আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ।
এক বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করছি। তার বাড়ি হবিগঞ্জে, পড়েন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১ম বর্ষ শেষ হয়েছে। শুরু থেকেই যখন জানতে পেরেছেন সহশিক্ষা হারাম, বোনের ফিকির ছিলো তিনি ছেড়ে দিবেন সহশিক্ষা। কিন্তু পরিবারের দিক থেকে কোনোরকম সায় পাচ্ছেন না, বরং বাবা-ভাইয়েরা-মামা প্রত্যেকের পক্ষ থেকে খুবই প্রতিকূল আচরণের সম্ভাবনা রয়েছে। উনারা খুবই রাগী প্রকৃতির মানুষ। ছোটো থেকে সবার শাসনে বড় হয়ে এখন সহশিক্ষা ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় দৃঢ়ভাবে বলার মতো পরিস্থিতি ওই বোনের নেই। এদিকে সহশিক্ষার পরিবেশ পরিস্থিতি কিছু ভালো লাগে না, মাহরাম ছাড়া সফর দূরত্ব অতিক্রম করে পড়তে এসে গুনাহের ভাগীদার হওয়া এসব নানাবিধ চিন্তায় তিনি পড়ালিখার প্রতি আগ্রহও হারিয়ে ফেলেছিলেন, কোনোরকমে পরীক্ষা দিয়েছেন প্রথম বর্ষের। তিনি না ছাড়তে পারছেন, না সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন কি করবেন। অভিভাবকদের মাধ্যমে বিয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু এখনো সেরকম কোনো প্রস্তাব আসে নি।
এরকম অবস্থায় ওই বোন খুবই দোটানার মধ্যে আছেন, অস্থির হয়ে আছেন, যা তার করণীয় ঠিক করতে সমস্যা করছে, এবং ইবাদাত আমলে নেগেটিভ ইফেক্ট পরছে।
তাই পরামর্শ চাচ্ছি উস্তাদ, কি করা উচিত এখন। অনুগ্রহ করে একটু গাইডলাইন দিবেন ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (609,210 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
তাই বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)
আল্লাহ-ই ভালো জানেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরনমতে যদি ঐ বোনের জন্য ঈমান আমল ও পর্দাপুশিদা রক্ষা করা সম্ভবপর না হয়, এবং যাতায়াতের  সময় মাহরাম পুরুষকে সফরসঙ্গী হিসেবে পাওয়া না যায়, তাহলে ঐ বোনের জন্য এমতাবস্থায় সহশিক্ষাতে ব্যস্ত থাকা জায়েয হবে না। ঐ বোনের উচিত নিজে একজন পাত্র খুজে পরিবারকে সাহায্য করা এবং নিজের শিক্ষা গ্রহণের পথকে সুগম করা। আল্লাহ সমাধান করুক। ঐ বোনের উচিৎ, তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...