আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামুআলাইকুম!( আমি একজন মেয়ে, বয়স ১৭, অবিবাহিত)
আমি গত একমাস যাবত পেটের সমস্যায় ভুগছি ডাক্তার দেখিয়েছি!  সব প্রকার টেস্ট করার পর রিপোর্ট নরমাল আসে! ডাক্তার ঔষধ দিয়েছে কিন্তু খাওয়ার পর কোন উন্নতি হয়নি! পরপর কয়েকটি ডাক্তার দেখানো হয়েছে পাশাপাশি দৈনন্দিন আমল বাড়িয়ে দিয়েছিলাম, ইউটিউব থেকে পেটে সমস্যার রুকইয়াহ শুনেছিলাম,আলহামদুলিল্লাহ সমস্যা কিছুটা কমেছে! হজম শক্তি অনেক কমে গেছে সাধারণত ভাত রুটি খেলেও অনেক বেশি চিবিয়ে খেতে হয় , হঠাৎ করে এমন সমস্যা হচ্ছে আগে আমার কোন সমস্যা ছিল না!
ইদানিং আমি অনেক ভয় পাই! একা থাকতে পারি না! নিজেকে অনেক অসহায় মনে হয়! দম বন্ধ লাগে কান্না আসে!শরীর অনেক দূর্বল লাগে,প্রায় বেশিরভাগ সময় শরীর ঝিমঝিম করে , যেন শক্তিহীন হয়ে যাচ্ছি! কিন্তু আমার ঔষধ কিন্তু চলছে এবং ভালো খাবার ও খাওয়া হচ্ছে!
 আমার পুরো শরীরে ব্যাথা যেন দৌড়ায়! মাথা,ঘাড়,পিঠ,দুই হাতে বেশি ব্যাথা করে! এতো ব্যাথা যে আমি বিছানা থেকে উঠার শক্তি পাই না!

 আমি এই ১ সপ্তাহ যাবৎ খারাপ স্বপ্ন দেখি! স্বপ্নে খাবার খেতে দেখি!
১.স্বপ্নে দেখি একজন জ্বীন কার সাথে যেন বলতেছে যে পঁচা লাশের কবর থেকে কি যেন একটা একদিন আগে করা নতুন কবরে রাখছে,আর এখানেই ওর বসবাস! আর বলতেছে যে ঐ ব্যক্তি শক্তিহীন হয়ে পচে মারা যাবে!ঐ রাতেই স্বপ্নে দেখি আমার আম্মু অনেক প্রকার রান্না করেছে ,সবাই খাচ্ছে কিন্তু আমি পিঠা খাচ্ছি!
**এই স্বপ্ন রাত 3:30 এর সময় দেখে আমার শরীরের অবস্থা এতো খারাপ হয়েছিল যে আমি নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায় করি অথচ ঐদিন আমি জেগে থেকেও ফজর নামায পড়তে পারি নি! পুরো শরীর এতো ব্যাথা,আর প্রচুর কাঁপতে ছিল!
এর পরের রাতে প্রায় ২০ এর অধিক বার আমি সজাগ হয়ে যাই, বারবার ঘুমাই কিন্তু সজাগ হয়ে যাই আর প্রচুর ভয় করে শরীর কাঁপে, অথচ পুরো শরীর ঘেমে গেছে,

 এর আগে আর একদিন স্বপ্নে দেখেছিলাম আমার ছোট বেলার বান্ধবী আর সাথে আরও কয়েকজন ছিল, ওরা আমাকে কালো জাদু করছে কার সাথে যেন বিয়ে দেয়ার জন্য আমি অনেক বার না করেছি কিন্তু কেউ আমার কথা শুনছে না,
 আমি প্রতিদিন ঘুমের আগে সব মাসনূন আমল করে ওজু অবস্থায় ঘুমাই ডান কাত হয়ে শুয়ে! কিন্তু তবুও আমার সাথে এমন হচ্ছে! শরীর এতো পরিমাণ ব্যাথা আর শক্তিহীন লাগে সকালে বিছানা থেকে উঠার শক্তি পাই না! এই অবস্থায় করনীয় কি!? অনুগ্ৰহ করে সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ ,,
পরিচিত বা আশেপাশে কোনো রাক্বী নেই! আমার বাবা মা কবিরাজ দেখায় কিন্তু কুফরী চিকিৎসা করে এজন্য নিষেধ করেছি কিন্তু আমার সমস্যাটা দিন দিন বেড়েই চলেছে!

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা থাকলে এবং শিরকমুক্ত অর্থবোধক শব্দ থাকলে তা জায়িজ।  কেননা এসব তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হয়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ

আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনাকে কিছু আমল করার পরামর্শ দিচ্ছি, আপনি ওগুলো করবেন, ইনশা'আল্লাহ কোনো সমস্যা হবে না। পাশাপাশি একজন মুদাব্বির আলিম- যিনি কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী চিকিৎসা করেন- উনার শরণাপন্ন হবেন। 

(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- http://ifatwa.info/1093

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সর্বদা পাকপবিত্র থাকবেন।বেশী বেশী সূরা নাস ও সূরা ফালাক তিলাওয়াত করবেন।

আপনি আশপাশের কোনো কওমী মাদরাসায় যোগাযোগ করে বিশুদ্ধ আকিদার রাকী সম্পর্কে জেনে নিবেন।

আপনি যদি ঢাকা বা তার আশে পাশের জেলার হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত লিংকে দেয়া রাকীর সাথে মাহরামের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...