আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
edited by
আমার মেজো চাচা আমার দাদার আগে মারা গেছেন। আল্লাহর আইন অনুযায়ী তার সন্তানরা ওয়ারিশ সূত্রে কোনো সম্পদ পাবেন না। বর্তমানে দাদা ও দাদি মারা গেছেন প্রায় ১০ বছর হতে চললো। আমাদের বাংলাদেশের সেক্যুলার ও কুফরি আইন ব্যবহার করে তারা সব সম্পদে ভাগ নিয়েছে। এখনো তারা সেই সম্পদ ভাগ নিচ্ছে যেগুলো ভাগ হয়নি। আমার চাচা ও ফুফুরা ছিল ৬ ভাই এক বোন। যেহেতু মেজো চাচা দাদা ও দাদির আগে মারা গেছেন তাই তার কোনো ভাগ নেই ওয়ারিশ হিসেবে এবং তার সন্তানেরাও ওয়ারিশ সূত্রে কিছু পাবে না। কিন্তু দাদা মারা যাওয়ার পরও তারা সব নিয়ে নিয়েছে এবং দাদা ও দাদি দুইজন মারা যাওয়ার পরও সব নিয়ে নিয়েছে। তারা এছাড়া অন্য জমি দখলের জন্যও নানা জুলুম করেছে, যেমন মামলা করা ইত্যাদি। আমার আব্বা ও চাচারা তাদের ভাগ দিয়েছেন এবং এখনো ভাগ দিচ্ছেন। তারা বলছেন তারা বাধ্য হয়ে এমন করছেন।

এখন আল্লাহর আইন এর বিপক্ষে গিয়ে আমার চাচারা ওয়ারিশ সূত্রে তাদের ভাগ দিয়েছেন। যখন আমি জানতে পারি যে আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য আইন মেনে চলা এবং আল্লাহর আইন এর বিপক্ষে গিয়ে এভাবে চললে ঈমান থাকবে না। কারণ কেউ যদি অন্য কোনো আইনকে আল্লাহর আইনের সমান বা ভালো মনে করে তবে সে কাফের। আমার মেজো চাচার ছেলে-মেয়েরা এটা জানে (আমার ছোট চাচা বলেছেন), তবুও তারা জুলুম করেছে। আর কোর্টে ছোট চাচা একথা বললেও কোর্টের লোকজন সেক্যুলার আইনের পক্ষে গেছে।

আমার আব্বা ও ছোট চাচার সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছি যে তারা বাধ্য হয়ে মেজো চাচার ছেলে-মেয়েদের ওয়ারিশ সূত্রে ভাগ দেন, কিন্তু মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন ওয়ারিশ সূত্রে তাদের কোনো ভাগ নেই।

এখন আমার প্রশ্ন:
১. আমার বাবা ও চাচাদের ঈমানের কোনো সমস্যা হয়েছে কি?

২. আর আমার বাবার প্যারালাইজড হওয়ার কারণে কোনো কিছু বিক্রির টাকা বা জমির ফসলের ভাগের সময়, কিংবা এখন যে জমি ভাগ হয়নি সেখানে আমাকে ডাকেন। কিন্তু সেখানে তারা মেজো চাচার ছেলে-মেয়েদের ডাকেন, ভাগ দেন, সেখানে গিয়ে আমি আমার ঈমানের কোনো ক্ষতি করতে চাই না। আমি আমার ঈমান বাঁচানোর জন্য কী করতে পারি এবং আমার চাচাদের আর আমার বাবার এমন পরিস্থিতিতে করণীয় কী? আমার মেজো চাচার সন্তানদের নিয়ে ভাগ করা সম্পদ ও জমি গ্রহণ করলে কি তাদের এই কুফরি আইন সাপোর্ট করা হয় কিনা?

1 Answer

0 votes
by (606,150 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল - ১) স্বামী, ২)পিতা, ৩)দাদা, ৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। ৮ জন মহিলা হল - ১)স্ত্রী, ২)কন্যা, ৩)পুত্রের কন্যা, ৪)মাতা, ৫)দাদি এবং নানি, ৬)সহোদর বোন, ৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), ৮)সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৭) কন্য অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে পাবেন যখন এক বা একের অধিক পুত্র থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার দাদার জীবদ্দশায় আপনার মেঝো চাচা মারা গেছেন, তাই আপনার মেঝো চাচার সন্তানরা সম্পদের ওয়ারিছ হবে না ঠিক কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, তারা যাবে কোথায়? খাবে কি? তাই দাদার উচিৎ উনার জীবদ্দশায় বাবাহারা এই নাতি নাতনিদেরকে কিছু দিয়ে যাওয়া। যদি দাদা কিছু দিয়ে না যান,তাহলে চাচা ও ফুফুদের উচিৎ কিছু দিয়ে দেওয়া যদিও তারা ফরাইয বন্টনের ইসলামি আইনে কিছুই পাবে না। 

বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যদি বাবাহারা এই সন্তানগুলো জমি দখল করে নেয়, এবং আপনার বাবা,ফুফুরা তা মেনে নেয়, তাহলে এতে কোনো সমস্যা হবে না। বরং এখানে নিজ সন্তুষ্টিতে তাদের জন্য দান হিসেবেই বিষয়টি বিবেচিত হবে। সুতরাং কুফরি বা সেকুলার আইনের সমর্থন হবে না।  তবে আপনার উক্ত চাচাতে ভাই বোনদের জন্য জোর করে কোনো কিছু দখল করা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...