আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
আমার পরিচিত একজনের পক্ষ হতে প্রশ্ন:

আসসালামু আলাইকুম। বৈবাহিক জীবনে দীর্ঘদিন সন্তান না হবার কারণে আমরা আইভিএফ (টেস্ট টিউব বেবি) পদ্ধতি গ্রহণ করি। এ-ই প্রক্রিয়ায় স্বামীর শুক্রাণু এবং স্ত্রীর ডিম্বানু শরীর থেকে ইঞ্জেকশন এ-র মাধ্যমে বের করে হাসপাতালের পরীক্ষাগারে বীজ (এমব্রায়ো) উৎপন্ন করা হয়। আল্লাহর হুকুম হলেই কেবল বীজ উৎপন্ন হয়, এটা বলা ভালো। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু একটি টেস্টটিউবে রাখা হয়, আল্লাহর হুকুম হলে বীজ উৎপন্ন হয়, হুকুম না হলে হয়না। এ-ই বীজ গুলো নিষ্প্রাণ থাকে। এটা যেমন, আমরা কোনো ফল খাওয়ার পর যেমন সেই ফলের বীজ আমাদের হাতে যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ নিষ্প্রাণ থাকে। কিন্তু উর্বর মাটিতে পুঁতে দিলে আল্লাহ সেটাতে প্রাণের সঞ্চার করেন। আবার অনেক সময় আল্লাহ তায়ালা প্রাণ দেননা। আল্লাহর ইচ্ছা। ফল বা সবজির বীজ যেমন রোদে শুকিয়ে বা ফ্রিজে রেখে কয়েক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়, তেমনি মানবসন্তানের এ-ই বীজ (এমব্রায়ো) কয়েক বছর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। এখন আসি, আমাদের মাসলায়। আল্লাহর হুকুমে আমাদের স্বামী স্ত্রীর শুক্রাণু ডিম্বাণু মিলিত হয়ে এমব্রায়ো হয়েছে বেশ কয়েকটা। বীজগুলো হাসপাতালের ফ্রিজে বিশেষ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হয়, এ-র জন্য হাসপাতালে টাকা দিতে হয়। যতদিন সংরক্ষণ করা লাগে, ততদিন টাকা দিয়েই যেতে হয়। বাৎসরিক ফি। বাংলাদেশি টাকায় ৪০-৫০,০০০/- টাকা। এ-ই বীজ স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করলে, আল্লাহ চাইলে সন্তান হয়, না চাইলে হয়না। ঠিক যেমন মাটিতে শস্যের বীজ ফেললে সব বীজ থেকে চারাগাছ হয়না। সব চারাগাছ পরিপক্ক গাছ হয়না। তেমন। কিন্তু মানব শরীরের জরায়ুতে একসাথে সব বীজ প্রতিস্থাপন করা যায়না৷ সর্বোচ্চ ২/৩ টা একসাথে প্রতিস্থাপন করা যায় এক মাসিক চক্রে। সেটাও সাধারণ নিয়মে না। মাসিক চক্রের শুরু থেকে ১২-১৪ দিন নিয়মিত মায়ের শরীরে ইঞ্জেকশন প্রদানের মাধ্যমে মায়ের জরায়ুকে উর্বর করা হয়। এ-ই ইঞ্জেকশন গুলো শরীরের জন্য প্রচন্ড কষ্টদায়ক এবং অর্থসাপেক্ষ। একটি মাসিকচক্রে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে জরায়ু প্রস্তুত করে সর্বোচ্চ ২টি বীজ প্রতিস্থাপনের পর যদি সন্তান না হয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তী মাসিকচক্রের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আবার ইঞ্জেকশন, আবার প্রতিস্থাপন এবং অপেক্ষা আল্লাহ তায়ালার হুকুমের। তিনি যদি প্রাণ দেন, তবেই হবে, নয়তো আবার সেই প্রক্রিয়ার পূণরাবৃত্তি। তো যেহেতু একবার ৯/১০টা বীজ উৎপন্ন হলে সব একসাথে জরায়ুতে প্রতিস্থাপন সম্ভব না, তাই ২ টা প্রতিস্থাপন করে বাকিগুলো ফ্রিজে রাখতেই হয়, টাকা লাগে।
এবার মূল কথা, আমাদের স্বামী স্ত্রীর বীজ গুলো আমরা তিনবার তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মাসিকচক্রে জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করেছি। আল্লাহ সন্তান দেননি। এখন আমাদের আরও তিনটি বীজ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা আছে। আমরা চাইলে আরও তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মাসিক চক্রে এগুলো প্রতিস্থাপন করতে পারবো। কিন্তু এতে শরীরে ইঞ্জেকশন নিতে হবে এবং প্রচুর টাকাও লাগবে খরচ হিসেবে। এটা আর করতে শরীরে, মনে, খরচে সায় দিচ্ছেনা। না করলে হয় ফ্রিজে টাকা দিয়ে বীজ সংরক্ষণ করতে হবেভবিষ্যতে কখনো প্রতিস্থাপন করবো এ-ই উদ্দেশ্যে, নাহয় এখনি নষ্ট করে ফেলতে হবে, অথবা অন্য কোন দম্পতিকে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া যাবে। আমরা এগুলো নষ্ট করে ফেলতে চাচ্ছি, যেহেতু বাকি দুইটা অপশন আমাদের করার ইচ্ছা নাই। আল্লাহ তায়ালা স্বাভাবিক নিয়মে সন্তান দিলে আলহামদুলিল্লাহ, না দিলেও আলহামদুলিল্লাহ, এখন আর কৃত্রিম উপায়ে যেতে মন টানছেনা। এমতাবস্থায় আমরা কি এ-ই বীজ নষ্ট করতে পারি?

1 Answer

0 votes
ago by (584,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/34020/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
মৌলিকভাবে টেষ্টটিউবের মাধ্যমে প্রজননের তিনটি পদ্ধতি। 

(০১)
স্বামী স্ত্রী ব্যাতিত অন্য কোনো মহিলা ও পুরুষের ডিম্বানু ও শুক্রানো মিশ্রণ করে প্রজনন করা। চাই এ দুই অপরিচিত উৎসগিরি [ডিম্বানু ও শুক্রানু] কোন টিউবে একত্র করা হোক, বা সেই মহিলার জরায়ুতে বা অন্য কোন মহিলার জরায়ুতে হোক। অথবা সেই পুরুষের নিয়মসিদ্ধ ও শরয়ীতসিদ্ধ স্ত্রীর জরায়ুতে তা ফিট করা হোক।

এ পদ্ধতিটি একদমই না জায়েজ। কেননা এতে করে প্রজননে সংমিশ্রণ ঘটে। আর ব্যভিচারের মূল নিষিদ্ধতা এ কারণেই। এ ব্যাপারে স্পষ্ট বর্ণনা আছে-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন-

عَنْ رُوَيْفِعِ بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِىِّ قَالَ قَامَ فِينَا خَطِيبًا قَالَ أَمَا إِنِّى لاَ أَقُولُ لَكُمْ إِلاَّ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ يَوْمَ حُنَيْنٍ قَالَ « لاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْقِىَ مَاءَهُ زَرْعَ غَيْرِهِ (سنن ابى داود-كتاب النكاح، باب فِى وَطْءِ السَّبَايَ، رقم الحديث-2160)

অনুবাদ-হযরত রুয়াইফি বিন সাবিত আনসারী রাঃ একদা খুতবাদানকালে বলেন-আমি কি তোমাদের বলব না যা আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি হুনাইন যুদ্ধের দিন? তিনি বলেছেন-আল্লাহ ও আখেরাত বিশ্বাসী কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় যে, সে তার পানি [বীর্য} দিয়ে অন্য কারো জমি [জরায়ু] প্রবাহিত করবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৬০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬৯৯০, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৭৭৪৯, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৪৪৮২}

এ মিশ্রণ থেকে বাঁচার জন্যই বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার পর স্ত্রীর উপর ইদ্দত পালনকে আবশ্যক করা হয়েছে। শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলবী রহঃ লিখেন-

منها معرفة براءة رحمها من مائه ، لئلا تختلط الأنساب ، فان النسب  أحد ما يتشاح به ، ويطلبه العقلاء ، وهو من خواص نوع الانسان ، ومما  امتاز به من سائر الحيوان ، (ححة الله البالغة، كتاب النكاح، باب العدة-2/13)

অনুবাদ-ইদ্দত পালনের উপকারিতার মাঝে এটাও একটা যে, এর দ্বারা মহিলার জরায়ু পূর্ব স্বামীর উৎসগিরি [ডিম্বানু] থেকে মুক্ত হওয়া বুঝা যায়। যেন বংশে সংমিশ্রণ সৃষ্টি না হয়। কেননা বংশ এটি এমন বিষয় যার কামনা করা হয়। আর জ্ঞানীরা যার অনুসন্ধানী। যা মানুষের বিশেষত্ব। এর মাধ্যমে মানুষ অন্য প্রাণী থেকে বৈশিষ্টমন্ডিত। {হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা-২/১৩}

(০২)
স্বামী ও স্ত্রীর উৎসগিরি [শুক্রানু ও ডিম্বানু] সংগ্রহ করে তা টিউবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে। তারপর সেটি সেই স্ত্রীর গর্ভে স্থানান্তরিত করা হবে।
এই স্থানান্তরের কাজ স্বামী স্ত্রী ব্যাতিত ৩য় কোনো ব্যাক্তি করবে।

★এই পদ্ধতি নাজায়েজ হওয়ার অন্যতম দুটি কারন রয়েছে।

এক, শরীয়তের দৃষ্টিতে বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত অন্যের সামনে তে সতর খুলতে হবে।
যাহা জায়েজ নেই।

দুই, এখানে যেই ব্যাক্তি সেই উৎসগিরি [শুক্রানু ও ডিম্বানু]  স্থানান্তরের কাজ করবে,তার কাছে অনেক  উৎসগিরি [শুক্রানু ও ডিম্বানু]  মজুদ থাকে।
সুতরাং এখানে সেই স্বামী স্ত্রীর উৎসগিরি [শুক্রানু ও ডিম্বানু]  রদ বদল হতে পারে।
বিষয়টি অস্বীকার করা যায়না।
যাহা স্পষ্ট অবৈধ সন্তানের নিকটতম  করে দিবে।

ولا يباح النظر والمس الى مابين السرة والركبة الا فى حالة الضرورة بان كانت المرأة ختانة تختن النساء (تحفة الفقهاء-3/334)

অনুবাদ-নাভি ও হাটুর মাঝামাঝি অংশ দেখা এবং স্পর্শ করা জায়েজ নয় প্রয়োজন ছাড়া এবং মহিলাকে খতনা করার সময় খতনাকারী মহিলা ছাড়া। {তুহফাতুল ফুক্বাহা-৩/৩৩৪}

(০৩)
স্বামী ও স্ত্রীর উৎসগিরি [শুক্রানু ও ডিম্বানু] সংগ্রহ করে তা টিউবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে। তারপর সেটি সেই স্ত্রীর গর্ভে স্থানান্তরিত করা হবে।
এই স্থানান্তরের কাজ স্বামী নিজেই করবে করবে।
অথবা স্ত্রী নিজেই করবে।
কোনো ৩য় ব্যাক্তি সেখানে থাকতে পারবেনা।
,
★★যখন কোনোভাবেই স্ত্রীর সন্তান না হয়,তখন বিশেষ প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কেরামগন এই ৩য় পদ্ধতি অবলম্বন করার অনুমতি প্রদান করেছেন।        
তবে প্রথম দুই পদ্ধতির অনুমতি নেই। 

দারুল উলুম করাচির (১/৬/১৪৩১ হি. ১৭/১২৩৪,৬৫/৬৭৯) ফতোয়া মতে বেশ কয়টি শর্ত সাপেক্ষে ২য় পদ্ধতি অবলম্বনেরও সুযোগ আছে।

★ এক্ষেত্রে প্রথমে সন্তান জন্ম দেওয়ার সকল স্বাভাবিক চেষ্টা সম্পন্ন করতে হবে। এরপর যদি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার অন্য সব পদ্ধতি ব্যর্থ হয় এবং আর কোনো উপায়ান্তর না থাকে তাহলে সর্ব শেষ চিকিৎসা হিসেবে এই পদ্ধতি গ্রহণ করার সুযোগ নিতে পারবে।

★এ পদ্ধতি গ্রহণ করার প্রতিটি ধাপে সতর ও হিজাবের প্রতি সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকতে হবে। যেমন, স্ত্রীর কাছ থেকে ডিম্বানু সংগ্রহ করা এবং স্ত্রীর জরায়ুতে ভ্রূণ সংস্থাপন করা; এ কাজগুলো মহিলা ডাক্তারকে দিয়ে করাতে হবে।

★পুরুষ ডাক্তার সিরিঞ্জের মাধ্যমে স্বামীর কাছ থেকে বীর্য সংগ্রহ করবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে হস্তমৈথুনের পরিবর্তে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে আযলের মাধ্যমে তা সংগ্রহ করবে।

★যাতে করে অপরের বীর্যের সঙ্গে কোনোভাবে কোনো প্রকার গড়মিল না হয়; সন্তান তার পিতৃ পরিচয় লাভের উদ্দেশ্যে অবশ্যই এর প্রতি পরিপূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে।

★যেহেতু বন্ধ্যাত্বের কারণে অনেক সময় তালাকের মত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তাই জরুরতের প্রতি লক্ষ করে উপায়ান্তর না থাকার পরিস্থিতিতে টেস্টটিউব বেবি নেয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং কেবল বিলাসিতার উদ্দেশ্যে অর্থাৎ, ছেলে চাই-মেয়ে নয় কিংবা মেয়ে চাই- ছেলে নয়; এ জাতীয় উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা জায়েয হবে না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা এ-ই বীজ নষ্ট করতে পারেন। এতে গুনাহ হবেনা।

তবে এক্ষেত্রে আপনারা সতর্কতামূলক আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...