আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
590 views
in সালাত(Prayer) by (40 points)
১) যদি ভুলে সিজদা দুটির মধ্যে ১টি বাদ পড়ে যায় হয় তখন কি সাহু সিজদা দিতে হবে?আবার সাহু সিজদার মধ্যেও যদি ১টি বাদ পড়ে যায় তখন করণীয় কি?

২)শেষ বৈঠকে দরুদে ইবরাহিম অর্ধেক পড়ে দোয়ায়ে মাসুরা পড়লে কি সালাত হবে/সাহু সিজদা দিতে হবে?

৩)রাকাআত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

৪) রুকু-সিজদায় জোড় সংখ্যাকবার তাসবীহ পড়লে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে?

৫) সাহু সিজদা ওয়াজিব না হলেও যদি দেওয়া হয়,তাহলে কি সালাত নষ্ট হয়ে যাবে?

৬)রুকু রুকু-সিজদায় যাওয়ার সময় আল্লাহ আকবার না পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। 

حدثنا حفص بن عمر، حدثنا يزيد بن إبراهيم، عن محمد، عن أبي هريرة رضي الله عنه، قال: صلى النبي صلى الله عليه وسلم إحدى صلاتي العشي ـ قال محمد: وأكثر ظني العصر ـ ركعتين، ثم سلم، ثم قام إلى خشبة في مقدم المسجد، فوضع يده عليها، وفيهم أبو بكر وعمر رضي الله عنهما، فهابا أن يكلماه، وخرج سرعان الناس فقالوا: أقصرت الصلاة؟ ورجل يدعوه النبي صلى الله عليه وسلم ذا اليدين، فقال: أنسيتَ أم قصرت؟ فقال: لم أنس ولم تقصر. قال: بلى قد نسيتَ. فصلى ركعتين، ثم سلم، ثم كبر فسجد مثل سجوده أو أطول، ثم رفع رأسه فكبر، ثم وضع رأسه فكبر، فسجد مثل سجوده أو أطول، ثم رفع رأسه وكبر.

 আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিকালের দুই নামাযের এক নামায (বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন বলেন, আমার প্রবল ধারণা আসরের নামায) দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেন। তারপর মসজিদের সম্মুখে একটি কাষ্ঠ খণ্ডের কাছে গিয়ে এর উপর হাত রাখেন। মুসল্লীদের মধ্যে আবু বকর ও উমর রা.-ও ছিলেন। কিন্তু তারা তাঁর সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। আর ত্বরাকারীরা বেরিয়ে বলতে লাগল, নামায কি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে? এক ব্যক্তি যাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল ইয়াদাইন বলে ডাকতেন, জিজ্ঞাসা করল, আপনি কি ভুলে গেছেন না নামায কমিয়ে দেওয়া হয়েছে? তিনি বললেন, আমি ভুলিনি আবার নামায কমিয়ে দেওয়াও হয়নি! লোকটি বলল, আপনি অবশ্যই ভুলে গেছেন। অতপর তিনি দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরালেন। তারপর তাকবীর দিয়ে অনুরূপ বা তার চেয়ে দীর্ঘ সেজদা করলেন। তারপর মাথা তুলে তাকবীর দিলেন। তারপর মাথা নিচু করে তাকবীর দিলেন। তারপর অনুরূপ বা তার চেয়ে দীর্ঘ সেজদা করলেন। তারপর মাথা তুলে তাকবীর দিলেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৯

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

নামাজের যেকোনো মুহুর্তে যদি মনে হয় যে, আপনি একটি সেজদাহ করেননি, তাহলে এমতাবস্থায় সাথে সাথেই আপনি সেজদাহ করে নিবেন।এবং তারতীবে ভঙ্গ হওয়ার জন্য সাহু সিজদা করে নিবেন।

আরো জানুনঃ 
,
শরীয়তের বিধান হলো  যদি সেজদায়ে সাহুর কোনো ওয়াজিব ছুটে যায়, যেমন এক সেজদাহ আদায় করেনি,তাহলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা উত্তম। (দারুল উলুম দেওবন্দ এর  173266 নং ফতোয়া।)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
যদি সেজদায়ে সাহুর ক্ষেত্রে এক সেজদাহ আদায়ের ক্ষেত্রে একটি সেজদাহ বাদ পড়ে যায়,তাহলে কাহারো সাথে কথা বলা, মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া, এক কথায় নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ না পাওয়া গেলে আপনি উক্ত সেজদাহ আদায় করে নামাজের অবশিষ্ট কাজ আদায় করে নামাজ শেষ করবেন।
,
যদি এটি না করা হয়,তাহলে ওয়াক্তের মধ্যে মনে হলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করবেন,এটি ওয়াজিব।
,
যদি পরবর্তীতে মনে পড়ে,তাহলে সেটি পুনরায় আদায় করা না করা উভয় মতই আছে।
পুনরায় আদায় না করলেও সমস্যা নেই। 
,
তবে সতর্কতামূলক পুনরায় আদায় করে নিবেন।
(০২)
কোনো সমস্যা নেই।
সেজদায়ে সাহু দিতে হবেনা।
,
(০৩)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত  জানুনঃ
,
(০৪)
এতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
,
(০৫) 
নামাজ হয়ে যাবে।
নামাজ নষ্ট হবেনা।

জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144008201290 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
(০৬)
এতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 515 views
0 votes
1 answer 389 views
...