ নির্গত হতে থাকে। অর্থাৎ নামাযের সবচেয়ে ছোট ওয়াক্তেও বায়ূ নির্গত হওয়া ব্যতিত দু রা'কাত নামায পড়া সম্ভব না হয়,তাহলে সে ব্যক্তি মা'যুর। সুতরাং আপনি মা'যুর ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবেন।

মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে। পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1897


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি বায়ূ বের হয়েছে বলে আপনি নিশ্চিত হন, এবং নামাযের সবচেয়ে ছোট্ট ওয়াক্ত যেমন আসরের নামাযের ওয়াক্তে অজু ভঙ্গ ব্যতিত দু রাকাত নামায পড়াও আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন। তখন প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অজুই যথেষ্ট হবে। 

(২)
প্রশ্নের বিবরণ দ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...