জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির গীবত যদি করা হয়, তাহলে তাঁর কাছে থেকে ক্ষমা নিতে হবে। কারণ, এটা তাঁর হকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর হক নষ্ট করেছেন, তাঁর হকের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তাঁর কাছে থেকে ক্ষমা নিতে হবে। এখন যদি ক্ষমা নেওয়ার কাজটি কাহারো সাধ্যের বাইরে চলে যায় বা তিনি মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। হতে পারে আল্লাহ বান্দাদের হকগুলো পরিপূর্ণ করে দিতে পারেন।
,
যদি ঘটনাচক্রে কারো গীবত হয়েই যায় তাহলে তার কাফফারা দিতে হবে। কাফফারা হলো, যার গীবত করা হয়েছে তার জন্য বেশি বেশি করে দোয়া করা, ইস্তেগফার করা। যেমন কেউ আজীবন গীবত করেছিল। এখন তার হুঁশ হলো। ভাবল, আমি তো আজীবন এগুনাহ করে এসেছি। কার কার গীবত করেছি তাও পুরোপুরি জানা নেই। কোথায় তাদেরকে খুঁজে বেড়াবো, তবে ভবিষ্যতে আর গীবত করবো না। এখন উপায়? উপায় একটাই। যাদের গীবত করা হয়েছে তাদের জন্য দোয়া করতে থাকা, ইস্তেগফার অব্যাহত রাখা। এভাবে হয়তো গুনাহটি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ".
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো। [ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) ‘‘দা‘ওয়াতুল কাবীর’’ (হাদীস নং ৪৭৮)-এ বর্ণনা করেছেন।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৪৮৭৭)
এক হাদীসে এসেছে, রসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, গীবতের গুনাহ জিনা-ব্যভিচারের গুনাহর চেয়েও মারাত্মক।
প্রশ্ন হল, এর কারণ কী?
উত্তর হল, আল্লাহ না করুন, যদি কেউ ব্যভিচারের গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে নিলে আল্লাহ চাহে তো গুনাহটি মাফ হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে গীবত এমন মারাত্মক গুনাহ যে, গুনাহটির ক্ষমা ততক্ষণ পর্যন্ত পাওয়া যাবে না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে ক্ষমা করে দেয়। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, বাবুল গীবাত খন্ড ৮ পৃষ্ঠা ৯২)
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যাদেরকে হীন করা হয়েছে, তাদের কাছে গিয়ে হোক,বা অনলাইনের মাধ্যমে হোক,বা অন্য কোনো ভাবে হোক,তাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
ক্ষমা চেয়ে নেওয়া অসম্ভব হলে বা কঠিন সমস্যা হলে তওবা করতে হবে,এবং তাদের জন্য দোয়া করতে হবে।
আশা করা যায়,আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত কাহারো গীবত করা সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে ক্ষমা নিতে হবেনা।
,
আরো জানুনঃ