ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
https://ifatwa.info/55713/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে, পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে। কারো পাপের বোঝাকে অন্য
কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ
ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ
الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে
অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। সূরা ফাতির-১৮
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
ইসলামের মূল থিউরী হল স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হোক। তারা
মিলেমিশে থাকুক। সমস্যা হলে উভয়ে বসে তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। তাতে সমস্যার সমাধান
না হলে পারিবারিক মুরুব্বীদের পরামর্শের আলোকে সমাধান করা উচিত। তারপরও যদি সমাধান
না আসে। তাহলে নিরূপায় অবস্থায় ইসলাম তালাক দেবার অধিকার দিয়েছে স্বামীকে।
আপনার এবং আপনার অভিভাবকদের উচিৎ ছিল যে,
প্রথম থেকে দ্বীনদার একজন পাত্রর সাথে
ঘর বাঁধা বা বাঁধানো। যাইহোক, যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে, এখন বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে গোনাহের কাজ
থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন। তাকে আলতো করে আদর করে নামাযের কথা বলুন। ধৈর্য সহকারে
পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে
দু'আ করুন। আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন। তাকে বুঝিয়ে তাবলীগ
জামাতে পাঠানোর চেষ্টা করতে পারেন। স্থানীয় কোন ভালো আলেমের সোহবতে তাকে রাখতে
পারেন। বারবার তাকে আদব ও মুহাব্বতের সাথে বুঝাতে থাকবেন। আবার IOM
-এ ভর্তি করাতেও পারেন।
আপনার কথা অনুযায়ী যেহেতু সে মাঝে মাঝে আপনার সাথে অনেক ভালো
ব্যবহার করে, এর অর্থ হলো, সে একবারেই খারাপ না। বরং তার পিছনে ঠিকমত মুহাব্বতের সাথে মেহনত করলে আল্লাত
চাহে তো সে পূর্ণ দ্বীনদার হয়ে যাবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/295