আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
আমার আত্মীয় স্বজনদের সাথে ঠিক মতো যোগাযোগ নেই প্রায় ৪/৫ বছর ধরে। তো এখন আমার চাচাতো বোন জানতে পেরেছে যে আমি আইওএম এ পড়ছি। তো উনি এই বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাকে কল করেছিলেন। তো একপর্যায়ে আমি বলি আমার ফুপু, চাচি, বোনদের দাওয়াত দিতে যেনো তারা ফরজে আইন জ্ঞান অর্জন করে। কিন্তু আপু বলেন আমাকে আসতে। আমি যেয়ে যেন তাদের বুঝাই। একদিন সবাই কে ডাকবে আর আমিও যাব।

আর আমার মনেও একটা কষ্ট ছিল যে আমি যা জানতেছি তাদেরও তা জানাই বুঝাই। দ্বীনের পথে তাদেরকেও আনি। কারন তারা যে ভুলের উপর আছে তাদের কে বোঝাবে।
তো এখন আমার সেই সুযোগ টা আছে তাদেরকে দাওয়াত দেওয়ার কিন্তু আমার স্বামী আমাকে অনুমতি দিচ্ছে না। যে আমি যেয়ে ১/২ দিন থাকব। আমি আমার চাচার বাসায় থাকব। ঐ খানে কোন নন মাহরাম নাই পর্দার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা আছে। আমার স্বামী বলেন তুমি গিয়ে চলে আসবা থাকতে পারবা না। আর সাভার থেকে আমাকে যেতে হবে পুরান ঢাকায় একদিনে আসলে তাদের কতটুকুই বা বুঝাতে পারব ১/২ ঘন্টায়। তাই চেয়েছিলাম যে ২ দিন থাকব। তিনি কোনো মতেই অনুমতি দিচ্ছেন না। আর আরেকটা বিষয় আমার যে বিয়ে হয়েছে আমার স্বজনরা তা জানেন না। আমার পরিবারই কেবল জানেন এবং আমি মায়ের বাসায় থাকি। এখনো তুলে নিয়ে যায়নি।
তো এখন আমি তো ভালো নিয়তেই যেতে চাচ্ছি যে তারা দ্বীনের পথে আসুক ফরজে আইন পরিমান জ্ঞান অর্জন করুক যাতে কাল কিয়ামতের মাঠে এর জন্য জবাবদিহি না করতে হয়।
১.আমার স্বামী যে নিষেধ করছেম এটা কি ঠিক করতেছেন?
২. আমার কি তার কথার মধ্যেই থাকতে হবে?
৩. আমার স্বামী কে এই বিষয়ে যদি মানানো যায় যদি কিছু বলতেন।
আর আরেকটা কথা বলে রাখি আমার স্বামী খুবই গায়রত বান একজন মানুষ তিনি আমাকে গোপনে রাখতে ভালোবাসেন।
কিন্তু স্বজনদের নিয়ে অনেক ফিকির করি দ্বীনের পথে আনার জন্য।

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাতাপিতা বা স্বামীর আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,
ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا 
গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার উচিৎ স্বামীর নির্দেশ ও চাহিদানুযায়ী দিনের বেলা গিয়ে সন্ধ্যার পূর্বে বাসায় ফিরে আসা। প্রয়োজনে পরপর একাধিকদিনও যেতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...