আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আমি ভার্সিটির হলে থাকি। এইখানে গোসলখানা, ওয়াশরুম সামনা সামনি, তার পাশে বেসিন। বেসিনের পাশে একটা ময়লা ফেলানোর ঝুড়ি থেকে। ওইখানে সবাই ময়লা ফেলে যার জন্য কিছুটা দুর্গন্ধ আসে বেসিনের কাছে গেলে। আমি ওযু করার সময় গড়গড়া করে কুলি করতে গেলে আমার বমি চলে আসে। বমির চাপের জন্য প্রসাব এর ফোঁটা ও বের হওয়ার মতো অনুভূতি হয়। একবার বমি হইছেও। এই অবস্থায় গড়গড়া না করলে আমার ওযু হবে নাকি হবে না? অন্য কোনো উপায় আছে কি? গোসলখানায় ও একই অবস্থা। গোসল করার সময় কুলি করতে গেলে বমি আসে। এখন আমি কিভাবে কি করতে পারি জানালে মুনাসিব হয়।

1 Answer

0 votes
by (64,500 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ

হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। সূরা মায়েদা, আয়াত নং-৬

,

অযুর ফরজ চারটি। যথা:

১. সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা।

২. দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।

৩. পদযুগলের গিটসহ ধৌত করা।

৪. মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা।

,

অযুতে তিনবার করে ধোয়া: হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ دَعَا بِإِنَاءٍ، فَأَفْرَغَ عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَمِينَهُ فِي الإِنَاءِ فَمَضْمَضَ، وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ".

হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ’উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। এরপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। তারপর উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমার মত এ রকম অযু করবে, তারপর দু রাক’আত সালাত নামাজ আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৬১

,

হাদীস শরীফে এসেছে-

[عن عبد الواحد بن معاوية بن خديج:] نَهى عنِ الطَّعامِ الحارِ حتّى يبرَدَ.

السيوطي (ت ٩١١)، الجامع الصغير ٩٣٥٦  •

মার্মার্থ: রাসূল সা. এমন গরম খাবার যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা খেতে নিষেধ করেছেন।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

অযুতে কুলি করা সুন্নাত। তাই কোনো কারণে তা ছুটে গেলে অযু হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কুলি করলেও হবে। গড়গড়া না করলেও হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...