আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
Assalamualaikum wa rahmatullahi wa barakatuh
আমার এক হিন্দু বান্ধবীর বিশ্বাস সকল ধর্মই একই কথা বলে , ঘুরে ফিরে সব ধর্মই এক, তাই যেকোনো ধর্ম মানলেই হবে।
আমি তার এই ভুল ধারণা কিভাবে খন্ডন করতে পারি জানালে  মুনসিব হয়
Zazakumullahu khairan

1 Answer

0 votes
ago by (63,900 points)
edited ago by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

সেদিন এক ভাইকে কথা প্রসঙ্গে বলতে শুনলাম- কর্মই ধর্মকে কোন ধর্মের তা কোনো বিষয় নয়কে কেমন আমল করছে সেটাই আসল বিষয়। অর্থাৎব্যক্তি যে ধর্মেরই হোকভালো কাজ করলে মুক্তি পাবে!

লোকটি শিক্ষিত এবং মসজিদের মুসল্লি। শুনে অবাক হলাম। অবাক হওয়ারই কথা। একজন শিক্ষিত মানুষ আবার মসজিদের মুসল্লিতার মুখ থেকে এমন কথা!

আরো মানুষকে এমন কথা বলতে শুনেছি। আসলে প্রয়োজনীয় দ্বীনী ইলম না থাকায় মানুষ এ ধরনের কথা বলে থাকে।

হয়ত তাদের ধারণাসব ধর্মের মানুষের সাথে যেহেতু ভালো আচরণ করতে হবেতাই সকলের ধর্ম ও আদর্শের বিষয়েও উদার (?) হতে হবে। তার ধর্ম ও বিশ্বাসকেও সঠিক বলতে হবে।

একটু ভেবে দেখিআদর্শের ক্ষেত্রে কি কোনো উদারতা চলে। শিরকের সাথে কি কোনো আপস চলেএটা কি সম্ভবযে আল্লাহর সাথে কাউকে (বা হাজার দেবতাকে) শরীক করে তাকেও সঠিক বলব!!

আচ্ছাবিষয়টি যদি এমনই হয় যেকে কী আমল করছে সেটাই আসল বিষয়। তাহলেও একজন অমুসলিম কখনোই নাযাত পেতে পারে না। কারণসে সবচেয়ে বড় আমলেই তো ত্রæটি করছে। সে তো আল্লাহর সাথে শরীক করছে। আর আল্লাহ তাআলার স্পষ্ট ঘোষণা-

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءوَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا.

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরীক করাকে ক্ষমা করবেন না। এর নিচের যে কোনোও গুনাহ যার ক্ষেত্রে চান ক্ষমা করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করে সে সঠিক পথ থেকে বহু দূরে সরে যায়। -সূরা নিসা ৪ : ১১৬

আচ্ছাআল্লাহর সাথে শরীক করাআল্লাহর দ্বীনকে প্রত্যাখ্যান করাআল্লাহর কিতাবকে প্রত্যাখ্যান করা কি সবচেয়ে বড় অন্যায় নয়! আল্লাহর সৃষ্টি হয়েআল্লাহর যমিনে বসবাস করেতার দেওয়া রিযিক ভক্ষণ করে যে আল্লাহকে অস্বীকার করেসে কি সবচেয়ে বড় অপরাধী নয়! এত বড় বড় অন্যায় কাজ কেন আমাদের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়?

হাঁঅমুসলিমের যত অধিকার আছে আমি তা আদায় করব। তার সাথে ভালো আচরণ করব। প্রতিবেশি হলে প্রতিবেশির হক আদায় করব। তার প্রতি জুলুম করব না। কিন্তু এর অর্থ তো এই নয় যেতার শিরকি-কুফরিকেও সঠিক বলব। যে কোনো ধর্মের অনুসরণকে বৈধ বলব। তাদের শিরকি-কুফরি আচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব। তাদের বিশ্বাস ও দর্শনকে ভালো চোখে দেখব! (নাউযুবিল্লাহ)

আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার ভ্রান্ত চিন্তা থেকে হেফাযত করুন। আল্লাহ তাআলার এ সুস্পষ্ট ঘোষণা স্মরণ রাখার তাওফিক দিন-

إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ

নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট (গ্রহণযোগ্য) দ্বীন কেবল ইসলামই।... -সূরা আলে ইমরান ৩ : ১৯

স্মরণ রাখি এই আয়াতও-

وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ

তরজমা : যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনোও দ্বীন অবলম্বন করতে চাবেতার থেকে সে দ্বীন কবুল করা হবে না এবং আখেরাতে যারা মহাক্ষতিগ্রস্ত সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। -সূরা আলে ইমরান ৩ : ৮৫

আরো স্মরণ রাখি রাসূলের এই বাণীও-

وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا يَسْمَعُ بِي أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ يَهُودِيٌّ، وَلَا نَصْرَانِيٌّ، ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ، إِلَّا كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ

ঐ সত্তার কসম যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ। এই উম্মতের যে কেউ -সে ইহুদী হোক বা নাসার- আমার রিসালাতের সংবাদ পাওয়ার পরও আমার প্রতি ঈমান না এনে মৃত্যুবরণ করবেসে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। -(সহীহ মুসলিমহাদীস ২৪০)

পাঠকদের প্রতি দরখাস্ততারা যেন মাওলানা আবদুল মালেক ছাহেব রচিত “ঈমান সবার আগে’ কিতাবটি অবশ্যই অধ্যয়ন করেন। ইতিমধ্যে যার দ্বিতীয় সংস্করণও প্রকাশিত হয়েছে। (সংগৃহিত)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে তাকে বুঝানোর পাশাপাশি নিচের প্রদত্ত লিংকের উত্তর থেকেও আপনি সহযোগিতা নিতে পারেন ইংশাআল্লাহ।

https://ifatwa.info/62444/

https://ifatwa.info/31389/   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...