আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
recategorized by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
(০১)
রাত করে নখ কাটার বিষয়ে কি কোনো বাধা নিষেধ আছে?

(০২)
আবার অনেকে পান দিয়ে নজর ঝারে এ সর্ম্পকে জানতে চাচ্ছিলাম।

...........................................................................................................................................................

1 Answer

0 votes
by (585,060 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে  

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَغَيْرُهُ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ " . فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ .

মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) আবূ সালামাহ ইবনু আবদুর রহমান ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণ, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা ও হামাহ- এসবের কোন অস্তিত্ব নেই। সে সময় জনৈক বেদুঈন আরব বলল, হে আল্লাহর রসূল! বর্ণনাকার ইউনুস (রহঃ) কর্তৃক রিওয়ায়াতকৃত হাদীসের অবিকল। (মুসলিম শরীফ ৫৬৮২ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯৫)

ইমরান বিন হুসাইন (রদ্বি, ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,

لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَطَيَّرَ، أَوْ تُطُيِّرَ لَهُ أَوْ تَكَهَّنَ، أَوْ تُكُهِّنَ لَهُ أَوْ سَحَرَ، أَوْ سُحِرَ لَهُ-

, ‘‘সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি (কোন বস্ত্ত, ব্যক্তি কর্ম বা কালকে) অশুভ লক্ষণ বলে মানে অথবা যার জন্য অশুভ লক্ষণ দেখা (পরীক্ষা) করা হয়, যে ব্যক্তি (ভাগ্য) গণনা করে অথবা যার জন্য (ভাগ্য) গণনা করা হয়। আর যে ব্যক্তি যাদু করে অথবা যার জন্য (বা আদেশে) যাদু করা হয়।’’ (ত্বাবারানী ১৪৭৭০, সহীহুল জামে’ ৫৪৩৫ ,সিলসিলা ছহীহা ২১৯৫)

এগুলোতে বিশ্বাস করা শিরক। এভাবে শুভ অশুভ নির্ণয়ের বিধান প্রসঙ্গে রসূলুল্লাহ (স) বলেন,

اَلطِّيَرَةُ شِرْكٌ

‘কুলক্ষণে বিশ্বাস করা শিরক’।[আবুদাঊদ, তিরমিযী; মিশকাত, ৪৫৮৪]

আব্দুল্লাহ বিন আমর বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) একদা বললেন, কুলক্ষণ যে ব্যক্তিকে কোন কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে, নিশ্চয়ই সে শিরক করে। ছাহাবীগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উহার কাফফারা কি হবে? তিনি বললেন, ঐ ব্যক্তি বলবে-

اَللَّهُمَّ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُكَ وَلاَ طَيْرَ إِلاَّ طَيْرُكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ

‘হে আল্লাহ! আপনার কল্যাণ ছাড়া কোন কল্যাণ নেই। আপনার সৃষ্ট কুলক্ষণ ছাড়া কোন কুলক্ষণ নেই। আর আপনি ছাড়া কোন মা‘বূদও নেই’    [আহমাদ ৭০৪৫, সিলসিলা ছহীহা ১০৬৫]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
রাত করে নখ কাটার বিষয়ে কোনো বাধা নিষেধ নেই।

সমাজে যে নিষেধ করা হয়,এটা নিছক কুঃসংস্কার।
শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।

এগুলো আমাদের দেশে প্রচলিত যেসমস্ত কুসংস্কার রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি। আপনি রাতে নখ কাটতে পারবেন, চুল কাটতে পারবেন, ঝাড়ুও দিতে পারবেন, এটি গর্হিত কাজ নয়। তবে সাধারণত মানুষ এ কাজগুলো অর্থাৎ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো দিনের বেলায় করে থাকেন। যেহেতু রাতকে মানুষেরা বিশ্রামের জন্যই রাখেন। 
,
কুরআনে কারীমের মধ্যে সূরা নাবার ১০ নং আয়াতে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,

وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا
“আর রাতকে আমি পোশাকের মতো করেছি।” যাতে করে মানুষ ঘুমাতে পারেন, আরাম করতে পারেন এজন্য। 
,
তাই এ কাজগুলো অনেকেই দিনের বেলায় করে থাকেন। কারণ, রাতে করতে গেলে অনেকসময় ভুলত্রুটি হয়ে যেতে পারে। 
,
আরেকটি কারণে লোকেরা এই কাজগুলো রাতে করে থাকেন আর সেটি হচ্ছে আগেকার যুগে রাতে নখ কাটা, চুল কাটা এবং ঝাড়ু দেয়ার কাজটি কঠিন ছিল। সেখানে নখ কাটার এবং চুল কাটার পদ্ধতিগুলোও জটিল ছিল, ঝাড়ু দেয়ার পদ্ধতিও সহজ ছিল না। 
,
কারণ, রাতে অন্ধকার থাকতো; এবং সেখানে আলোর বন্দোবস্ত করারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তখন কুপি বাতি জ্বালানো হতো অথবা সামান্য কোনো আলোর ব্যবস্থা অর্থাৎ আগুন জ্বালানো হতো তাই এ কাজগুলো রাত্রে সম্পাদন করা অনেক কঠিন ছিল। এ কারণেই সম্ভবত লোকেরা এ কাজগুলো রাত্রে করতে অপছন্দ করেছেন অপছন্দ করেছেন। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্ এখন রাত আর দিনের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই অর্থাৎ রাতেও সকল প্রকার কাজ চলে এবং দিনেও সকল প্রকার কাজ চলে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
এ বিষয়টি শরীয়তের কোথাও নেই।

বদনজর লাগলে এক্ষেত্রে করনীয় সম্পর্কে হাদীসে সেসব কাজের কথা আছে,সে সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 304 views
...