আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।
১/ স্বপ্নে দেখি,,অনেকগুলো বাস আমাদের গ্রামেরদিকে যাচ্ছে  বাসে অনেক স্টুডেন্ট আর যাত্রী  ছিল। সবগুলো বাসেই যাত্রী ছিল। একটার পর একটা বাস যাচ্ছে আমি মনে মনে বলতেছি,,আমাদের গ্রামের রাস্তাতেও বাস চলছে।  সবগুলো বাসের রং হলুদ। আমি কালো বোরকা পরহিতা ছিলাম। তারপর একটা অটোতে উঠি মনে হচ্ছিল আমি কিছুটা অসুস্থ।  এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?

২/ স্বপ্নে আমি প্রায়ই দেখি খাচ্ছি,,কখনো আম খাচ্ছি কখনো লাড্ডু খাচ্ছি আরো অনেক কিছুই খেয়েছি। ভালো ভালো খাবারই খেয়েছি এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?
৩/ স্বপ্নে দেখি,,আমি নুডলস  বমি করে বের করে দিছি। মাদ্রাসার একটা ছোট বাচ্চা ছেলে আমাকে একটা রাস্তার পাশে নিয়ে যায় যেখানে আমি বমি করি।  তখন জায়গাটা হালকা অন্ধকার ছিল সন্ধ্যা হলে যেইরকম অন্ধকার ওইরকম। এ সপ্নের ব্যাখ্যা কি??
৪/  বান্ধবীর মা  ফোন করে অনেক রিকুয়েষ্ট করছে, উনার বান্ধবী নাকি নতুন পর্দা শুরু করছে। ত উনি কিছু বই গিফট করতে চান। উনি বলতেছে উনার কাছে টাকা নাই এখন। আমি কিছু বই  যেন পাঠাই । কিছু ইসলামিক বইয়ের পিক দিছিল ওইগুলো থেকে থাকলে যেভাবে হোক যেন পাঠাই উনাকে । আমার কাছেও এখন টাকা নাই। থাকলে আমি অনলাইনে অর্ডার করে উনাদের বাসায় পাঠাই দিতাম। ত  পিকে দেখলাম একটা বই আমার কাছে আছে। যেই বইটা আমার কাছে আছে ওইটা আমি একবার পড়ছি তারপরও ভালো করে পড়িনি। আমি ফ্যামিলি নিয়ে দূরে থাকি বই পাঠানোও সম্ভব না।  আমি উনাকে ফোন দিয়ে বলি,আন্টি বই নাই । ফোনে কথা বলা শেষ করার পর মনে মনে,বলতেছি এটা কি ঠিক হলো!
আমার সাথে ত বইটা নাই ব্যাগের ভিতর আছে এভাবে তাওরিয়াহ করছি যাতে মিথ্যা বলা না লাগে। যখন বলছি,বই নাই। তখন আমি তাওরিয়াহ করিনি ফোন শেষে, মনে মনে বল্লাম আমার সাথে ত এখন বইটা নাই।
এখন  আমার কি মিথ্যা বলা হইছে?

1 Answer

0 votes
by (584,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(১-৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন গুলি আপনার মনের কল্পনা প্রসূত বলেই মনে হচ্ছে। সুতরাং উক্ত স্বপ্নগুলোই দরুন কোন চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। নিশ্চিন্ত মনে এবাদত বন্দেগী চালিয়ে যেতে পারেন।

(০৪)
হ্যাঁ, এটি মিথ্যা হয়েছে।
মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...