জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বন্ধকী বস্তু ব্যবহার করা জায়েয নয়। তা ব্যবহার করা সুদের অন্তর্ভুক্ত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রহ. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, আমার নিকট এক ব্যক্তি একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে। আমি এতে আরোহন করেছি। (এর কী হুকুম?) তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বললেন, তুমি এর পিঠ থেকে (আরোহন করে) যে উপকৃত হয়েছ তা সুদের অন্তর্ভুক্ত। ( মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৫০৭১)
বিখ্যাত তাবেয়ি ইমাম কাজি শুরাইহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সুদ পান করা কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বলেন, বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকি গাভির দুধ পান করা সুদ পানের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৬৯)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঋণগ্রহিতা যদি ঋণের টাকা পরিশোধ করতে আসলেই ব্যর্থ হয়,সেক্ষেত্রে ঋণগ্রহিতার অনুমতি স্বাপেক্ষে উক্ত স্বর্ণ বিক্রয় করে তাহা হতে ঋণের টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে কোনোক্রমেই প্রদানকৃত ঋণের টাকা হতে অতিরিক্ত টাকা নেয়া জায়েজ হবেনা।
’’اَلرَهنُ هو حَبسُ شيءٍ مالیٍ بِحَقٍ یُمکِنُ اِستِیفائُه مِنه کَالْدَّینِ“ . (درمختار ج۵/ ص۳۰۷)
"বন্ধক হল একটি আর্থিক জিনিসের সাথে একটি অধিকারের সংযুক্তি যা এটি থেকে পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে, যেমন একটি ঋণ।"
(০২)
ঋণগ্রহিতা যদি ঋণের টাকা পরিশোধ করতে আসলেই ব্যর্থ হয়,সেক্ষেত্রে ঋণগ্রহিতার অনুমতি স্বাপেক্ষে উক্ত জমি জমা,বাড়ি ইত্যাদি বিক্রয় করে টাকা নিতে পারবে।
এক্ষেত্রে করনীয় হলো বিষয়টি চুক্তি পত্রে উভয় পক্ষের সম্মতিতে লিখে রাখা।