ফরজ নামাজের পর কোনো দ্বীনি কাজের জন্য সুন্নাত পড়া থেকে ওযর পাওয়া গেলে কোনো সমস্যা নেই।
,
তবে অন্য কোনো কারনে এমনটি করা মাকরুহ।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৫/১৫৬)
.
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَلَّمَ لاَ يَقْعُدُ إِلاَّ مِقْدَارَ مَا يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরানোর পর এই দু'আ পাঠের বেশি সময় বসতেন না- “আল্লাহুম্মা আনতাস্ সালামু ..... ওয়াল ইকরাম।” অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! তুমিই শান্তিদাতা তোমার নিকট হতেই শান্তি আসে। হে সম্মান ও গৌরবের মালিক! তুমি প্রাচুর্যময় ও বারকাতময়"। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৯২৪), মুসলিম।
ولو تکلم بین السنۃ والفرض لایسقطہا؛ ولکن ینقص ثوابہا ، وقیل: یسقط، وکذا کل عمل ینافی التحریمۃ علی الأصح۔ (شامی ۲؍ ۲۶۱زکریا)
সারমর্মঃ ফরজ এবং সুন্নাত পড়ার মাঝে কথাবার্তা বললে ছওয়াব কমে যাবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 530):
"ويكره تأخير السنة إلا بقدر اللهم أنت السلام إلخ. قال الحلواني: لا بأس بالفصل بالأوراد واختاره الكمال۔۔۔۔۔۔۔
وعليه فالكراهة على الزيادة تنزيهية لما علمت من عدم دليل التحريمية فافهم
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজ এবং সুন্নাত নামাজের মাঝে দেড়ি করা মাকরুহ,তবে
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " .
পরিমান দেড়ি করা যাবে।
এই মাকরুহটি মাকরুহে তানযিহি। ,
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দেড়ি করা মাকরুহে তানযিহি হবে।
,
(০২)
আগেই ঘুমিয়ে যেতে হবে,ফোনে /মোবাইলে এলার্ম দিতে হবে।
পাশের কাউকে (যিনি উঠেন) ডেকে দেওয়ার কথা বলতে হবে।
,
কিছু বুযুর্গানে দ্বীন বলেছেন যে ঘুমানোর আগে অযু করে এসে সুরা বাকারার ১২৫ নং আয়াতটি পড়ে কয়টায় উঠবে,সেই সময় উল্লেখ করে নিয়ত করর শুয়ে পড়বে।
দোয়া পড়ার পর আর কাহারো কথা বলবেনা।
وَإِذْ جَعَلْنَا الْبَيْتَ مَثَابَةً لِّلنَّاسِ وَأَمْناً وَاتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
যখন আমি কা'বা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাযের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ। [ সুরা বাকারা ২:১২৫ ]