আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
আমি এবং আমার হাজবেন্ড ২ বছর আগে মা বাবাকে না জানিয়ে বিয়ে করি।কারণ তারা আমাদের কখনোই তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চাইতেন না।এখনও চান না।আমার স্বামী তার পরিবারকে রাজি করানোর অনেক চেষ্টা করেছেন।এককথায় যা করা সম্ভব সব করেছেন,বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন।কিন্ত উনার পরিবার আরোও ২,৩ বছর পর বিয়ে দিতে চাচ্ছেন।তারা আমাদের বিয়ে হয়েছে এটা মেনে নেননি।আমাদের পক্ষে এতবছর আলাদা থাকা সম্ভব হচ্ছে না,বিভিন্ন গুনাহে লিপ্ত হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে এভাবে আলাদা থাকলে।আমার পরিবার আমাদের বিয়ে হয়েছে জেনেও এই বিয়েকে শুদ্ধ হিসেবে মেনে নেননি।আমার পরিবার চাচ্ছেন আমার স্বামীর পরিবার থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসলে বিয়ে দিবেন।কিন্তু উনারা তো প্রস্তাব পাঠাতে রাজি হচ্ছেন না।এখন আমার স্বামী চাইছেন আলাদা বাসা নিয়ে আমাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করিয়ে উঠতে।কিন্তু আমার পরিবার মনেহয় উনার পরিবাত ছাড়া শুধু উনার কাছে বিয়ে দিতে রাজি হবেন না।এখন আমি কিভাবে উনাদের রাজি করাতে পারি।আপনি আমাদের তাড়াতাড়ি বিয়ের গুরুত্ব লিখে দিলে আমি তাদেরকে দেখাতাম।

আমার স্বামীর জন্য কি আলাদা বাসা নেয়া জায়েজ হবে।উনি উনার মা বাবা থেকে আলাদা থাকত্র চাননি।কিন্তু যেহেতু উনারা রাজি হচ্ছেন না।

1 Answer

0 votes
by (585,060 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/76740/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ঘরে থাকলে তাদের দ্রুত বিয়ে দেওয়ার বিধান ইসলাম দিয়েছে। মা-বাবার কর্তব্য হচ্ছে মেয়েকে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যবস্থা না করেন তাহলে গুনাহগার হবেন। বিয়ের জন্য চেষ্টা করছেন কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না সময় যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে তার মা-বাবা গুনাহগার হবেন না। মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যাপারে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের গুনাহ হবে, কোনো সন্দেহ নেই।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)

عن محمد بن عمر بن علي بن أبي طالب، عن أبيه، عن علي بن أبي طالب، أن النبي صلى الله عليه وسلم قال له: " يا علي، ثلاث لاتؤخرها: الصلاة إذا آنت، والجنازة إذا حضرت، والأيم إذا وجدت لها كفئًا".

 (1 / 320، باب ما جاء في الوقت الأول من الفضل، ابواب الصلوٰۃ، ط:شركة مكتبة ومطبعة مصطفى البابي الحلبي - مصر)

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’ 
(তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫)

যখন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং কুফু বা সমমানের পাত্র-পাত্রী পাওয়া যায়, অভিভাবকের দায়িত্ব তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। ছেলে-মেয়েদের যত দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করা যাবে ততই তারা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারবে।

مصنف عبد الرزاق :

"عن يحيى بن أبي كثير قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «إذا جاءكم من ترضون أمانته وخلقه فأنكحوه كائنًا من كان، فإن لاتفعلوا تكن فتنة في الأرض وفساد كبير»، أو قال: «عريض»".

 (6/ 152، کتاب النکاح، باب الاکفاء، رقم الحدیث:10325، ط:المجلس العلمی ، الھند) 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরোক্ত ফতোয়া আপনার মা বাবাকে দেখিয়ে আপনার মা-বাবাকে বিবাহের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝাতে পারেন।

অথবা এক্ষেত্রে আপনার পারিবারিক মুরব্বিদের সহযোগিতা নিতে পারেন।

কোনভাবেই কোন কাজ না হলে সেক্ষেত্রে আপনাদের যে বিবাহ হয়ে গিয়েছে এটি আপনার পরিবারে প্রকাশ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামী চাইলে আপনাকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকতে পারবেন, স্বামী হিসেবে তার এই অধিকার রয়েছে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
edited by
উস্তাদ কোনোভাবেই উনারা রাজি হচ্ছেন না।উনারা জানেন আমাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।তাও রাজি হচ্ছেন না রেজিস্ট্রি করিয়ে আমাকে আমার স্বামীর সাথে যেতে দিতে।এখন আমার কি করা উচিত।অনেক মানুষকে দিয়ে বুঝানো হয়েছে তাও কাজ হচ্ছে না।উনারা ছেলের অভিভাবক ছাড়া বিয়ে দিবেন না।আর ছেলে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও অভিভাবকদের রাজি করাতে পারেননি।এখন আমাদের কি করা উচিত।
এর মধ্যে আমি প্রেগন্যান্ট। তাই তাড়াতাড়ি করতে চাচ্ছিলাম সবকিছু।এটা আমার পরিবারকে জানাতে পারছি না।না হলে আমাকে মেরে ফেলবে।তাই প্রেগন্যান্ট এর কথা না জানিয়ে বিয়েটা রেজিস্ট্রি করিয়ে ফেললে সমাধান হতো।কিন্তু উনারা তো রাজি হচ্ছেন না
ago by (585,060 points)
এক্ষেত্রে আপনার পারিবারিক মুরব্বিদের সহযোগিতা নিতে পারেন।

আপনার স্বামী চাইলে আপনাকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকতে পারবেন, স্বামী হিসেবে তার এই অধিকার রয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...