আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমাদের বিয়ের ২ মাস হলো। স্ত্রীর সাথ সহবাসের একদম কাছাকাছি গিয়ে আর করছিনা। স্ত্রীর অনেক ব্যাথ্যা পায় এবং বেশ ভয় পায়। তার উত্তেজনা ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের বেশি থাকছে না। তাই হামদার্দ এর মেডিসিন নিচ্ছে কিছুদিন হলো। আজকে জানতে পারলাম একটি খন্দকার জাহাঙ্গির স্যারের ফিকহের বইতে যে, হাজবেন্ড ওয়াইফের যৌনাজ্ঞ মিলিত হলেই বা স্পর্স করলেই নাকি গোসল ফরজ হয়। এটা কি সঠিক?
২) কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীর পূর্বে তরল পদার্থ আসে। যেটা সম্ভব মণি বা মযি কিন্তু সে উত্তজনার চরমে গিয়ে নিজতেজ হলে কখন তরল কিছু আসে আবার কখনো আসে না। এই ক্ষেত্রে কী গোসল ফরজ হবে তার?

৩) তার স্থানে পরিপুর্ন ভাবে প্রবেশ করানো হয়নি। অল্প কিছু প্রবেশ করানো হয় তবে মূল স্থানে প্রবেশ করানো হয় না, ব্যাথার কারনে।  তার আর আগানো হয় না। এই ক্ষেত্রে কি গোসল ফরজ হয়েছে উভয়ের?

৪) আমরা জানতাম যোনিতে মূল স্থানে পুরুষাঙ্গের মাথা কিছুটা প্রবেশ করলে গোসল ফরজ হয়। তাই ভেবেছি আমাদের গোসল এখনো ফরজ হয়নি। তাই সেই সময় ফরজ গোসল করা হয়নি।

1 Answer

0 votes
by (585,060 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

إِذَا الْتَقَى الْخِتَانَانِ وَتَوَارَتِ الْحَشَفَةُ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ

“দু’বিপরীত লিঙ্গ পরস্পর মিলিত হলে এবং পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ অদৃশ্য হয়ে গেলেই গোসল ওয়াজিব হয়।” [সুনানে ইবনে মাজাহ, পবিত্রতা ও তার সুন্নতসমূহ অধ্যায়। সনদ সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৩/২৬০।]

 আবু হুরাইরাহ রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
قَعَدَ بَيْنَ شُعَبِهَا الأَرْبَعِ وَأَلْزَقَ الْخِتَانَ بِالْخِتَانِ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ
“তার (স্ত্রী) চার অঙ্গ (দু হাত ও দু পা অথবা দু রান ও দু পা) এর মাঝখানে বসলে এবং এক যৌনাঙ্গ অপর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দিলেই গোসল আবশ্যক হবে।” অন্য বর্ণনায় আছে, و إن لم ينزل “বীর্য নির্গত না হলেও।” অন্য বর্ণনায় আছে, বীর্যপাত হোক অথবা না হোক।
(সহিহ বুখারী ও মুসলিম। সহীহ বুখারী গোসল অধ্যায়। অনুচ্ছেদ: যখন দুটি বিপরীত লিঙ্গ মিলিত হবে।)

 আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِذَا جَلَسَ الرَّجُلُ بَيْنَ شُعَبِهَا الأَرْبَعِ ثُمَّ جَهَدَهَا فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ
“যখন কোন ব্যক্তি তার (স্ত্রীর) চার অঙ্গের মধ্যবর্তী স্থানে উপবিষ্ট হয় এবং তার সাথে সঙ্গম করে, তখন গোসল ওয়াজিব হয়।” [সুনানে ইবনে মাজাহ, পবিত্রতা ও তার সুন্নতসমূহ অধ্যায়, মুসনাদ আহমাদ ৬৬৩২ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবু দাউদ ২০৯, ইরওয়াহ ১২২।]

 আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
إِذَا جَاوَزَ الْخِتَانُ الْخِتَانَ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ
“এক লজ্জা স্থান অপর লজ্জা স্থানে প্রবেশ করলে গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়।” (তিরমিযী, পরিচ্ছদ: ৮০. 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামীর বিশেষ অঙ্গের অগ্রভাগ (সুপারির ন্যায় অংশ) স্ত্রীর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করলেই গোসল ফরজ হবে।

(০২)
এটা যেহেতু স্বামীর সাথে সহবাসের ক্ষেত্রেই হয়েছে,সুতরাং সর্বাবস্থায় উভয়ের উপরেই গোসল ফরজ হবে।

দু’বিপরীত লিঙ্গ পরস্পর মিলিত হলে এবং পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ অদৃশ্য হয়ে গেলেই গোসল ফরজ হয়।

(০৩)
স্বামীর বিশেষ অঙ্গের অগ্রভাগ (সুপারির ন্যায় অংশ) স্ত্রীর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করলেই গোসল ফরজ হবে।

সুপারির ন্যায় অংশ পুরোপুরি প্রবেশ না করিয়ে অর্ধেক বা আংশিক প্রবেশ করালে গোসল ফরজ হবেনা।

(০৪)
এক্ষেত্রে ফরজ গোসল করে আপনারা ইবাদত বান্দেগী করবেন।
ফরজ গোসল করার আগ পর্যন্ত আপনারা যত নামাজ আদায় করেছেন,এর কোনোটিই আদায় হয়নি। তাই ফরজ গোসল করে এসব নামাজ পুনরায় আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
শুকরিয়া উস্তাদ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...