আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম,, আমার বাবা একজন প্রাইমারী স্কুলের হেড টিচার ছিলেন।উনি স্ট্রোকের রুগি,,,এজন্য রিটায়ার্ড নিছেন।।পেনশনও পাইছেন যে এক বছর হলো,আমার প্রশ্ন হলো,,

১.উনার পেনশনের টাকার কি যাকাত দিতে হবে?যেহেতু একবছর হয়ে গেছে।

২.উনার টাকা সোনালী ব্যাংক এ রাখা,,, ওখান থেকে কিছু ইন্টারেস্ট দেওয়া হয়,,এটা কি হারাম??হারাম হলে এ টাকা কি করবে বা কি করনীয়? যেহেতু ব্যাংকে রাখায় লাগছে এ জন্য কি গুনাহগার হবে?ব্যাংকিং সিস্টেম টাই তো হালাল না।।যদিও এ টাকা এসেট /জমি কিনার চেস্টায় আছে।এখন ব্যাংক এ টাকা রাখার জন্য কি গুনাহগার হবে?আর ব্যাংক থেকে পাওয়া এ অতিরিক্ত লাভ্যাংশ কি করবে??

৩.আমার বাবার এ টাকার উপর ছেলেমেয়ের হক আছে??মানে এ টাকা কি ছেলে মেয়েদের কেও ইসলামে যেভাবে বলা আছে ওইভাবে ভাগ করে দিতে হবে?আমার বাবা যদি তার ছোট ছেলের জন্য আলাদা করে কিছু টাকা ডিপোজিট করেন এটা কি উচিত,,ওনাদের মতে ও ছোট ওর ভবিষ্যত আছে,,অন্য ভাইবোন রা বিয়েসাধী হয়ে গেছে,,ভালো অবস্থান এ আছে।আর ছোট ভাই কেবল মাদরাসা থেকে এসএসসি দিবে।আর *ডিপোজিট করা কি জায়েজ?

*ছোটভাইকে আলাদা করে বেশি টাকা দিলে কি এর জন্যে গুনাহ হবে?

৪.আমার ফুফুদের তাদের বাবার বাড়ির সম্পওি ইসলামিক ভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়নি,,আমার বাবা তার বাকি দুই ভাইকে এ বিষয়ে বললেও তারা এ বিষয়ে পাত্তা দিচ্ছে না,(উল্লেখ্য এখনো ভাইদের মধ্যে সম্পওি সুষ্টভাবে বন্টন হয়নি)।এখন আমার বাবা তো অসুস্থ কখন কি হয়,,উনার যদি এ অবস্থায় কিছু হয়,,উনি কি এর জন্যে পাপী হবেন?

1 Answer

0 votes
by (608,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চাকুরী পরবর্তি বোনাস সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে।যথা-
(১)প্রভিডেন্ট ফান্ড
(২)পেনশন ফান্ড

প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিস্তারিত বিধি-বিধান।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা- 
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ  ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ  ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবে।আর কবজা বা হস্তগ্রত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগ্রত হচ্ছে। এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1246


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) পেনশনের টাকা জায়েয। নেসাব পরিমাণ হলে এক বৎসর অন্তর অন্তর যাকাত দিতে হবে। তবে প্রভিডেন্ট ফান্ড হলে উপরের ব্যখ্যা প্রযোজ্য হবে।

(২) ব্যাংকে জমাকৃত টাকার মধ্যে মূলধন ব্যতিত অতিরিক্ত টাকা সুদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই টাকার যাকাত অবশ্যই দিতে হবে।

(৩) সকল সন্তানের প্রতি সমতা রাখা উচিৎ। যাদের বিয়ে শাদি হয়নি, তাদের বিয়ে শাদি বাবৎ প্রয়োজনিয় টাকা প্রথমে পৃথক করে অবশিষ্ট টাকার মধ্যে সমতা রাখা পিতার জন্য উচিৎ। সন্তানদের প্রতি সমতা না রাখলে অবশ্যই এর জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে।

(৪) ফুফুরাও তাদের বাবার সম্পত্তি থেকে আপনার বাবা চাচাদের সাথে শরীয়তমত অংশ পাবেন। যেহেতু আপনার বাবা চেষ্টা করে গেছেন, তাই উনার কোনো গোনাহ হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...