ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/86444/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়ত উপার্জন সক্ষম বালেগ পুরুষ এর উপর আরো অনেকের লালন পালনের
দায়িত্ব দিয়েছে। যেমন, উপার্জন অক্ষম মাতা-পিতা, নাবালিগ ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী সহ অনেকের
ভরণপোষণের দায়িত্ব রয়েছে একজন পুরুষের উপর।
,
এখন অভিবাবকের সম্পদ হারাম হলে, সেই সম্পদ থেকে
খরচ না করে নিজ মাল থেকে খরচ করাই উচিৎ, যদি নিজের সম্পদ থাকে। তবে বালেগ ছেলের উপর ওয়াজিব যে,তার সম্পদ না
থাকলেও সে হালাল তরিক্বায় তার জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করবে। হ্যাঁ উপার্জন অক্ষম
ব্যক্তির জন্য অভিবাবকের হারাম মাল থেকে তাওবাহ-ইস্তেগফারেরর
সাথে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি গ্রহণ করা বৈধ রয়েছে। কেননা এই উপার্জন অক্ষম ব্যক্তিগণকে
ভরণপোষণ করা ঐ উপার্জন সক্ষম ব্যক্তির একান্ত দায়িত্ব ছিলো। সুতরাং গোনাহ ঐ অভিবাবকের-ই
হবে। বিস্তারিত জানতে দেখুন-(ফাতাওয়ায়ে উসমানী-৩/১২৭)
,
সুতরাং আপনি উপার্জন অক্ষম হলে, আপনি প্রয়োজন
পর্যন্ত আপনার পিতার মাল থেকে খরচ করতে পারবেন। বাবার কাছ থেকে প্রয়োজন পর্যন্ত নেয়া
সম্ভব হলে অন্য কারো কাছে থেকে আর কিছু নেয়ার প্রয়োজন নেই।
হালাল-হারাম মিশ্রিত ইনকাম করে তার বাসায় দাওয়াত খাওয়া- https://ifatwa.info/22304/
,
https://www.ifatwa.info/782 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ
করেছি যে,
স্বামীর উপার্জন যদি হারাম থাকে বা স্বামীর সম্পদের অধিকাংশ
যদি হারাম থাকে, তাহলে স্ত্রীর জন্য উচিৎ নিজ মাল থাকলে সেই মাল থেকে খোরাকি
গ্রহণ করা। তবে সে চাইলে স্বামীর মাল থেকেও খোরাকি নিতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে না নেয়াই
উত্তম। স্ত্রীর কোনো প্রকার মাল না থাকলে সে স্বামীর উক্ত সম্পত্তি থেকে প্রয়োজন পর্যন্ত
খোরাকি নিতে পারবে।
রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
وَفِي
جَامِعِ الْجَوَامِعِ: اشْتَرَى الزَّوْجُ طَعَامًا أَوْ كِسْوَةً مِنْ مَالٍ
خَبِيثٍ جَازَ لِلْمَرْأَةِ أَكْلُهُ وَلُبْسُهَا وَالْإِثْمُ عَلَى الزَّوْج
ِتَتَارْخَانِيَّةٌ
যদি স্বামী সন্দেহজনক মাল দ্বারা খাদ্য বা কাপড় ক্রয় করে,তাহলে স্ত্রীর
জন্য উক্ত খাদ্য এবং কাপড়-কে গ্রহণ করা জায়েয রয়েছে। গোনাহ অবশ্য স্বামীরই হবে। (তাতারখানিয়া)
(রদ্দুল মুহতার-৬/১৯১)
,
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
,
আপনি যেহেতু একজন মেয়ে। তাই আপনার ভরণপোষণ, যাবতীয় খরচ ও
আপনার বিয়ে-শাদীর সব খরচ আপনার বাবার উপর আবশ্যক। তাই তিনি যদি হারাম সম্পদ থেকে ব্যয়
করেন তাহলে গোনাহ তার হবে; আপনার নয়।
আপনি আপনার বাবার হালাল সম্পদ থেকেই খরচ করার চেষ্টা করবেন।
আপনার ভাই আপনাকে কোনো কিছু গিফট করতে চাইলে তাকে তার কোনো হালাল ইনকাম থাকলে
সেখান থেকে করতে বলবেন। এগুলো হেকমতের সাথে ও সুন্দর ভাবে বলবেন। হালাল-হারামের
বিষয়টাও বলবেন।