আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম

বর্তমান প্রশ্ন-
আমার একটা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এই উত্তর টা প্রদান করা হয়েছে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কারেন্ট বিল বাবদ টাকা দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই, এক্ষেত্রে আমি কি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিলে আমার জন্য এই কারেন্ট ব্যবহার জায়েজ হবে??

উত্তর টা ছিলো -

"সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

আপনি প্রথমে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন, তাদের কাছে অনুমোদন প্রার্থনা করবেন। যদি তারা সহজে অনুমতি না দেয়, তাহলে আপনি অন্য কোনো ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন যেমন গ্যাসের চুলার ব্যবস্থা করবেন এবং এর জন্য হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রার্থনা করবেন। যদি অন্য কোনোভাবে রান্নার ব্যবস্থা করা আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি কারেন্ট ব্যবহার করে রান্না করলে হিসেব করে প্রতি সাপ্তাহ বা মাসে হোষ্টেলের একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে দিবেন। মাসিক না পারলে, ২/৩ মাস পর পর টাকা জমা দিয়ে দিবেন।

আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সেই তৈরীকৃত খাবারটি হারাম হবে না। বরং হালালই হবে।"

পূর্বের প্রশ্ন ছিলো-

"আমি একটা সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এই বছর এপ্রিলে mbbs ফাইনাল পরীক্ষা দিবো। বর্তমানে আমাদের টেস্ট পরীক্ষা চলতেছে, বিশাল সিলেবাস মাত্র একদিনের গ্যাপে পড়তে অনেক বেশি ই পরিশ্রম করতে হচ্ছে কিন্তু সে অনুযায়ী সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না কারণ ক্যান্টিনে যে খাবার দেয় সেটা শুধু ক্ষুধা ই নিবারণ হয়, আমি দুইটা পরীক্ষা দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে গেছি এমন যে আগামীকাল হয়তো ফেইল করবো পড়াশোনার শক্তি ধৈর্য্য কিছু ই পাচ্ছি না।

ক্যান্টিনের খাবার এর সাথে মাঝে মাঝে নিজে কিছু রান্না করে খাইলে ব্যালেন্স হয় কিছুটা। যেহেতু আমি হোস্টেলে থাকি তাই কর্তৃপক্ষের সরাসরি অনুমোদন না থাকায় কারেন্ট ব্যবহার করে রান্না করি না, স্টোভে কেরোসিনে রান্না করতাম কিন্তু এখন থেকে ফাইনাল পরীক্ষা পর্যন্ত এতোটা পড়াশোনার প্রেশার যে স্টোভে রান্না করায় যে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয় সেটা আমার পড়াশোনায় ক্ষতি করবে, আর স্টোভ খুব ঝুঁকি ও, বেশ কয়েকবার ব্লাস্ট করছে প্রতিবার ই আল্লাহ এর রহমতে বেঁচে গেছি।

গোটা হোস্টেলে শুধু আমরা ৩ জন ছাড়া সবাই কারেন্ট ব্যবহার করে রান্না করে, ১-২ বছর আগে রেইড দিতো কলেজ থেকে ( কারন রাজনৈতিক দল ক্যান্টিন চালাতো আর আমরা রান্না করে খাইলে তাদের ব্যবসা কম হতো) কিন্তু এখন আর কিছুই বলে না কলেজ থেকে, এক প্রকার মৌন সম্মতি টাইপ চলছে, মুখে বা নোটিশ আকারে অনুমোদন না থাকলেও কাউকে আর কিছু বলা হয় না।

এক্ষেত্রে আমি যদি ৫-৬ মাস কারেন্ট ব্যবহার করে রান্না করি এবং আনুমানিক একটা টাকা দান করে দেই যতটুকু কারেন্ট ব্যবহার করছি সেই হিসেবে তাহলে কি আমার জন্য জায়েজ হবে? নাকি আমার খাবার হারাম হয়ে যাবে হোস্টেলের খাবার ব্যবহার করে রান্না করলে?"

1 Answer

0 votes
by (608,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত বিবরণ পড়েছি। আপরার সদয় অবগতির জন্য বলছি, তখনই সদকাহ করতে হয়, যখন এই মাল তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেয়া অসম্ভব হয়। কিন্তু এখানে মালিকের নিকট থেকে সম্মতি বা মালিকের নিকট মাল ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব রয়েছে। যেকোনো ভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট ঐ টাকা ফিরিয়ে দিয়ে দিলেই হবে। সুতরা যদি কর্তৃপক্ষের একাউন্টে কোনো ভাবেই টাকা জমা দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে গ্যাসের চুলা ব্যবহার করাই নিরাপদ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...