আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in সালাত(Prayer) by (33 points)
edited by
অনেক সময় জামাতে নামায এ দুরুদ শরীফ বা দুআ মসুরার পূর্বেই ইমাম সাহেব সালাম ফেরালে করণীয় কি? তখনই সালাম ফেরাবো ? নাকি আমার সব দুআ শেষে সালাম ফেরাবো?                                             .ককককককুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুববেিবকপচবেিকনিিচক্বিচকপচনিাাববেিবকপচবেিকনিিচক্বিচকপচনিাববেিবকপচবেিকনিিচক্বিচকপচনিববেিবকপচবেিকনিিচক্বিচকপচনববেিবকপচবেিকনিিচক্বিচকপচববেিবকপচবেিকনিিচক্বিচকপববেিবকপচবেিকনিিচক্বিচকববেিবকপচবেিকনিিচক্বিচববেিবকপচবেিকনিিচক্বিববেিবকপচবেিকনিিচক্বববেিবকপচবেিকনিিচক্ববেিবকপচবেিকনিিচকববেিবকপচবেিকনিিচববেিবকপচবেিকনিিববেিবকপচবেিকনিববেিবকপচবেিকনববেিবকপচবেিকববেিবকপচবেিববেিবকপচবেববেিবকপচবববেিবকপচববেিবকপববেিবকববেিবববেিববেববব

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
5409 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মোটকথাঃ 
আপনি তখন আপনার সমস্ত দু'আকে শেষ করে সালাম ফেরাবেন।

(ফেকহী বিশ্লেষণ)
নামাযে মুক্বতাদির(মুসাল্লির)জন্য ইমাম সাহেবের অনুসরণ কোন কোন ক্ষেত্রে কতটুকু অত্যাবশ্যকীয়, এ সম্পর্কে ফাতাওয়া শামী১/৫০১-তে সুবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে।
নিম্নে তা প্রদত্ত হল.....
ﻗﻮﻟﻪ : ( ﻭﻣﺘﺎﺑﻌﺔ ﺍﻻﻣﺎﻡ ) 
ﻭﺍﻟﺤﺎﺻﻞ ﺃﻥ ﻣﺘﺎﺑﻌﺔ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺮﺍﺋﺾ ﻭﺍﻟﻮﺍﺟﺒﺎﺕ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺗﺄﺧﻴﺮ ﻭﺍﺟﺒﺔ، ﻓﺈﻥ ﻋﺎﺭﺿﻬﺎ ﻭﺍﺟﺐ ﻻ ﻳﻨﺒﻐﻲ ﺃﻥ ﻳﻔﻮﺗﻪ ﺑﻞ ﻳﺄﺗﻲ ﺑﻪ ﺛﻢ ﻳﺘﺎﺑﻊ، ﻛﻤﺎ ﻟﻮ ﻗﺎﻡ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺘﻢ ﺍﻟﻤﻘﺘﺪﻱ ﺍﻟﺘﺸﻬﺪ ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺘﻤﻪ ﺛﻢ ﻳﻘﻮﻡ ﻻﻥ ﺍﻻﺗﻴﺎﻥ ﺑﻪ ﻻ ﻳﻔﻮﺕ ﺍﻟﻤﺘﺎﺑﻌﺔ ﺑﺎﻟﻜﻠﻴﺔ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻳﺆﺧﺮﻫﺎ، ﻭﺍﻟﻤﺘﺎﺑﻌﺔ ﻣﻊ ﻗﻄﻌﻪ ﺗﻔﻮﺗﻪ ﺑﺎﻟﻜﻠﻴﺔ، ﻓﻜﺎﻥ ﺗﺄﺧﻴﺮ ﺃﺣﺪ ﺍﻟﻮﺍﺟﺒﻴﻦ ﻣﻊ ﺍﻻﺗﻴﺎﻥ ﺑﻬﻤﺎ ﺃﻭﻟﻰ ﻣﻦ ﺗﺮﻙ ﺃﺣﺪﻫﻤﺎ ﺑﺎﻟﻜﻠﻴﺔ،، ﺑﺨﻼﻑ ﻣﺎ ﺇﺫﺍ ﻋﺎﺭﺿﻬﺎ ﺳﻨﺔ، ﻛﻤﺎ ﻟﻮ ﺭﻓﻊ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻗﺒﻞ ﺗﺴﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﻘﺘﺪﻱ ﺛﻼﺛﺎ ﻓﺎﻻﺻﺢ ﺃﻧﻪ ﻳﺘﺎﺑﻌﻪ، ﻻﻥ ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺃﻭﻟﻰ ﻣﻦ ﺗﺄﺧﻴﺮ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﺍﻩ ﻣﻠﺨﺼﺎ
তরজমাঃ
মোটকথা-ফরয এবং ওয়াজিব রুকুন সমূহে কালক্ষেপণ ব্যতীত ইমামের অনুসরণ ওয়াজিব।যদি কোনো ওয়াজিব আদায় করতে মুক্বতাদি ইমাম থেকে পিছনে থেকে যান,তাহলে মুক্বতাদির জন্য উচিৎ তা তরক না করা,বরং তা তারাতারি আদায় করে ইমামের অনুসরণ করা।যেমনঃ-
যদি ইমাম সাহেব মুকতাদির তাশাহুদ পড়ার পূর্বে তৃতীয় রাকা'আতের জন্য দাড়িয়ে যান,তখন মুক্বতাদি তাশাহুদ পূর্ণ করে তৃতীয় রাকা'আতের জন্য দাড়াবেন।কেননা ইমাম থেকে পিছিয়ে উক্ত রুকুন আদায় করাতে ইমামের পরিপূর্ণ অনুসরণ বিসর্জিনন হচ্ছে না।বরং এতে ইমামের অনুসরণে একটু দেড়ী হচ্ছে মাত্র।তবে অনুসরণকে পুরোপুরি বিসর্জন দেওয়াটা কখনো উচিৎ হবে না বরং দোষণীয়।কোনো এক ফরয বা ওয়াজিব রুকুনকে পুরোপুরিভাবে পরিত্যাগ করার চেয়ে একটিকে ইমাম থেকে পিছিয়ে আদায় করে দ্বিতীয়টিকে ইমামের সাথে আদায় করা অবশ্যই উত্তম ও প্রশংসনীয় কাজ।
তবে যদি কখনো কোনো সুন্নাত আদায় করতে ইমাম থেকে কোনো মুক্বতাদি পিছনে থেকে যায়,যেমনঃ- রুকু বা সেজদাতে মুক্বতাদির তিন তাসবিহ পড়ার পূর্বে ইমাম সাহেব মাথা উত্তোলন করে ফেলেন,তাহলে এক্ষেত্রে  বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য অভিমত হল,মুক্বতাদি তাসবিহ না পড়ে ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করবে।কেননা 
সুন্নাতকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিবকে ইমাম থেকে পিছিয়ে আদায় করার চেয়ে অনেক উত্তম।

এ সম্পর্কে ফাতাওয়া-য়ে আলমগীরিতে বর্ণিত রয়েছে.........
إذَا أَدْرَكَ الْإِمَامَ فِي التَّشَهُّدِ وَقَامَ الْإِمَامُ قَبْلَ أَنْ يُتِمَّ الْمُقْتَدِي أَوْ سَلَّمَ الْإِمَامُ فِي آخِرِ الصَّلَاةِ قَبْلَ أَنْ يُتِمَّ الْمُقْتَدِي التَّشَهُّدَ فَالْمُخْتَارُ أَنْ يُتِمَّ التَّشَهُّدَ. كَذَا فِي الْغِيَاثِيَّةِ وَإِنْ لَمْ يُتِمَّ أَجْزَأَهُ.
তরজমাঃ
যদি কোনো মুক্বতাদি(মুসল্লি) ইমাম সাহেবকে (প্রথম বৈঠকে) তাশাহুদে পায়, এবং ইমাম সাহেব মুকতাদির তাশাহুদ পড়ার পূর্বে দাড়িয়ে যায়,অথবা শেষ বৈঠকে মুক্বতাদির তাশাহুদ পূর্ণ করার পূর্বে ইমাম সাহেব সালাম ফিরেয়ে নেন,তখন গ্রহণযোগ্য অভিমত হলো মুক্বতাদি তাশাহুদ কে পূর্ণ করবে, এভাবেই গিয়াছিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।তবে যদি পূর্ণ নাও করে তবেও বৈধ রয়েছে,এবং
নামায হবে।

وَلَوْ سَلَّمَ الْإِمَامُ قَبْلَ أَنْ يَفْرُغَ الْمُقْتَدِي مِنْ الدُّعَاءِ الَّذِي يَكُونُ بَعْدَ التَّشَهُّدِ أَوْ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَإِنَّهُ يُسَلِّمُ مَعَ الْإِمَامِ1/9
 তরজমাঃ
যদি ইমাম সাহেব মুক্বতাদির তাশাহুদ পরবর্তী দুআ অথবা দুরুদ শরীফ পূর্ণ করার পূর্বে সালাম ফিরিয়ে নেন,তখন মুক্বতাদি ও ইমাম সাহেবের সাথে সালাম ফিরিয়ে নিবেন।
ফাতাওয়া আলমগীরি;১/৯।
আহসানুল ফাতাওয়া ৩/২৯০।

মোটকথাঃ-
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হলো,
নামাযের ফরয/ওয়াজিব রুকুন সমুহে কালক্ষেপণ ব্যতীত মুক্বতাদির জন্য ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব।তবে যদি ঘটনাক্রমে কোনো ফরয/ওয়াজিব রুকুন আদায় করতে মুক্বতাদির দেড়ী হয়ে যায়,তাহলে অবশ্যই মুক্বতাদি এক্ষেত্রে ইমামের অনুসরণ না করে প্রথমে উক্ত রুকুনগুলো আদায় করবে,তারপর ইমামের অনুসরণ করবে।
কিন্তু যদি মুক্বতাদি কোনো সুন্নাত রুকুনে ইমাম থেকে পিছনে থেকে যায় তাহলে এক্ষেত্রে মুক্বতাদি উক্ত সুন্নাত রুকুন আদায় না করে ইমামের অনুসরণ করবে।এবং উক্ত সুন্নাত রুকুনকে পরিত্যাগ করাই উত্তম হবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
هذا ما وجدت ،والله أعلم بحقيفة الحال،



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 590 views
0 votes
1 answer 128 views
+1 vote
1 answer 130 views
0 votes
1 answer 98 views
...