আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
79 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)

জাযাক আল্লাহু খাইর , শায়খ 

আপনার উত্তর শুনে আমি খুবই উপকৃত হয়েছি। একইসাথে, আমি বারবার একটা প্রশ্ন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করার জন্য আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে, আশা করি আপনি আমাকে ক্ষমসুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন এবং আমার এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমাকে বিশেষভাবে উপকৃত করবেন, ইংসা আল্লাহ । 

আপনি তো বলেছিলেন যে এই অপেক্ষা কেবল তখনই হালাল হবে যখন তার সাথে আমার হারাম যোগাযোগের কোনো সম্ভাবনা থাকবে নাহ। সেইজন্য , আমি কোনোরকম হারাম যোগাযোগ না রাখার নিয়ত করেই তার জন্য অপেক্ষা করা শুরু করি। 

# তবে, যদি কখনো শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তার সাথে হারাম যোগাযোগ (বিশেষ হালাল দরকার ছাড়া কথা বলা অথবা দেখা করা) করে ফেলি, তবে কি আমার জন্য এই অপেক্ষা পুরোপুরি হারাম হয়ে যাবে? 

# আমি কি শুধু ঐ একদিনের হারাম কাজের জন্যই গুনাহগার হব নাকি আমাদের অপেক্ষার সকল দিন (ওই একদিনের পূর্বের ও পরের সকল দিন) অর্থাৎ সম্পূর্ণ সময়ের জন্য গুনাহগার হব যদিও আমি ঐ একদিন বাদে অন্য কোন দিন কোনরকম হারমে লিপ্ত না হই ?

# আর আমরা দুই জনেই যদি ঐ একদিনের হারামের জন্য ভালোমতো তওবা করে একে অপেরের জন্য আবার হারাম যোগাযোগ বিহীন অপেক্ষা শুরু করি, তাহলে কি এই অপেক্ষা হালাল হবে?

# তার সাথে আমার যোগাযোগের সুযোগ থাকলেও আমরা নিয়ত করেছি যে কোনরকম হারাম যোগাযোগ রাখবো না, তবে কি এই অপেক্ষা হালাল?

1 Answer

+1 vote
by (606,150 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 
তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর উপর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2276


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি কখনো হারাম ভাবে যোগাযোগ হয়ে যায়, তাহলে এজন্য পুরোপুরি অপেক্ষা হারাম হবে না। তবে যাতে হারাম যোগাযোগ না হয়, সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...