আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
reshown by
আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

ইউটিউব বা ফেইসবুক থেকে সেলিব্রিটি বা অন্যান্য কিছু মানুষের ছবি সংগ্রহ করে(নিজে ভাইরাস করা না) তাদেরকে পচানো হলে, সেক্ষেত্রে তাদের কাছে থেকে ক্ষমা নিতে হবে?
কেউ কোন ব্যক্তির গীবত করেছে কিনা শতভাগ নিশ্চিত না হলে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে? হয়ত সে শুনেছে, বলেছে কিনা শতভাগ নিশ্চিত নযএক্ষেত্রে ক্ষমা চেয়ে নেয়া কি জরুরী?


কোন ব্যক্তি হয়ত অন্যের গীবত শুনেছে কিন্তু এ বিষয়ে তার কোন জ্ঞান ছিলনা, তাই হয়ত সে ২ একটা কমেন্ট করেছে বা কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছে বা হাসাহাসি করেছে৷ এক্ষেত্রে তার কি ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে যার নামে গীবত হয়েছিল?
by (590,550 points)
আপনার প্রশ্নটি পরিস্কার নয়? দয়াকরে পরিপাঠি করে সাজিয়ে দিন। ইডিট করে দিন। জাযাকুমুল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


যদি কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির গীবত যদি করা হয়, তাহলে তাঁর কাছে থেকে ক্ষমা নিতে হবে। কারণ, এটা তাঁর হকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর হক নষ্ট করেছেন, তাঁর হকের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তাঁর কাছে থেকে ক্ষমা নিতে হবে। এখন যদি ক্ষমা নেওয়ার কাজটি কাহারো সাধ্যের বাইরে চলে যায় বা তিনি মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। হতে পারে আল্লাহ বান্দাদের হকগুলো পরিপূর্ণ করে দিতে পারেন।
,
যদি ঘটনাচক্রে কারো গীবত হয়েই যায় তাহলে তার কাফফারা দিতে হবে। কাফফারা হলো, যার গীবত করা হয়েছে তার জন্য বেশি বেশি করে দোয়া করা, ইস্তেগফার করা। যেমন কেউ আজীবন গীবত করেছিল। এখন তার হুঁশ হলো। ভাবল, আমি তো আজীবন এগুনাহ করে এসেছি। কার কার গীবত করেছি তাও পুরোপুরি জানা নেই। কোথায় তাদেরকে খুঁজে বেড়াবো, তবে ভবিষ্যতে আর গীবত করবো না। এখন উপায়? উপায় একটাই। যাদের গীবত করা হয়েছে তাদের জন্য দোয়া করতে থাকা, ইস্তেগফার অব্যাহত রাখা। এভাবে হয়তো গুনাহটি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ".

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো। [ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) ‘‘দা‘ওয়াতুল কাবীর’’ (হাদীস নং ৪৭৮)-এ বর্ণনা করেছেন।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৪৮৭৭)

এক হাদীসে এসেছে, রসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, গীবতের গুনাহ জিনা-ব্যভিচারের গুনাহর চেয়েও মারাত্মক।
প্রশ্ন হল, এর কারণ কী?
উত্তর হল, আল্লাহ না করুন, যদি কেউ ব্যভিচারের গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে নিলে আল্লাহ চাহে তো গুনাহটি মাফ হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে গীবত এমন মারাত্মক গুনাহ যে, গুনাহটির ক্ষমা ততক্ষণ পর্যন্ত পাওয়া যাবে না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে ক্ষমা করে দেয়। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, বাবুল গীবাত খন্ড ৮ পৃষ্ঠা ৯২)
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যাদেরকে হীন করা হয়েছে, তাদের কাছে গিয়ে হোক,বা অনলাইনের মাধ্যমে হোক,বা অন্য কোনো ভাবে হোক,তাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

ক্ষমা চেয়ে নেওয়া অসম্ভব হলে বা কঠিন সমস্যা হলে তওবা করতে হবে,এবং তাদের জন্য দোয়া করতে হবে।
আশা করা যায়,আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত কাহারো গীবত করা সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে ক্ষমা নিতে হবেনা।
,  
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...