আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
১। আমার স্ত্রী তালাকসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তিত ছিল। তাই আমি একজন হুজুরের সঙ্গে কথা বলি।
হুজুরের সঙ্গে কথা বলার পরে তাকে বোঝানোর জন্য বলি,
"যদি আমি তোমাকে তালাক দিই, সেক্ষেত্রে গ্রহণের প্রয়োজন হবে না। আমি তোমাকে তালাক দিলাম সেক্ষেত্রে তুমি হ্যাঁ বা না বলো, তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমি তালাকবাচক শব্দ বলে তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে বললে, তোমার গ্রহণ বা বর্জনের ব্যাপার আছে।"
এটাই বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার স্ত্রী শুধু "যদি আমি তোমাকে তালাক দিই";এই লাইনটা শোনার পরই উত্তেজিত হয়ে পাগলের মতো আচরণ শুরু করে। আমার স্ত্রীর দাবি করতেসে যে আমি বলেছি, " এরকম করতেসো কেনো।আমি বলসি নাকি যে আমি তোমাকে তালাক দিয়ে দিসি।
কিন্তু সম্পূর্ণ কথোপকথন আমি উদাহরণ স্বরুপ বলসি।আমার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কোনো ইচ্ছা/ নিয়ত আমার ছিলোনা।
 এজন্য কি কোনো সমস্যা হবে?

২। আমি বলেছি,
"তুমি কি সংসার করবে না? না করলে বলো, তোমাদের সবাইকে রেহাই দিয়ে দিই।"
এক্ষেত্রে আমি "রেহাই দেওয়া" দিয়ে তালাক বা এমন কিছু বুঝাইনি।

৩। আমি বলেছি,
"তুমি সংসার করবে না, এটাই তো? তুমি ডিভোর্স চাইছো, এটাই তো?"
এ কথা বললে কি তালাক হয়ে যায়?

৪। বিয়ের শুরুর দিকে বলেছিলাম,
"আজ থেকে আমরা সেপারেশনে থাকবো।

 ৬ মাস পর তালাকের ব্যাপারে যা করার করবো।"
এসব তালাকের নিয়তে বলিনি।

৫। আমার স্ত্রী রাগ করে বাপের বাড়ি যেতে চাইলে প্রথমে বাধা দিয়েছি। পরে বলেছি,
"তুমি যেটাই চাইছো, সেটাই হবে।"

৬। আমার স্ত্রী তালাক গ্রহণের নিয়ত ছাড়া বলেছে,
"আমি তোমার সঙ্গে থাকবো না, বাপের বাড়ি চলে যাবো।"

৭। তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত স্ত্রী তালাক গ্রহণের জন্য কি স্পষ্টভাবে "তালাক গ্রহণ করছি" বলতে হবে? নাকি ইংগিতপূর্ণ কথা, যেমন "তালাক হয়ে যাক" এই নিয়তে যদি বলে;"সংসার করবো না", "থাকবো না";তাহলে কি তাও তালাক হবে?

৮। পারিবারিক ঝামেলার দরুন আমি আমার স্ত্রীকে বলেছি,
"তুমি একবার বাপের বাড়ি গেলে, ওরা তোমাকে আসতে দেবে না। তালাক করিয়ে নেবে।"
স্ত্রী বলেছে,
"আমি না নিলে হবে না।"
আমি তাও বলেছি,
"ওরা জোর করে করিয়ে নেবে।"
তখন স্ত্রী বলেছে,
"আল্লাহ যদি এটাই কপালে রাখেন বা চান, তাহলে এটাই হবে।"
এটার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?

৯। আমি স্ত্রীকে বলেছি,
"এই কাজটা যদি আমি আবার করি, তাহলে তুমি আলাদা হয়ে যেও। যেভাবে চাও, সেভাবে আলাদা হয়ে যেও।"
এটা কি আজীবনের জন্য তালাকের অধিকার দেওয়া হয়ে যাবে?

১০। আমার স্ত্রী মানসিক রোগী। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় হুঁশ হারিয়ে বলেছে,
"আল্লাহ অবিচারক। আল্লাহ আমাদের ক্ষতি করতে চান।"
এছাড়া আল্লাহর তালাকের নিয়মকে কঠিন এবং অন্যায় বলে গালমন্দ করেছে।
এতে কি আমার স্ত্রী ঈমানহারা হয়ে গেছে?
আমার স্ত্রী কালিমা পড়ে নিয়েছে এবং তওবা করেছে।
আমার কি বিবাহ নবায়ন করতে হবে?

প্রসঙ্গত: আমি কোনো কথার দ্বারাই তালাক ভেবে কিছু বলিনি। আমার বা আমার স্ত্রীর কারোই তালাক গ্রহণের নিয়ত ছিল না। শুধুমাত্র এসব কথার দ্বারা নিয়ত ছাড়া কি তালাক হয়?

1 Answer

0 votes
by (581,370 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...