ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
التَّفْوِيضُ الْمُعَلَّقُ بِشَرْطٍ إمَّا أَنْ يَكُونَ مُطْلَقًا عَنْ الْوَقْتِ وَإِمَّا أَنْ يَكُونَ مُوَقَّتًا فَإِنْ كَانَ مُطْلَقًا بِأَنْ قَالَ إذَا قَدِمَ فُلَانٌ فَأَمْرُك بِيَدِك فَقَدِمَ فُلَانٌ فَأَمْرُهَا بِيَدِهَا إذَا عَلِمَتْ فِي مَجْلِسِهَا الَّذِي قَدِمَ فِيهِ
তাফবীযে তালাক হয়তো কোনো সময়ের সাথে নির্দিষ্টি থাকবে না, অথবা সময়ের সাথে নির্দিষ্ট থাকবে।যদি কোনো সময়ের সাথে নির্দিষ্ট না থাকে, যেমন কেউ বলল, যখন ঐ ব্যক্তি আসবে, তখন তোমার বিষয়(তাফবীযে তালাক) তোমার হাতে ন্যস্ত থাকবে, যেদিন ঐ ব্যক্তি আসবে, সেদিন স্ত্রী তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত হবে। যে মজলিসের মধ্যে ঐ ব্যক্তি আসবে, সেই মজলিসে স্ত্রী তালাক-কে গ্রহণ করতে পারবে।মজলিস শেষ হওয়ার পর আর পারবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৯৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত স্ত্রী তালাক গ্রহণের জন্য স্পষ্টভাবে "তালাক গ্রহণ করছি" বলা শর্ত নয় বরং যেমন "তালাক হয়ে যাক" এই নিয়তে যদি বলা "সংসার করবো না", "থাকবো না";তাহলেও এদ্বরা তালাকে হবে।
(২)ঝগড়ার সময় বউ তালাক চাইলে বলতাম তোমার দেয়ার হলে তুমি দাও।তোমার বিষয় তোমার হাতে।তোমার ব্যাপার। এসব দ্বারা স্ত্রী সামযিক অধিকার পাবে। মজলিসের মধ্যে তালাক গ্রহণ না করলে সেই অধিকার বাতিল হয়ে যাবে।