আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বিয়ে হয় ২০২৩ এর অক্টোবর মাসে।বিয়ের শুরু থেকে আমি জানতাম তালাক দিতে হয় কোর্টের মাধ্যমে। স্বামী /স্ত্রী কে নোটিশ পাঠাতে হয়।এভাবেই তালাক হয় আর হাসবেন্ড কে মুখে তালাক দিতে হয়।কেনায়া শব্দ,খুলা তালাক,তালাকে তাফভীজ এসব আমি জানতাম না।আমার স্বামী জানতো স্বামীরা ই কেবল তালাক দিতে পারে।স্ত্রীরা পারে না।কাবিননামার ১৮ নং কলাম সম্পর্কে ও তিনি অবগত ছিলেন না।বিয়ে পড়ানোর আগে ও কাজী সাহেব তাকে এই বিষয়ে জানান নি।তালাকে তাফভীজ নিয়ে ও তার কোনো জ্ঞান ছিলোনা। কাবিননামার ১৮ নং কলাম আমার হাসবেন্ড এর সাইন করার সময় ফাঁকা ছিলো।
বিয়ের পর আমাদের আলাদা থাকা লাগতো জবের কারণে। এজন্য দূরে থাকলেই আমাদের প্রচুর ঝগড়া হতো মেসেজ এ।তখন একদিন আমার স্বামী তার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য আমাকে বলেছেন, "তুমি আমাকে তালাক দিয়ে দিও"।পরে ওই সমস্যা সাময়িক ভাবে মিটে যায়।এভাবে ঝগড়া হতো আর আমি তার কাছে তালাক চাইতাম।।উনি বলতো, "তোমার দেয়ার হলে তুমি দাও।আমি দিতে পারবো না।" তখন উনার নিয়ত ছিলো / জানা ছিলো যে মহিলারা তালাক দিতে পারে না।
তখন আমি বলতাম, "তোমার মোহর আমি মাফ করে দিসি।এখন দাও"।তখন উনি আরও রেগে যেতো আর বলতো উনার মোহর দেয়ার সামর্থ্য আছে।উনার দেয়ার হলে উনি মোহর পরিশোধ করেই দিবে।কিন্তু উনি আমাকে কোনোদিন তালাক দেন নি। আমি পরে জানতে পারসিলাম যে মহিলারা তালাক দিতে পারে না।
এরপরে ঝগড়া হলেই আমি বলতাম, "তোমার সংসার করবো না, তোমার ভাত খাবো না,তোমার সাথে থাকবো না,থাকতে চাই না। আমার বাসায় কল দিয়ে বলতাম আমি এই ছেলের সাথে থাকতে পারতেসি না।তোমরা আমাকে নিয়ে ফেলো / ব্যবস্থা করো।," এসব আমি নিজের উপর তালার গ্রহণ করার নিয়তে বলতাম না।তবে তালাকের ব্যবস্থা হোক এই চিন্তা করে  বলতাম।কারন আমি ও পরের দিকে জানতাম মহিলা রা তালাক দিতে পারে না।আর আমার হাসবেন্ড এসবের উত্তরে বলতো," না করার হলে না করো।নোটিশ পাঠানোর হলে তুমি ই পাঠাও।আমি তোমাকে তালাক দিবো না।তোমার দেয়ার হলে তুমি দাও।"এসব নাকি উনি আমাকে থামানোর জন্য বলতেন।উনি তো জানতেন না যে এসব কথা দ্বারা ও তালাকের অধিকার দেয়া হয়ে যেতে পারে।তো উনি তালাকের অধিকার দেয়ার নিয়ত নিয়ে নাকি এসব বলতেন না।শুধু ঝামেলা এড়ানোর জন্য এসব বলতেন। আমি ও উনার এসব কথায় উত্তর দিতাম, "হ্যাঁ করবো না সংসার।" নিজের উপর তালাক প্রদানের নিয়তে কোনোদিন এসব বলি নি।তবে তালাক হয়ে যাক মানে হচ্ছে আমার হাসবেন্ড / আমার ফ্যামিলি তালাকের ব্যাপার এ ব্যবস্থা নিক এসব চিন্তা করে বলতাম এবং এসব কথা বলার সময় আমার আর সংসার এবং এই সম্পর্ক টানার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা থাকতো না।
পরে সেপ্টেম্বর মাসের দিকে আমি জানতে পারসি তালাকের তাফবীজ নিয়ে।এরপর থেকে এধরনের কথা বললে ও মনে মনে বলতাম তালাক গ্রহন করিনি।করবো না।কিন্তু উনারা ব্যবস্থা নিক এটার চাওয়া থাকতো কখনো কখনো। রাগ করে বাপের বাড়ি যেতে চাইলে ও মনে মনে বলতাম তালাক গ্রহন করছিনা।করবো না।তালাকে তাফবীজে নিয়ে ওয়াস  ওয়াসা ও কাজ করতো।কিছু বললেই মাথায় অধিকার গ্রহণ করার বিষয় চলে আসতো।কিন্তু আমি কোনোদিন মুখে / লিখে তালাক গ্রহন করিনি।করবো ও না।
আমার প্রশ্ন হলো আমি কি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হইসি?
আমার কোনো কথার দ্বারা কি তালাক হইসে?

বিদ্রঃ আমার হাজব্যান্ড কে তাহবিজ সম্পর্কে জানার পর জিজ্ঞাসা করেছি যে তুমি কি আমাকে কোনদিন অধিকার দিয়েছ? তখন সে বলেছে কোনদিনই অধিকার দেয় নি।কিন্তু উনি জানতেন শরিয়ত অনুযায়ী মহিলা রা তালাক দিতে পারে না।তবে বাংলাদেশের আইনে মহিলাদের এই অধিকার আছে। কাবিন নামার এই ব্যাপারে কাজি কোন কিছু বলে নেন নি।তবে মৌখিক ভাবে আমার স্বামী বলেছেন উনি এই অধিকার দেন নি।

কিন্তু ঝগড়া হলেই উপরোক্ত কথা সমূহ বলেছেন। কথাগুলো বলার সময় তার নিয়ত ছিল ঝগড়া থামানো।অধিকার দেয়া নয়।

মুফতি সাহেবের সাথে সরাসরি অথবা ফোনে কথা বলার কি কোন সুযোগ আছে?

1 Answer

0 votes
ago by (605,820 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...