আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার একজন কাছের মানুষের ভাষ্যমতে:

১.তিনি আগে বিভিন্ন খারাপ কাজ করতেন,এমনকি সে চুরি ও করেছেন আগে।আলহামদুলিল্লাহ এখন তিনি দ্বীনে ফিরেছেন।

এখন সে জানতে চান যে,বান্দার হক তো আল্লাহ ক্ষমা করেন না।তিনি যেসব জিনিস চুরি করতেন তা প্রায় দামী জিনিস।তার বলা অনুযায়ী সব হক শোধ করলেও তিনি চুরি করা জিনিসের হক দিতে পারেন নি।একে তো জার জিনিস নিয়েছেন তাকে এ কথা বলে মাফ চাওয়া যাবে না আবার দেখা যায় যে জিনিস ঔ ব্যক্তির নামে সদকা করে দিবেন তাও তার নেই।সে মোট (৩০ হাজারের মতো হবে তিনি বলেছেন) টাকা হকের উপর আছেন।এখন এই টাকা কি দান করতেই হবে নাকি কোনো ভাবে ক্ষমা পাওয়া যায়,বা কম টাকা দেয়া যায় কিনা?উল্লেখ্য সে বলেছেন একজনের এমন একটা জিনিস সে না জানিয়ে নিয়েছেন পরে সে ব্যক্তি একদিন তার থেকে ধার চাইলে সে তাকে হাজার খানের টাকা দিয়েছেন এই বলে এটা তোমার টাকা ফেরত দিতে হবে না।এবং  এ ও বলেছেন যে না বলপ অনেক কিছুই নেয়া হয়েছে সব কিছুর জন্য মাফ করে দাও দাবি রেখো না এবং ঔব্যক্তি বলেছে কোনো দাবি নেই,এখন কি সেই টাকা মাফ হয়েছে?(যেই জিনিস নিয়েছে তার দাম বর্তমান মূল্য (৯-১০ হাজার)


২.বিয়ের পর নব্য বউয়ের পিরিয়ড হয় তো পিরিয়ড শেষ হয়েছে কিন্তু  ফরজ গোসল করেনি তখন যদি সহবাস হয় তাতে কি কাফফারা জরুরী?উল্লেখ্য স্বামী জানতো না যে ফরজ গোসল দেয়ার পর ই মিলিত হতে হয় এবং বউ এ ব্যপারে জানলেও তখন সেই বোধ ছিলো না।এজন্য দুজনেই অনুতপ্ত এবং তওবা করেছেন আল্লাহর কাছে।শরীয়ত যে কাফফারা আদায় করতে বলেছে তা আমাদের জন্য কষ্টকর।অনুগ্রহ করে বিস্তারিত বলবেন।

৩.কোনো একটা জিনিসের মূল দাম ৫০০ টাকা তবে অফারে ২ টা জিনিস ৫০০ টাকায় কিনা।তা আবার ৫০০ করে ১০০০টাকায় সেল করা জায়েজ আছে?এখানে কাস্টমারকে কোনো মিথ্যা বলা হয় নি।জাস্ট গায়ে যেই দাম সেই রেটে সেল করা হয়েছে।

৪.বিয়ের সময় আমি ১২ আনার মতো স্বর্ণ পেয়েছি দেন মোহর হিসেবে।এখন সেই স্বর্ন কোথাও গেলে পরা হয় অন্যথায় রেখে দেয়া হয়।এই স্বর্ণের জাকাত আসবে কি?

৫.আমার নিজ দাদুকে কি জাকাত দেয়া যাবে?এবং আমার মায়ের খালাকে কি জাকাত দেয়া যাবে?(তারা দুজনই দরিদ্র)

৬.মেয়েদের জাকাত দিলে কি কুরবানি ও ওয়াজিব হয়ে যায়?

৭:আত্মীয়দের মধ্যে কাদের জাকাত দেয়া যাবে না?

1 Answer

0 votes
ago by (609,210 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যেহেতু ঐ ব্যক্তি দাবী ছেড়ে দিয়েছে,  তাই ঐ ব্যক্তিকে আর ঐসব ফিরিয়ে দিতে হবে না।

(২)
4.374 গ্রাম স্বর্ণ সদকাহ করে নিলেই হবে।

(৩)  অফারে ২ টা জিনিস ৫০০ টাকায় কিনে সেটাকে ১০০০টাকায় সেল করা নাজায়েয হবে না।

(৪) এই স্বর্ণের সাথে নগদ টাকা না থাকলে যাকাত দিতে হবে না। নতুবা যাকাত দিতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121

(৫) নিজ দাদুকে কি যাকাত দেয়া যাবে না। মায়ের খালাকে যাকাত দেয়া যাবে।

(৬)মেয়েদের উপর যাকাত ফরয হলে তাদের উপর  কুরবানিও ওয়াজিব হবে।

(৭) আত্মীয়দের মধ্যে নিজ পিতামাতা ও তাদের উর্ধস্থন এবং সন্তানাদি ও তাদের নিম্নস্থন এবং স্বামী স্ত্রী পরস্পর  যাকাত দেয়া যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...