মাফ করবেন অনেক বড় প্রশ্ন।। কিন্তু দয়া করে পুরোটা পরবেন। বর্তমানে মেয়েদের জন্যে তাদের ভরণপোষণে বাবারা কমতি না রাখলেও মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার পর বা কেউ কেউ বিয়ের আগেই অনেকেই চেঞ্জ হয়ে যান। তাঁরা মেয়েদের পর ভাবেন।ফলে পারিবারিক যেকোনো সিদ্ধান্ত, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ছেলেকে এবং ছেলের মতকে যেমন গুরুত্ব দেন মেয়েদের, স্ত্রী এবং তাদের মতকে যেমন অপ্রয়োজনীয় ভাবেন। আর মীরাস বন্টনের সময় তো মনে হয় এ যেন শুধু আমার ভাইয়েরই বাবা। মেয়েদেরকে যে ছেলের অর্ধেক দিবে,তাতেই রাজি না। আমার আব্বু বলে যে মেয়েদের দিলে পরের ছেলে পাবে তাই মেয়েদের দিবে যেগুলো কমদামি এবং জমি-সম্পদ এগুলো। ১/আমার বাবার এই কথাগুলোতে আমি খুব কষ্ট পাই।মাফ করে দেই কিন্তু অনেক কান্না আসে, কান্না করি। এতে কি আল্লাহ ওনাকে মাফ করে দিবেন? ২/ আমরা তিন বোন এক ভাই। আমাদের একটা বাড়ি আছে চার তলা এবং ২টা জমি ও ৩টা দোকান আছে। এক্ষেত্রে কীভাবে মীরাস বন্টন সঠিক হবে?কে কি পাবে? ৩/আব্বুর কথায় আমরা ৩ বোন ই কষ্ট পাই। কিন্তু বড় দুইজন আব্বু কষ্ট পাবে ভেবে এবং লজ্জায় (যেহেতু ওদের বিয়ে হয়ে গেছে) আব্বুকে কিছু বলেনা। এখন আমার কিছু বলাটা কি ঠিক হবে, আব্বুকে? ৪/বান্দার হক্ব তো আল্লাহ কখনই মাফ করে না। এক্ষেত্রে আব্বুকে আমি কিভাবে বুঝাতে পারি মীরাসের সঠিক বন্টনের প্রয়োজনীয়তা? ৫/আমার আব্বু আম্মু যখন হজ্জে যাচ্ছিল তখন আব্বু ওয়াসীয়ত করেছিল ভাইয়ার পুরো বাড়ি আর আমাদের তিন বোনের ঐ ৩টা দোকান ও ২ টা জমি(বিক্রি করতে পারেনা, অনেক ভেতরে জমি)।তো এইসব শুনে আমার দ্বীনদার ভাইয়া চুপ করেই ছিল। এক্ষেত্রে ভাইয়ার কি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিৎ ছিল না (ভাইয়া ভালো করেই জানে জমি-দোকানের করুন অবস্থা)? ভাইয়াও গুনাহগার হবে হক্ব না দেওয়ার? ৬/ স্বামী যদি ননদদের সাথে অন্যায় করে,মীরাস ঠিক মতো না দেয়।তাহলে স্ত্রী কি এর প্রতিবাদ করতে পারবে? কিভাবে প্রতিবাদ করতে পারে? ৭/সবকিছুর পরেও একটা কষ্ট থেকেই যায়।মেয়েরা তাহলে কোথায় যাবে? বাবা-ভাই ই যদি এমন করে,এতো পর ভাবে? বিয়ের পরে আমার ভাইয়ের চেঞ্জ দেখছি। পুরো বাড়িটাই যদি ভাইয়াকে দেয় আমার বিয়ে হলে তো আমরা বোনেরা আর আসতেই পারবোনা। আমার ভাই দ্বীনদার হয়েও এমন আচরণ করে। ভাই নাহয় এখন বউয়ের কথা শোনে কিন্তু বাবা!!? আমি নিজেকে নিজে কি বোঝাবো, কিভাবে আমি মানসিকভাবে শান্ত থাকবো। আমার ভীষণ কষ্ট হয় এই ভেবে যে, আমাদেরকে কেউ ভালোবাসে না।নিজেকে তাদের ওপর বোঝা মনে হয়, কারণ আমি যে মেয়ে...... একটু দোয়া করবেন উস্তায, আমি যেন সবাইকে মাফ করে দিতে পারি, আমার দ্বারা যেনো কারো হক্ব নষ্ট হয় বা কেউ কষ্ট না পায়। আমার আব্বুকে যেন আল্লাহ হেদায়েত দেন, তিনি যেন জান্নাতে যেতে পারেন।